আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯: সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী ১০ ব্যাটসম্যান 1 min read
Reading Time: 4 minutes২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে ব্যাটসম্যানদের অধিপত্য থাকবে এমন ধারণা করছিলেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। বিস্ফোরক সব ব্যাটসম্যানে ঠাঁসা ইংল্যান্ড দল ৪০০ ছাড়ানো ইনিংস কতবার দর্শকদের উপহার দেবে বিশ্বকাপ শুরুর আগে এ নিয়ে আলোচনার শেষ ছিল না। বিশ্বকাপ শেষেও দেখা গেছে শীর্ষ দশ ব্যাটসম্যানদের মাঝে চারজনই বিশ্বকাপ জয়ী ইংল্যান্ডের। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপের শীর্ষ দশ রান সংগ্রাহকের তালিকা আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।
রোহিত শর্মা (ভারত)
ভারতের এই ওপেনিং ব্যাটসম্যান তার নামের পাশে যুক্ত করেছেন ২০১৯ বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের খেতাব। বিশ্বকাপের ৯টি ম্যাচে ৩২ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরি ছিলো ৫ টি, হাফসেঞ্চুরি ছিলো ১ টি। তার ব্যাট থেকে আসা মোট রান ছিল ৬৪৮। এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল বিশ্বকাপের এক আসরে করা টেন্ডুলকারের সর্বোচ্চ ৬৭৩ রানের রেকর্ডটি তিনি ভেঙ্গে দেবেন।
ডেভিড ওয়ার্নার (অস্ট্রেলিয়া)
অস্ট্রেলিয়ান এই ওপেনারের সম্পর্কে নতুন করে কি আর বলার আছে! বল টেম্পারিং এর দায়ে এক বছর ক্রিকেটের বাইরে থেকে ফিরে এসে বিশ্বকাপের সেরা ব্যাটসম্যানদের তালিকায় দ্বিতীয়তে নিজের নাম লিখিয়েছেন। ১০ ম্যাচে তার সেঞ্চুরির সংখ্যা ছিলো ৩, হাফসেঞ্চুরির সংখ্যা ছিলো ৩, মোট রান ছিলো ৬৪৭। বিশ্বকাপের এই আসরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৪৭ বলে সর্বোচ্চ ১৬৬ রান করেছিলেন তিনি।
সাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ)
বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ সফর আশানুরূপ না হলে সাকিব আল হাসান আবার প্রমাণ করেছেন তিনি কেন সেরা অলরাউন্ডারদের সেরা। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে রেকর্ড বইয়ের পাতা ওলট-পালট করে দিয়ে সাকিব টুর্নামেন্ট শেষ করেছিলেন ৬০৬ রান, ২ সেঞ্চুরি, ৫ হাফসেঞ্চুরি ও ১১ উইকেট নিয়ে।
আরও পড়ুন- ২০১৯- ক্রিকেটে সাকিবময় একটি বছর
কেন উইলিয়ামসন (নিউজিল্যান্ড)
নিউজিল্যান্ড দলের বর্তমান মহাতারকা কেন উইলিয়ামসন এই বিশ্বকাপে ব্যাটিং ও অধিনায়কত্ব উভয় ক্ষেত্রে তার পারদর্শীতার প্রমাণ দিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে উইলিয়ামসন ৩য় দ্রুততম ব্যাটসম্যান হিসেবে ৬,০০০ রানের (১৩৯ ইনিংস) খাতায় নিজের নাম লিখিয়েছেন৷ তিনি ১০ ম্যাচে তিনি ২ হাফসেঞ্চুরি, ২ সেঞ্চুরি ও ৫৭৮ রান সংগ্রহ করেছেন৷ নিউজিল্যান্ডকে ব্যাট হাতে এবং ঠাণ্ডা মাথায় নেতৃত্ব দিয়ে ফাইনাল ম্যাচ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার পুরস্কারস্বরূপ টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার উঠেছিল উইলিইয়ামসনের হাতেই।
জো রুট (ইংল্যান্ড)
ইংল্যান্ডের এই টেস্ট অধিনায়ক ওয়ানডে ক্রিকেটেও যে ব্যাট হাতে সমান পারদর্শী তার প্রমাণ তিনি এ বিশ্বকাপের মাঠেই দিয়েছেন। প্রথম ইংলিশ ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্বকাপের এক আসরে ৫০০ রান করেন তিনি। ১১টি ম্যাচে ২ সেঞ্চুরি ও ৩ হাফসেঞ্চুরি সমেত তার মোট রান ছিলো ৫৫৬।
জনি বেয়ারস্টো (ইংল্যান্ড)
ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের উদ্বোধনী জুটি মানে যেন প্রতিপক্ষের বোলারদের জন্য শক্ত প্রাচীর। জেসন রয় ও বেয়ারস্টো ৮৮.৮০ গড়ে বিশ্বকাপের প্রতি ম্যাচে রান তুলেছেন । ইংল্যান্ডকে বিশ্বকাপ জেতাতে ১১ টি ম্যাচে ২ সেঞ্চুরি ও ২ হাফসেঞ্চুরি সহ বেয়ারস্টো মোট রান করেছেন ৫৩২।
অ্যারোন ফিঞ্চ (অস্ট্রেলিয়া)
বিশ্বকাপের অস্ট্রেলিয়া দলকে ‘সর্বকালের সবচেয়ে দুর্বলতম অস্ট্রেলিয়ান দল’ বলা হচ্ছিল। তবে ব্যাট হাতে এই বিশ্বকাপে নিজের জাত চেনাতে পেরেছেন অ্যারোন ফিঞ্চ। ২ সেঞ্চুরি ও ৩ হাফসেঞ্চুরি সহ এই আসরে ফিঞ্চের মোট রান ছিলো ৫০৭।
বাবর আজম (পাকিস্তান)
পাকিস্তানের ক্রিকেটের নতুন মহাতারকা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার পথে বাবর আজম এই বিশ্বকাপে ১ সেঞ্চুরি ও ৩ হাফ সেঞ্চুরি সহ মোট রান করেছেন ৪৭৪।
বেন স্টোক (ইংল্যান্ড)
ইংল্যান্ডের এই অলরাউন্ডার ব্যাট–বল উভয় ক্ষেত্রেই সমান দক্ষ। অনেকে ধারণা করেছিলো, “প্লেয়ার অফ দ্য টুর্নামেন্টের” পুরষ্কার স্টোকসের ঝুলিতেই যাবে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচে তার ৯৮ বলে ৮৪ রানের ইনিংসটি ক্রিকেটমোদীরা মনে রাখবেন অনেক দিন। অবধারিতভাবেই বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন তিনি। ১১ ম্যাচে ৫ হাফ সেঞ্চুরিসহ তার মোট রান ছিলো ৪৬৫।
জেসন রয় (ইংল্যান্ড)
ইংল্যান্ডকে ঝরো শুরু এনে দিতে বেশ সিদ্ধহস্ত জেসন জয়। প্রাদপ্রদীপের অনেকটা বাইরে থাকা এই ইংলিশ ক্রিকেটার ৮ ম্যাচে ১ সেঞ্চুরি ও ৪ টি হাফ–সেঞ্চুরিসহ মোট রান করেছিলেন ৪৪৩।
লেখক- পূজা ধর
আরও পড়ুন- ক্রিকেট বিশ্বকাপের ইতিহাসে শীর্ষ ১০ রান সংগ্রাহক ব্যাটসম্যান