বিশ্ব

হোম কোয়ারান্টিনে অনলাইনে ঘুরে আসুন দশটি মিউজিয়াম1 min read

এপ্রিল ২৩, ২০২০ 6 min read

author:

হোম কোয়ারান্টিনে অনলাইনে ঘুরে আসুন দশটি মিউজিয়াম1 min read

Reading Time: 6 minutes

কোভিড-১৯ আমাদের অবরুদ্ধ করে রেখেছে নিজেদের ঘরে। এই ভয়ংকর ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকে কিছুটা হলেও রুখে দেয়ার জন্য বর্তমানে আমরা সবাই যার যার বাসাতেই অবস্থান করছি। আমরা ঠিক জানি না খোলা আকাশের নিচে আবার কবে ঘুরে বেড়াতে পারব! তবে আপনার এই কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব করার জন্য আজ আমরা এমন দশটি মিউজিয়াম নিয়ে কথা বলব যেগুলোতে আপনি ঘরে বসে থেকেই ঘুরে আসতে পারবেন।

লুভ্‌র জাদুঘর

বদ্ধ ঘরে বসে থাকার কষ্টকে একটু খানি নিরসন করার জন্য প্রথমেই আমরা কথা বলবো প্যারিসে অবস্থিত সবচাইতে বিখ্যাত “লুভ্‌র জাদুঘর” নিয়ে। বিশ্বজুড়ে ঐতিহাসিক একটি নিদর্শন হিসেবে এই জাদুঘরটি প্রসিদ্ধ। বর্তমানে ঘরে বসেই আপনি এই জাদুঘরের বিভিন্ন ঐতিহাসিক প্রদর্শনী একদম ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরার মাধ্যমেই দেখতে পারবেন।

এই জাদুঘরটি ১৭৯৩ সালে ৫৩৭টি চিত্র প্রদর্শনীর সাথে সর্বপ্রথম নিজের যাত্রা শুরু করেছিল। সেই চিত্রগুলো ছিল তৎকালীন রাজকীয় এবং বাজেয়াপ্ত করা গির্জার সম্পত্তি। জাদুঘরের মূল ভবনের কাঠামোগত কিছু জটিলতার কারনে দীর্ঘদিন এটি বন্ধ থাকলেও পুনরায় ১৮০১ সালের দিকে চালু করা হয়। মাত্র ৫৩৭টি চিত্রকর্ম দিয়ে নিজের যাত্রা শুরু করলেও সময়ের বাঁকে এসে বর্তমানে বিশ্বের সবচাইতে বড় শিল্প যাদুঘরে পরিণত হয়েছে এটি। এছাড়া এই যাদুঘরটি একটি ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভও বটে!

জাদুঘরটি ঘুরে আসতে ক্লিক করুন এখানে- লুভ্‌র জাদুঘর

সলোমন আর গুগেনহাইম জাদুঘর

সলোমন আর গুগেনহাইম জাদুঘর

দ্বিতীয় স্থানে আছে স্থাপত্যশৈলীর এক অসামান্য নিদর্শন “সলোমন আর গুগেনহাইম জাদুঘর”। তবে আমরা সরাসরি ক্যামেরার মাধ্যমে ফ্র্যাঙ্ক লয়েড রাইটের ডিজাইনে তৈরি এই জাদুঘরটি দেখতে না পারলেও, ঠিক কি কি আছে এখানে সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারব অনলাইনেই। আপনাকে প্রবলভাবে আকর্ষণ করবে এই জাদুঘরে রাখা পাবলো পিকাসো, মনড্রিয়ান এবং জেফ কুনসের বিখ্যাত কিছু চিত্রশিল্প।

দ্য গুগেনহেইম নামে পরিচিত এই শিল্প জাদুঘরটি আমেরিকার ম্যানহাটনে অবস্থিত। সারা বছর ধরে বিভিন্ন ধরনের চিত্রশিল্প প্রদর্শনী চলতে থাকা এই জাদুঘরটি মূলত ইমপ্রেশনিস্ট, পোস্ট-ইম্প্রেশনিস্ট, উত্তর-আধুনিক এবং কন্টেম্পরারি চিত্রশিল্পের স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে বহুল পরিচিত। উল্লেখ্য যে ১৯৩৯ সালে সলোমন আর গুগেনহিম এই জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

জাদুঘরটি ঘুরে আসতে ক্লিক করুন এখানে- সলোমন আর গুগেনহাইম জাদুঘর

সালভাদোর দালি মিউজিয়াম

সালভাদোর দালি মিউজিয়াম

তৃতীয়ত আমরা যে মিউজিয়ামটি ঘুরে দেখব, সেটি হল বিখ্যাত স্প্যানিশ আঁকিয়ে সালভাদোর দালিকে উৎসর্গ করা মিউজিয়াম। এই জাদুঘরের প্রত্যেকটি দেয়াল যেন জীবন্ত হয়ে আছে দালি’র অসামান্য সব চিত্রকর্মের সাক্ষী হয়ে। সরাসরি সেগুলো না দেখতে পারলেও, অনলাইনে দেখতে পারবেন কালের গর্ভে কিংবদন্তী হয়ে রয়ে যাওয়া এই আঁকিয়ের আঁকা অসামান্য কিছু চিত্র!

কাতালোনিয়ায় ফিগুয়েরেসে জন্ম নেওয়া দালি মাদ্রিদে চারুকলায় তাঁর আনুষ্ঠানিক শিক্ষা লাভ করেছিলেন। তিনি ইম্প্রেশনিজম দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন এবং অল্প বয়স থেকেই রেনেসাঁয়ে বেশ পারদর্শী হয়ে উঠেছিলেন। তিনি ক্রমবর্ধমান কিউবিজম এবং অ্যাভান্ট-গার্ড আন্দোলনের প্রতি আকৃষ্ট হন। বিশ্ব নন্দিত এই চিত্র শিল্পীর আঁকা প্রায় যাবতীয় চিত্র এবং চিন্তাধারা সম্পর্কে এই মিউজিয়ামে আপনি জানতে পারবেন।

জাদুঘরটি ঘুরে আসতে ক্লিক করুন এখানে- সালভাদোর দালি মিউজিয়াম

ন্যাশনাল গ্যালারী অফ আর্ট

ন্যাশনাল গ্যালারী অফ আর্ট

হ্যাঁ! নাম শুনেই বুঝে গিয়েছেন হয়ত, এখন বলছি ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত এই বিখ্যাত জাদুঘরটি নিয়ে। বর্তমানে যেহেতু অন্যান্য আর সবকিছুর মতোই জাদুঘরটি বন্ধ হয়ে আছে, তাই আপনি চাইলে অনলাইনে ঘুরে দেখতে পারেন এই জাদুঘরটি। এই ওয়েবসাইটে আপনি বেশ কিছু ভিডিও পাবেন, যে ভিডিওগুলো আপনাকে নিয়ে হারিয়ে যাবে পৃথিবী বিখ্যাত এই জাদুঘরটির বিভিন্ন অলিতে গলিতে।

অবশ্য এমনিতেও এই যাদুঘরটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মক্ত, অর্থাৎ এখানে যেতে হলে আপনার কোন টিকেট কাটার প্রয়োজন নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের একটি যৌথ রেজোলিউশনের মাধ্যমে ১৯৩৭ সালের দিকে আমেরিকান জনগণের জন্য এই জাদুঘরটি ব্যক্তিগতভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অ্যান্ড্রু ডাব্লু মেলন এটি নির্মাণের জন্য যথেষ্ট শিল্প সংগ্রহ এবং তহবিল গঠন করেছিলেন। গ্যালারীটির সংগ্রহশালায় মধ্যযুগ থেকে এখন অবধি ওয়েস্টার্ন আর্টের ক্রমবিকাশের সন্ধান মিলবে।

জাদুঘরটি ঘুরে আসতে ক্লিক করুন এখানে- ন্যাশনাল গ্যালারি অফ আর্ট

ব্রিটিশ মিউজিয়াম

ব্রিটিশ মিউজিয়াম

জাদুঘর নিয়ে কথা বলছি, অথচ ব্রিটিশ মিউজিয়ামের নাম আসবে না সেটা কি করে হয়? লন্ডনে অবস্থিত প্রায় আট মিলিয়ন ঐতিহাসিক বস্তুর প্রদর্শনী করা এই বিশালাকার জাদুঘরটি বর্তমানে যেহেতু আপনি সশরীরের দেখে আসতে পারছেন না, তাই গুগুল স্ট্রিট ভিউ এর মাধ্যমেই আপনি চাইলে জাদুঘরটি থেকে ঘুরে আসতে পারেন। এছাড়া তাদের ওয়েবসাইটে জানা অজানা নানা তথ্য আপনাকে ইতিহাসের আরো গভীরে নিয়ে যাবে।

যুক্তরাজ্যের লন্ডনের ব্লুমসবারি অঞ্চলে ব্রিটিশ জাদুঘর হল মানব ইতিহাস, শিল্প ও সংস্কৃতিতে নিবেদিত একটি পাবলিক প্রতিষ্ঠান। ১৭৫৩ সালের দিকে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এই জাদুঘরটি মূলত একাধারে একজন আইরিশ চিকিৎসক এবং বিজ্ঞানি স্যার হান্স স্লোয়েনের সংগ্রহের উপরেই ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে কালের আবহে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নিয়ে আসা হাজারো তথ্য উপাত্ত্ব নিয়ে সমৃদ্ধ করা হয়েছে এই জাদুঘরটিকে।

জাদুঘরটি ঘুরে আসতে ক্লিক করুন এখানে- ব্রিটিশ মিউজিয়াম

স্মিথসোনিয়ান ন্যাচারাল মিউজিয়াম অফ ন্যাচারাল হিস্টোরি

স্মিথসোনিয়ান ন্যাচারাল মিউজিয়াম অফ ন্যাচারাল হিস্টোরি

স্মিথসোনিয়ান ন্যাচারাল মিউজিয়াম অফ ন্যাচারাল হিস্টোরি নামক এই চমৎকার জাদুঘরটিও ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত। এছাড়া পর্যটকদের আকর্ষণ করা জাদুঘরগুলোর মধ্যে এটি বেশ প্রসিদ্ধ। অনলাইলে এই জাদুঘরের সবকিছুই আপনি দেখতে পারবেন, অজানা সব তথ্য দিয়ে সমৃদ্ধ করতে পারবেন আপনার জ্ঞান ভান্ডার। এছাড়াও বিভিন্ন ডায়নোসোরের ফসিল দেখতে পারবেন অনলাইনেই একদম ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরা দিয়ে।

এই মিউজিয়ামে প্রবেশ সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত। জাতীয় সংগ্রহ এবং গবেষণা সুবিধা রাখার জন্য একচেটিয়াভাবে নির্মিত প্রথম স্মিথসোনিয়ান ভবনগুলির মধ্যে একটি ছিল এই জাদুঘরটি। জাদুঘরটি ১৯১০ সালের দিকে প্রতিষ্ঠা করা হলেও ২০১৬ সালের দিকে এসে মূলত এই জাদুঘরে বিনামূল্যে সবাই প্রবেশ করা শুরু করে।

জাদুঘরটি ঘুরে আসতে ক্লিক করুন এখানে- স্মিথসোনিয়ান ন্যাচারাল মিউজিয়াম অফ ন্যাচারাল হিস্টোরি

দ্য মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অফ আর্ট

দ্য মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অফ আর্ট

চিত্রশিল্প নিয়ে যদি আপনার সামান্যতম আগ্রহও থেকে থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই নিউ ইয়র্কে অবস্থিত “দ্য মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অফ আর্ট” এর নাম শুনেছেন ইতোমধ্যেই। চিত্রশিল্পের জগতে ভ্যান গগ, জ্যাক পুলকের মত অসামান্য সব কিংবদন্তীর আঁকা ছবি সেখানে দেখতে পাবেন আপনি। এছাড়া অনলাইনে আরো চমৎকারভাবে তথ্য সমৃদ্ধ উপায়ে খুব সহজেই ঐতিহাসিক সব ছবির দুয়ারের হানা দিতে পারবেন।

নিউ ইয়র্ক শহরে অবস্থিত ‘দ্যা মেট’ নামে খ্যাত এই জাদুঘরটি আমেরিকার বৃহত্তম আর্ট মিউজিয়াম। ভ্যান গগ এবং জ্যাক পুলক ছাড়াও এই জাদুঘরটির স্থায়ী সংগ্রহশালায় প্রাচীন শাস্ত্রীয় এবং প্রাচীন মিশরের বিভিন্ন চিত্রাঙ্কন সহ ইউরোপ অঞ্চলে প্রায় বেশীরভাগ বিখ্যাত চিত্রশিল্পীর চিত্রকর্ম রয়েছে। এছাড়াও উত্তরাধুনিক এবং আধুনিক শিল্পের একটি বিস্তৃত সংগ্রহও আপনি এখানে পেয়ে যাবেন। আর ঠিক এজন্যই চিত্রশিল্পের উপর সরাসরি সম্পৃক্ত প্রায় সব ধরনের আঁকিয়ের কাছেই এই মিউজিয়ামটি বহুল পরিচিত।

জাদুঘরটি ঘুরে আসতে ক্লিক করুন এখানে- দ্য মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অফ আর্ট

ভ্যান গগ মিউজিয়াম

ভ্যান গগ মিউজিয়াম

নেদ্যারল্যান্ডের আমস্টারর্ডমে অবস্থিত বিখ্যাত চিত্র শিল্পী ভ্যান গগের উপরেই নির্মাণ করা হয়েছে এই জাদুঘরটি। ভ্যান গগের নাম শোনেননি এমন কাউকে হয়ত খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হলেও, এই মিউজিয়ামটিতে অনেকেরই পা রাখা হয়নি। ঘরে বসে বোরিং সময় না কাটিয়ে তবে ঘুরে আসুন এই মিউজিয়ামে। সেখানে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে কিংবদন্তী ভ্যান গগের আঁকা নানা অসামান্য সব চিত্রকর্ম।

এই জাদুঘরটি ডাচ আর্ট মিউজিয়াম যা আমস্টারডামের ভিনসেন্ট ভ্যান গগ এবং তাঁর সমসাময়িকদের কাজের জন্য উৎসর্গকৃত; এটি স্টেরেলিজক জাদুঘর। ২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এই মিউজিয়ামে প্রায় ২.৩ মিলিয়ন মানুষ প্রবেশ করেছে। যা নেদারল্যান্ডের অন্যান্য জাদুঘরের সব ধরনের রেকর্ডকে ভেঙ্গে দেয় এবং বিশ্বের ২৩তম জনপ্রিয় জাদুঘর হিসেবে এটি নাম লেখায়।

জাদুঘরটি ঘুরে আসতে ক্লিক করুন এখানে- ভ্যান গগ মিউজিয়াম

দ্য ন্যাশনাল ওমেন’স হিস্টোরি মিউজিয়াম

দ্য ন্যাশনাল ওমেন’স হিস্টোরি মিউজিয়াম

আমেরিকার আলেকজান্দ্রিয়ার ভার্জিনিয়া অঞ্চলে অবস্থিত “দ্য ন্যাশনাল ওমেন’স হিস্টোরি মিউজিয়াম” আপনাকে ইতিহাসের প্রতি পরতে পরতে থাকা গুরুত্বপূর্ণ সব নারীদের সামনে দাঁড়া করিয়ে দিবে। নারী পুরুষের সমতা নিয়ে কথা বলা এই জাদুঘরটি আপনি অনলাইনেই ঘুরে আসতে পারেন। জেনে নিতে পারেন কালের গর্ভে দাগ কেটে যাওয়া বিভিন্ন নারীদের সম্পর্কে।

১৯৯৬ সালে কারেন স্ট্যাসের নামক একজন নারী এই জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বর্তমানে এই জাদুঘরটি শুধুমাত্র প্রদর্শনী ছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষামূলক কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে এই জাদুঘর কর্তৃপক্ষ অনলাইনে বেশ কিছু প্রদর্শনী এবং ইভেন্ট ও সেমিনার করার মাধ্যমে বহুল প্রশংসা অর্জন করে।

জাদুঘরটি ঘুরে আসতে ক্লিক করুন এখানে- দ্য ন্যাশনাল ওমেন’স হিস্টোরি মিউজিয়াম

দ্য মিউজিয়াম অফ মডার্ন আর্ট

দ্য মিউজিয়াম অফ মডার্ন আর্ট

নিউ ইয়র্ক শহরে অবস্থিত আরো একটি বিখ্যাত জাদুঘর হল “দ্য মিউজিয়াম অফ মডার্ন আর্ট”। বর্তমানে সময়ে আধুনিক চিত্রকর্মের জগতে যাদের আনাগোনা রয়েছে তাদের জন্য রীতিমতো একটি তীর্থস্থান বলা চলে এই জাদুঘরকে। বিখ্যাত এই জাদুঘরটি যেমন সশরীরে ঘুরে আসা যায় ঠিক তেমনি মডার্ন আর্টের সাথে আষ্টেপৃষ্ঠে মিশে যাওয়ার জন্য অনলাইনেও দেখতে পারেন এই জাদুঘরটি।

এই জাদুঘরটি এখনো উত্তর আধুনিক এবং আধুনিক শিল্পের বিকাশ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের গবেষণাধর্মী কাজ করছে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের আধুনিক শিল্পের সংগ্রহশালা হিসেবেও দীর্ঘদিন ধরে বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে। বর্তমান সময়ে আধুনিক শিল্পের জাদুঘর হিসেবে বহুল জনপ্রিয় এই জাদুঘরটিই হতে পারে আমাদের এখনকার শিল্পের ধারক ও বাহক। কে জানে, শত বছর পর হয়ত এই জাদুঘরটিতে এক নজর চোখ বুলিয়েই বর্তমান সময়ের শিল্প কর্মের উপর মানুষ তথ্য উপাত্ত্ব সংগ্রহ করবে!

জাদুঘরটি ঘুরে আসতে ক্লিক করুন এখানে- দ্য মিউজিয়াম অফ মডার্ন আর্ট

তাহলে আর দেরি কেন, এখনই জানা-অজানাকে ছুঁয়ে দেখুন, নতুন করে জানুন যা কিছু অধরা। করোনার প্রাদুর্ভাব রুখে দিতে ঘরে বসেই, কেবলমাত্র ইন্টারনেট সংযুক্ত একটি ডিভাইস থাকলেই আপনি পেতে পারেন এমন চমৎকার একটি ট্যুরের স্বাদ।

লেখক- ইকবাল মাহমুদ ইকু 

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *