গ্রিন হাউজ ইফেক্ট: বসবাসের অযোগ্য হওয়ার পথে পৃথিবী1 min read
Reading Time: 5 minutesবিজ্ঞানের নাটকীয় উন্নতির পর থেকে গত দুই শতকে প্রকৃতির ওপর মানুষের অত্যাচার ভয়ানক রকম বেড়েছে। প্লাস্টিক দূষণ, পানি দূষণ, শব্দ দূষণ, কলকারখানা- যানবাহনের ক্ষতিকারক ধোঁয়া, গ্রিন হাউস গ্যাস ইত্যাদি দিনকে দিন পৃথিবী নামক এই গ্রহটিকে বসবাসের অযোগ্য করে তুলছে। কিন্তু পরিবেশ দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহতা নিয়ে এই গ্রহের নীতি-নির্ধারকরা বরাবরই উদাসীন। করোনাভাইরাসের আবির্ভাবের পর মানুষ এখন আলোচনা করছে এটি তাদের ওপর প্রকৃতির প্রতিশোধ কিনা।
একবিংশ শতকের শুরু থেকে পরিবেশ ও জলবায়ু বিজ্ঞানীদের কল্যাণে দুটি শব্দ বেশ পরিচিত- গ্রিন হাউজ ইফেক্ট ও গ্লোবাল ওয়ার্মিং। তলিয়ে দেখতে গেলে পৃথিবীতে ঘটা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের বড় অংশ জুড়ে এখন আছে এই গ্রিন হাউজ ইফেক্ট। খুব চেনা বিষয় হলেও এর সম্পর্কে আমাদের সচেতনতার অভাব খুবই বেশি।
গ্রিন হাউজ কি?
সাধারণত উচ্চ অক্ষাংশে শীতপ্রধান উন্নত দেশসমূহে শাক-সবজি উৎপাদনের জন্য তৈরী বিশেষ একধরনের কাঁচের ঘরকে সবুজ ঘর বা গ্রীন হাউস বলা হয়ে থাকে। কাঁচ স্বাভাবিকভাবেই সূর্যের আগত ক্ষুদ্র তরঙ্গরশ্মিকে ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়, কিন্তু প্রতিফলিত দীর্ঘ তরঙ্গের সৌর বিকিরণকে কাঁচ কোনোভাবেই বাইরে বেরোতে দেয় না। কাঁচের এই ধর্মের ফলে এই ঘরের মধ্যে তাপমাত্রা আটকা পড়ে ক্রমশ ঘরের অভ্যন্তরস্থ তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং শাক-সবজি বা গাছপালা জন্মানোর জন্য উপযুক্ত হয়ে উঠে। বিশেষত রাতের তীব্র ঠান্ডায় গাছগুলো টিকে থাকে বড় সমস্যা ছাড়াই।
পৃথিবী কেন গ্রিনহাউজ?
বর্তমানে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলও অনেকটা গ্রীন হাউসের মত আচরণ করছে। অর্থাৎ সূর্যের আলো পৃথিবীতে প্রবেশ করলেও বেরুতে পারছে না। শীতপ্রধান দেশে ব্যবহৃত গ্রিন হাউসের সাথে সামঞ্জস্যতা বজায় রেখে ১৮২৪ সালে জোসেফ ফুরিয়ার পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে গ্রীনহাউজ প্রতিক্রিয়ার অস্তিত্বের পক্ষে যুক্তি পেশ করেন। পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে প্রাথমিক গ্রীনহাউস গ্যাসগুলোর মধ্যে আছে জলীয় বাষ্প, কার্বন ডাই অক্সাইড, মিথেন, নাইট্রাস অক্সাইড এবং ওজোন। গ্রীন হাউস গ্যাস ছাড়া পৃথিবী পৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা হত -১৮ °C (০ °F)। যা বর্তমানে ১৫ °C (৫৯ °F)।
সূর্যকিরণ থেকে পৃথিবীতে মোট যে পরিমাণ বিকিরণ আসে তার ৩৪ % (২ % ভূপৃষ্ঠ থেকে, ৭ % বায়ুমন্ডল থেকে এবং ২৫ % মেঘপুঞ্জ থেকে) বিকিরণ মেঘপুঞ্জ, ধুলিকণা প্রভৃতি দ্বারা প্রতিফলিত হয়ে মহাশূন্যে ফিরে যায়। কিন্তু গত বেশ কয়েক দশক ধরে বায়ুমন্ডলে অবস্থিত কিছু গ্যাস ও অন্যান্য উপাদান ( কার্বন ডাই অক্সাইড, মিথেন, জলীয় বাস্প নাইট্রোজেন অক্সাইড প্রভৃতি) এই বিকিরণকে পৃথিবীতে ধরে রাখছে গ্রীন হাউসের কাঁচের দেওয়ালের মতো। এর ফলে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই ঘটনাকেই গ্রীন হাউস এফেক্ট বলা হচ্ছে।
গ্রীন হাউস গ্যাসের পরিমাণ ক্রমশ বৃদ্ধির কারণ-
মিথেন:
সাধারণ রান্নার কাজে কিংবা সিএনজি হিসেবে যে গ্যাস ব্যবহার করা হয় সেটাই মিথেন গ্যাস। মাটির নিচে পোট্রোলিয়াম থেকে মিথেন গ্যাস সৃষ্টি হয়। আবার জলাভূমির তলদেশ থেকেও অনেক সময় মিথেন গ্যাস নির্গত হয়। গবাদি পশুর গোবর মিথেন গ্যাসের একটি উৎকৃষ্ট উৎস। এই গোবর থেকেই বায়োগ্যাস উৎপাদন করা হয়। প্রতিবছর গরুর গোবর থেকে বিপুল পরিমান মিথেন গ্যাস বায়ুমন্ডলে নিঃসৃত হয়ে গ্রীন হাউজ ইফেক্টের পরিমান বাড়িয়ে দিচ্ছে।
ক্লোরো-ফ্লুরো-কার্বন:
এটা CFC বা ফ্রেয়ন নামেও পরিচিত। CFC ওজন স্তর ধ্বংস করে সে ব্যাপারে অনেকেই অবগত। কিন্তু গ্রীনহাউজ ইফেক্টেও এর ভূমিকা কম নয়। একস ময় মশা নিরোধক এরোসল এবং রেফ্রিজারেটরে শীতলকারক হিসেবে CFC ব্যবহার করা হত। তবে বর্তমানে এর ক্ষতিকর প্রভাব অনুধাবন করায় এবং বিকল্প আবিষ্কৃত হওয়ায় CFC গ্যাস নিঃসরনের পরিমান কমেছে। বর্তমানে বিভিন্ন দেশই চুক্তির ভিত্তিতে সিএফসি নিঃসরণ কমাতে কাজ করে যাচ্ছে।
নাইট্রাস অক্সাইড:
এটি নাইট্রোজেন ও অক্সিজেনের একটি যৌগ। বজ্রপাতের সময় বাতাসের অক্সিজেন ও নাইট্রোজেনের সমন্বয়ে তৈরি হয়।
প্রাকৃতিক যত কারণ
পৃথিবীর মহাসাগরগুলো কার্বন-ডাইঅক্সাইডের সিংক হিসেবে কাজ করে। বাতাসের কার্বন-ডাইঅক্সাইড সাগরের পানিতে দ্রবীভূত হয়ে বাতাসে এই গ্যাসের উপস্থিতি কম রাখতে সাহায্য করে। সাগরের গভীরে গিয়ে এই গ্যাস চুনাপাথর তৈরি করে এবং কঠিন পাথর হিসেবে সঞ্চিত থাকে। তবে বর্তমানে এত বেশী পরিমাণে কার্বন-ডাইঅক্সাইড নিঃসৃত হচ্ছে যে মহাসাগরে দ্রবীভূত হওয়ার চেয়ে বাতাসে আগমনের হার অনেক বেশী। ফলস্রুতিতে পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর উচ্চ তাপমাত্রার পানিতে কার্বন-ডাইঅক্সাইডের দ্রবণীয়তা হ্রাস পায়। ফলে মহাসাগরগুলো কার্বন-ডাইঅক্সাইড সিংক হিসেবে আর ফলপ্রসুভাবে কাজ করতে পারছে না। অর্থাৎ গ্রীনহাউসের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে।
অপরদিকে তাপমাত্রা যত বাড়বে পানির বাষ্পীভবনের হারও তত বাড়বে। অর্থাৎ বায়ুতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বাড়বে। পৃথিবীর তাপমাত্রা যত বাড়তে থাকবে পৃথিবী থেকে বিকিরিত রশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য তত কমতে থাকবে। আর জলীয়বাষ্প অপেক্ষাকৃত কম তরঙ্গদৈর্ঘের বিকিরন বেশী শোষণ করে।
ক্ষতিকর প্রভাব
পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি
বায়ুমন্ডলে গ্রীন হাউস প্রভাব বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে পৃথিবী গত ২০ লাখ বছরের মধ্যে সবচেয়ে গরম হয়ে যাবে। ১৮৮০ সাল থেকে ১৯৮৬ সালের মধ্যে পৃথিবীর তাপমাত্রা ০.৬°C বেড়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে পৃথিবীর গড় উষ্ণতা ২.৫°C এবং ২০৫০ সাল নাগাদ ৩.৮°C বেড়ে যেতে পারে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, গত ২০,০০০ বছরের তুলনায় শেষ শতকে বিশ্বের উষ্ণতা বেশী বৃদ্ধি পেয়েছে । বিংশ শতাব্দীর দুটি অধ্যায়ে (যথা – ১৯২০–১৯৪৫ খ্রিষ্টাব্দ এবং ১৯৭৬–২০০০ খ্রিষ্টাব্দ) উষ্ণতা সব থেকে বেশী বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৮৬১ খ্রিষ্টাব্দ থেকে হিসাব করলে বিশ্বের উষ্ণতম দশক হচ্ছে ১৯৯০ এর দশক।
মেরু অঞ্চলের বরফ গলন
এর ফলে বিষুবীয় ও মেরু অঞ্চলের তাপমাত্রা দ্রুত বাড়ছে। মনে করা হচ্ছে, আর ১০০ বছরের মধ্যে সুমেরু কুমেরুতে গরমকালে সমস্ত বরফ পানিতে পরিণত হবে। শীতে অল্প বরফ থাকবে।
সমুদ্র জলতলের উচ্চতা বৃদ্ধি
ক্রমবর্ধমান হারে গ্রীন হাউজ প্রভাবের ফলে সমুদ্রের স্তর ৩০ – ৪০ সেন্টিমিটার বেড়ে যাবে। এর ফলে পৃথিবীর উপকূলবর্তী এলাকার একটি বিরাট অংশ সমুদ্রের নিচে তলিয়ে যাবার সম্ভাবনা আছে। এরই মাঝে মালদ্বীপ সরকার দেশ স্থানান্তর করার মত ব্যবস্থাও রেখেছে ভয়াবহ ঝুকি এড়াতে।
বাস্তুতন্ত্রের বিনাশ
সমুদ্রে ক্ষারের পরিমাণ কমবে, ফলে ক্ষারে বেচে থাকা জীবের অস্তিত্ব লোপ পেয়ে বাস্তুতন্ত্রের বিনাশ ঘটবে ।
আবহাওয়ার প্রকৃতি পরিবর্তন
উষ্ণতা বৃদ্ধি পাবার ফলে অধঃক্ষেপণের পরিমাণ, ঝড়ঝঞ্জার প্রকোপ প্রভৃতি বৃদ্ধি পাবে। ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা ও শক্তি ক্রমশ বৃদ্ধি পাবে। বৃষ্টিবহুল এলাকা নিরক্ষীয় অঞ্চল থেকে মেরু অঞ্চলের দিকে ক্রমশ বাড়তে থাকবে। ফলে আবহাওয়ার প্রকৃতি পরিবর্তন হবে।
মূলত দায়ী কোন দেশ?
২০১৮ সালে পোল্যান্ডে অনুষ্ঠিত জলবায়ু সম্মেলন উপলক্ষে প্রকাশিত জরিপে বলা হয়, জৈব ও রাসায়নিক জ্বালানি নিঃসৃত গ্যাসের কারণে বিগত বছরের চেয়ে ২০১৮ সালে কমপক্ষে ২ শতাংশ কার্বন গ্যাস বৃদ্ধি পেয়েছে। জ্বালানি তেল ও গ্যাসের ব্যবহার বাড়ার কারণে এমনটা ঘটেছে বলে সতর্ক করা হয়।
জরিপে অনুযায়ী বিশ্বের মোট কার্বন নিঃসরণে ৫৮ ভাগ নিঃসরণ ঘটছে ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো থেকে। বাকি ৪১ শতাংশ কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস উৎপন্ন করেছে পৃথিবীর অন্য দেশগুলো।
তাদের মতে, বিশ্বের সবচেয়ে কার্বন ডাইঅক্সাইড নিঃসরণকারী দেশগুলো হচ্ছে চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া, জাপান, জার্মানি, ইরান, সৌদি আরব ও দক্ষিণ কোরিয়া।
প্রতিকার ঠিক কোথায়
রাসায়নিক সারের ব্যবহার হ্রাস
কৃষিতে নাইট্রোজেন সার (যেমন – ইউরিয়া) ব্যবহারের ফলে বাড়ছে নাইট্রোজেন অক্সাইড গ্যাসের পরিমাণ। অবিলম্বে কৃষিকাজে রাসায়নিক সারের ব্যবহার যথাসম্ভব কমাতে হবে।
মিথেন নির্গমনের পরিমাণ হ্রাস
গাছপালার পচন, কৃষিজ বর্জ্য এবং জীব-জন্তুদের বর্জ্য থেকে সৃষ্ট মিথেন গ্যাসের পরিমাণ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। মিথেনের এই সকল উৎসগুলিকে অবিলম্বে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি
নবায়নযোগ্য শক্তি বলতে বোঝায় যেসব শক্তির উৎস ফুরিয়ে গেলেও আবার তৈরি করে নেওয়া সম্ভব। জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহারে বায়ুমন্ডলে গ্রীণ হাউস গ্যাসের পরিমাণ ক্রমাগত বাড়ছে। ফলে হুমকির মুখে পড়ছে পরিবেশ। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রচলিত জীবাশ্ম জ্বালানীর পরিবর্তে বিকল্প জ্বালানী ব্যবহার করলে বায়ুমন্ডলে গ্রীন হাউস গ্যাস এর পরিমাণ কমে আসবে। ফলে পরিবেশ দূষণ অনেকটাই কমে যাবে। নবায়নযোগ্য শক্তির মাঝে উল্লেখযোগ্য হল- সৌর শক্তি, বায়ুশক্তি, জলবিদ্যুৎ, বায়োগ্যাস, বায়োডিজেল, জোয়ার-ভাটা শক্তি, ভূ-তাপীয় শক্তি, আবর্জনা থেকে প্রাপ্ত শক্তি, নিউক্লিয়ার এনার্জি প্রভৃতি ।
ই-ওয়েস্ট বা ইলেক্ট্রনিক বর্জ্য আমদানী বন্ধ
উন্নত বিশ্বের দেশগুলো থেকে নানা ধরণের ই-ওয়েস্ট বা ইলেক্ট্রনিক বর্জ্য আমদানী হচ্ছে আমাদের দেশে। প্রতি বছর প্রায় ৬০০ মিলিয়ন ব্যবহৃত (সেকেন্ড হ্যান্ড) কম্পিউটার তৃতীয় বিশ্বে পাঠানো হচ্ছে। এসব কম্পিউটারের অন্যতম ক্রেতা চীন, ভারত ও বাংলাদেশসহ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলো। অর্থাৎ, তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোকে পরোক্ষভাবে উন্নত দেশগুলোর ইলেক্ট্রনিক বর্জ্যের আস্তাকুড়ে পরিণত করা হচ্ছে। এই সব ই-বর্জ্যের মধ্যে হাজার হাজার টন সীসাসহ রয়েছে আরও বহু বিষাক্ত উপাদান যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতি বয়ে নিয়ে আসছে । এসব দূষিত বর্জ্য পদার্থ বিভিন্নভাবে গ্রীন হাউস প্রভাব বৃদ্ধি করার পাশাপাশি সরাসরি কৃষি সম্পদ, মৎস্যসম্পদ, বনজ সম্পদ বিনষ্টেরও অন্যতম কারণ ।
পরিকল্পিত বনায়ন
গ্রীন হাউস প্রভাবের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষেধক হল অরণ্য। একদিকে অরণ্যচ্ছেদন রোধ ও অন্যদিকে পরিকল্পিতভাবে বনায়নের মধ্য দিয়ে বিশ্বব্যপী গ্রীন হাউস প্রভাব অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব ।
নাগরিক দায়িত্ব
পরিবেশ রক্ষা নাগরিকদের মৌলিক দায়িত্ব । তাই গ্রীন হাউস প্রভাব সৃষ্টিকারী উপাদানগুলি যাতে পরিবেশে কম পরিমানে উৎপাদিত হয়, সে বিষয়ে সকলকেই দায়িত্বশীল হতে হবে ।
নতুন প্রযুক্তি
গ্রীন হাউস প্রভাব প্রতিরোধের চূড়ান্ত উত্তর হচ্ছে নতুন প্রযুক্তি। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ব্যবহৃত উপাদান পরিবর্তন, যানবাহনের দক্ষতা বৃদ্ধি, কার্বন-ডাই-অক্সাইড পৃথকীকরণ প্রযুক্তি উদ্ভাবন প্রভৃতিসহ বিভিন্ন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও প্রয়োগ করতে হবে।
লেখক- জুবায়ের আহম্মেদ