বিশ্ব

অবশেষে শেষ হাসি জো বাইডেনের1 min read

নভেম্বর ৮, ২০২০ 2 min read

author:

অবশেষে শেষ হাসি জো বাইডেনের1 min read

Reading Time: 2 minutes

অবশেষে প্রতিক্ষীত সেই মুহুর্ত হাজির হলো। সারাবিশ্বকে প্রায় ৪ দিন কিছুক্ষেত্রে ৫ দিন অপেক্ষা করিয়ে শেষ পর্যন্ত ২৭০ এর ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছালেন জো বাইডেন। ইতিহাসের সর্বোচ্চ সংখ্যক পপুলার ভোট আগেই নিশ্চিত হয়েছিল তার। এবার নিশ্চিত হলো প্রেসিডেন্টের আসনটাও। হোয়াইট হাউজে ওভাল অফিসে আগামী চার বছরের জন্য বসতে যাচ্ছেন জো বাইডেন। সেই সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শেষ হল ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসন। ট্রাম্পের সব প্রচেষ্টাই বলতে গেলে ব্যর্থ হয়েছে। ট্রাম্প নিজে প্রতিবাদ করেই ক্ষান্ত হননি। জর্জিয়ায় নতুন করে ভোট গণনা করার প্রস্তুতি চলছে। অ্যারিজোনায় ভোট গণনা বন্ধ ছিল বেশ অনেকটা সময়। সারা যুক্তরাষ্ট্রেই ব্যাপক পরিমাণ বিক্ষোভ আর সহিংসতা চলছে। সব মিলিয়ে কঠিন সময়ই পার করতে হয়েছে শেষ দুই দিন ধরে।

এর আগে বেশ কয়েকবার জয়ের ব্যাপারে আশা প্রকাশ করলেও ধৈর্য ধরেই শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি সামলেছেন জো বাইডেন। এরই সাথে নিজের তরুণ বয়সের স্বপ্নটাও সত্য করলেন বাইডেন। জন এফ কেনেডিকে দেখে যে তরুণ প্রেসিডেন্ট হতে চেয়েছিল, ৭৮ বছর বয়সে এসে সেটাই সত্য হতে চলেছে।

পেনসেলভানিয়াতেই ভাগ্য বদল

সব সম্ভাবনা সত্য করে পেনসেলভানিয়াতেই ভাগ্য বদল হয়েছে। আগের ২৫৩ ইলেকটোরাল কলেজের সাথে পেনসেলভানিয়ার ২০ ভোট নিয়ে মোট ২৭৩ ইলেকটোরাল কলেজ ভোটে পৌঁছে গিয়েছেন সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট বাইডেন। শুরু থেকেই পেনসেলভানিয়ার ২০ ভোটের প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করেছিলেন বাইডেন এবং ট্রাম্প। দীর্ঘ সময় পর্যন্ত এখানে বড় ধরনের ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে শেষ দেড় দিনে ক্রমাগত ভোট এসেছে বাইডেনের কাছে। এই নির্বাচনে অন্য সব রাজ্যের মত এখানেও ডাকে আসা ভোটই বড় ব্যবধান গড়ে দিয়েছে। পেনসেলভানিয়ার দুই গুরুত্বপূর্ণ কাউন্টি ফিলাডেলফিয়া আর পিটসবার্গে বড় অঙ্কের ভোট গিয়েছে ডেমোক্র্যাটদের পক্ষেই।

এখনো যদিও অ্যারিজোনা, নেভাডা আর আলাস্কায় ভোট গণনা চলছে। তবে আপাতত সবকিছুই আনুষ্ঠিকতা।

টুইটারে ডেমোক্র্যাটরা

প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম টুইটে জো বাইডেন লিখেছেন, “আমেরিকা, আমি সত্যিই সম্মানিত বোধ করছি যে আপনারা আমাকেই এই মহান দেশের নেতৃত্ব দেয়ার জন্য বেছে নিয়েছেন। আমাদের সামনের পথটা কঠিন। কিন্তু আমি আপনাদের কাছে প্রতিজ্ঞা করছিঃ আমি সব আমেরিকানদের প্রেসিডেন্ট হব। যারা আমাকে ভোট দিয়েছেন এমনকি যারা আমাকে ভোট দেননি। আপনারা যে বিশ্বাস আমার উপর রেখেছেন আমি তার প্রতিদান আপনাদের দিব।“

টুইটারে নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন আমেরিকার প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিসও। প্রেসিডেন্সি নিশ্চিত হবার পর ভক্তদের উদ্দেশ্যে ভারতীয় বংশোদ্ভুত এই নারী লিখেন, “এই নির্বাচন জো কিংবা আমার চাইতেও অনেক বেশি কিছু। এটি আমেরিকান স্বত্তা এবং তার প্রতি আমাদের লড়াই করার মানসিকতার ব্যাপার। আমাদের সামনে অনেক কাজ বাকি।“

তবে ফলাফল ঘোষণার পর এখন পর্যন্ত ডোনাল্ড ট্রাম্প কিংবা রিপাবলিকানদের পক্ষ থেকে কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। সবশেষ দেয়া পোস্টে আরো একবার নিজেকে বিজয়ী দাবী করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

লেখক- জুবায়ের আহম্মেদ

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *