বিডিআর বিদ্রোহ আর পিলখানায় হত্যাকান্ড দুটি ভিন্ন বিষয়!1 min read
Reading Time: 3 minutesবিডিআর বিদ্রোহ আর পিলখানায় হত্যাকান্ড বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ন টার্নিং পয়েন্ট। অনেকেই ভাবেন বিদ্রোহ এবং হত্যাকান্ড দুটি ভিন্ন বিষয়। সেই বিতর্কে না যাওয়াই ভাল।
তৎকালীন বিএনপির আমলে ভঙ্গুর একটি শাসন ব্যবস্থা, কথিত দূর্নীতির আহাজারি আর ইয়াজউদ্দীন কে দিয়ে একটি পাতানো নির্বাচনের চেষ্টায়, দেশ রশাতলে ডুবে গিয়েছিল আখ্যা দিয়ে, ১/১১ তে একটি সেনা শাসিত সরকার আসে। তারা তখন বলেছিল ‘বাংলাদেশ নামক ট্রেনটিকে আবার রেল লাইনের উপরে দাড় করিয়েছেন’ তারা। কথা ছিল ট্রেন টিক ভাবেই চলবে, বাংলাদেশ সুশাসন আর উন্নয়নের দিকেই ধাবিত হবে। বন্ধ হয়েছিল একটি ত্রুটি পূর্ন নির্বাচন যেটিকে পাতানো নির্বাচন বলেই ভাবতেন বেশিরভাগ মানুষ।
২০০৭ সালের সে নির্বাচন বন্ধের পর কিছু কাজ হয় বাংলাদেশে যা তার জন্মের পর প্রথম কিছু ভাল কাজ হিসেবে বিবেচিত ছিল। ভোটার তালিকা প্রনয়ন হয় দু বছর ধরে ,একটি সুষ্ট নির্বাচনের জন্য। নির্বাচন কমিশনে আসে কিছু দক্ষ মানুষ। দূনীতি দমন কমিশনে রুজু হয় অনেক মামলা।রাজস্ব বোড আয়কর প্রদানকে বাধ্যতামূলক করে, যার প্রেক্ষিতেই নিজস্ব রাষ্ট্রীয় ভান্ডার শক্ত হতে থাকে। অনেকগুলো খারাপ কাজও হয়েছিল সে সময়।গনমাধ্যমের উপর খড়গ নেমে আসে অনেক খানি। তবুও ট্রেনটি যেন সঠিক পথে আর সঠিক গতিতে চলতে পারে সেই পথে অনেক অপ্রিয় কাজ করেছিলেন তারা।তাদের চলে যাওয়ার পর, নতুন সরকার আসলে প্রথমেই যে বড় ধাক্বাটা আসে, সেটাতে বিডিয়ার-এর অনুষ্ঠানে থাকা ৫৭জন চৌকষ সেনাকর্মকর্তা নিহত হন। দূভাগ্যক্রমে তাদের বেশিরভাগই ছিলেন, পরম দেশপ্রেমিক আর জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী।এর পর ঐ বিডিআর বিদ্রোহ মামলায় জেলে গিয়ে মৃত্যু বরণ করেছেন বিএনপির স্থানীয় আরেক পলোয়ান রাজনীতিক নাসির উদ্দীন আহমেদ পিন্টু।বহাল তবিয়তে আছেন তার-ই এক সময়ের প্রতিদ্বন্দী হাজি সেলিম।
আইন কিংবা জিঙ্গাসাবাদের আওতায় আনা হয়নি, ধানমন্ডির সংসদ সদস্যকে,যার বাসায় বিদ্রোহী জওয়ানদের কেউ কেউ দেখা করেছিলেন বলে তখন সংবাদ বেরিয়েছিল। ২০০৮ এর পর নতুন সরকার গঠনকারী দল বরাবরই দাবী করেন, ‘ভিন্ন পথে সরকার অথবা ক্ষমতা দখলের সব পথ তারা বন্ধ করেছেন’। কিভাবে তারা বন্ধ করেছেন এটা তারা জানেন। তবে, এটা সত্য সেই সরকার ছিল, ‘ভিন্ন পথে ক্ষমতা দখল করে আসা একটি সরকারের হাতে নির্বাচনের ফসল’। সেটা নিয়ে বেশি কথা বলছি না।
বলছি যেই ভিন্ন পথের সরকার দেশটিকে সঠিক পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য তখন রাষ্ট্রক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করে ২ বছর পরে একটি নতুন সরকার উপহার দিয়েছিলেন, সেই সরকারের হাতে ভোট ব্যবস্থা’র মৃত্যু হয়েছে।এখন আর নির্বাচন কমিশনে শক্ত মানুষ দেখা যায় না।বিচার ব্যবস্থায় গলাটুটি ধরা, যেখানে সাবেক প্রধান বিচারপতি দেশে ফিরতে হন্যে হয়ে ,পাগলের মত ভিন দেশে দেশে ঘুরলেও ফিরতে পারে না।সেই সরকারের আমলে দায়ের করা দূর্নীতির মামলা ২ দলের দুই প্রধান সহ শত বড় নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। সেই মামলা এক নেত্রীর বেলায় তুলে নেয়া হয়েছে, অন্য নেত্রীর ৫ বছরের জেল হয়েছে। এক দলের সব নেতার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা, নিষ্ক্রিয়। অন্য দলের নেতারা দৌড়ের আছেন উপর।
ব্যাংক থেকে ৭৩ হাজার কোটি টাকা পাচার হলেও মুদ্রা পাচারে কেউ গ্রেফতার হন না। , অথচ সেই সরকার, প্রনীত শক্ত আয়কর আইনের সুফলে, রাজস্ব ভান্ডার বেশ শক্তিশালী এখন।সেটাই বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কাজ এগিয়ে নেয়ার প্রধান হাতিয়ার।উন্নয়ন হচ্ছে, পদ্মা সেতুর পিলার বসছে একটি একটি করে। কিন্তু বিডিয়ার বিদ্রোহে হারিয়ে যাওয়া সুর্য সন্তানদের ঝুকির বিনিময়ে ঐ ২ বছরে অর্জিত সব অর্জন গুলোও মিলিয়ে গেছে তাদের মত করে।
এখন ভোট ডাকাতি নিয়ে কথা হয় না, ব্যাংক ডাকাতি নিয়ে কথা হয় না।জেএমবি/বাংলাভাই দমনে কর্নেল গুলজারের মত কৌশলী পন্থা দরকার হয় না, মেরে সাবাড় করে দিলেই সব হয়ে যায়। এই হলো ৫৭ অফিসারের জীবনের বিনিময়ে একটি সেনা শাসিত তত্বাবধায়ক সরকারের হাতে গঠিত পরবর্তী বাংলাদেশের চিত্র। এমেনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের হিসাবে, মুক্তমত বিহীন, গুম আর খুনের,আতঙ্কের এক বাংলাদেশের চিত্র। অথচ,বাংলাদেশ ওঠার কথাছিল একটি সুশাসন, গনতন্ত্র আর উন্নয়নের ট্রেন লাইনে। সেই ট্রেন লাইন বানাতে গিয়েই চাওয়া-পাওয়ার বেদনা-ক্ষোভ থেকেই জন্ম নেয় ২৫ ফেব্রয়ারী।
৯ বছর পার হয়েছে। ৫৭ সেনা কর্মকর্তার জীবন বৃথা যাওয়া উচিৎ নয়। বাংলাদেশ নামক ট্রেনটি সঠিক পথেই থাক।এগিয়ে যাক।ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হোক।মুক্তমত মুক্তি পাক।রাঘব বোয়ালদের বিচার হোক। হারিয়ে যাওয়া বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা।
–সাহেদ আলম, সাংবাদিক/ভিডিও ব্লগার।
abdullah muzahid
vi a assalamualaikum, ami aabdullah muzahid. ami apner moto kaj suru korte chai.apner pora moraho abong sohojugita pela upokrito hobo.ami turkey te thaki.apner reply ar opekkhay thakbo.Allah hafej