অর্থনীতি বাংলাদেশ

জিডিপি ভিত্তিক উন্নয়নঃ লাভবান হচ্ছে কে?1 min read

অক্টোবর ২৫, ২০১৯ 5 min read

author:

জিডিপি ভিত্তিক উন্নয়নঃ লাভবান হচ্ছে কে?1 min read

Reading Time: 5 minutes

জিডিপি ঘিরে আলোচনায় সরগরম বাংলাদেশ। জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৮ ছাড়িয়ে গেছে। অর্থমন্ত্রী স্বপ্ন দেখাচ্ছেন দুই অংক ছুয়ে দেবার। বিভিন্ন পরিসংখ্যানে বলা হচ্ছে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছাড়িয়ে যাবে এশিয়ার অনেক দেশকেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এই প্রবৃদ্ধিতে লাভবান হচ্ছে কে?

বিস্তারিত যাবার আগে আমরা পাঠকদের জিডিপি কি এবং এটা কিভাবে পরিমাপ করা হয় তার মৌলিক কিছু বিষয় এর সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে চাই 

কোনো একটি অঞ্চলের জিডিপি দ্বারা মূলতো একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে ঐ অঞ্চলের ভেতরে উৎপাদিত পণ্য ও সেবার মোট বাজারমূল্যকে বোঝায়, যা অঞ্চলটির অর্থনীতির আকার নির্দেশ করে। বিবেচ্য অঞ্চলটি যদি একটি দেশ হয়, তবে একে মোট দেশজ উৎপাদন নামেও ডাকা হয়। 

জিডিপি পরিমাপ ও বোঝার সবচেয়ে সাধারণ উপায় হচ্ছে ব্যয় পদ্ধতি:

জিডিপি = ভোগ + বিনিয়োগ + (সরকারী ব্যয়) + (রপ্তানি আমদানি)

এই ইকোয়েশনের দিকে একটু মনোযোগ দিলেই দেখা যাবে একটা দেশের জিডিপি বাড়ার পেছনে অনেক গুলো ফ্যাক্টর কাজ করতে পারে। আমরা একটা একটা করে খুব সংক্ষেপে এই ফ্যাক্টর গুলো নিয়ে আলোচনা করবো 

ভোগ

জিডিপি পরিমাপের অন্যতম প্রধান একটি ফ্যাক্টর হচ্ছে ভোগ। অর্থাৎ কোন কারণে যদি কোন দেশের লোকজন টাকা-পয়সা খরচ করা বাড়িয়ে দেয় সেই ক্ষেত্রে জিডিপির পরিমাণ বাড়তে পারে। ধরা যাক, আপনি প্রবাসী। ভয়াবহ প্রাকৃতিক দূষণের কারণে যদি আপনার সন্তান ক্যানাসারে আক্রান্ত হয়, আপনি যদি সেই ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য টাকা পয়সা খরচ করেন, ঔষুধ কিনেন, সন্তানকে হাসপাতালে ভর্তি করেন তবে আপনি দেশের জিডিপি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছেন। 

বিনিয়োগ

যে কোন ধরণের সরকারি/বেসরকারি বিনিয়োগ দেশের জিডিপি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

সরকারি ব্যয়

সরকারি ব্যয়ও দেশের জিডিপি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। অর্থাৎ বালিশের দাম ১৭ হাজার টাকা বা ভারতের তূলনায় কয়েক গুণ বেশি খরচে রাস্তা/ফ্লাই ওভার নির্মাণের যে ব্যয়, এসবই জিডিপি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। 

রপ্তানি-আমদানি

রপ্তানি এবং আমদানির ব্যালেন্সও জিডিপি তে ভূমিকা রাখে।

তাহলে এতটুকু সহজেই বুঝা যাচ্ছে যে জিডিপি সত্যিকার অর্থে জনগণের প্রকৃত অবস্থার কতটুকু পরিবর্তন ঘটেছে তা নির্দেশ করে না। 

এই অবস্থায় “উন্নয়নের প্রকৃত ফল ভোগকারী কারা তা খুঁজে বের করতে আমরা কিছু মৌলিক নির্দেশক ব্যবহার করবো যার সাথে সাধারণ জনগণের জীবন মানের পরিবর্তন সরাসরি জড়িত।  

আজকের বিশ্লেষণে আমাদের ব্যবহৃত নির্দেশকগুলো হচ্ছে –

১) বেসরকারি বিনিয়োগ    ২) সঞ্চয়    ৩) বেকারত্ব    ৪) আয় বৈষম্য

বেসরকারি বিনিয়োগ 

অর্থনীতিতে এখন যে কয়টা বড় চিন্তার বিষয় রয়েছে, তার মধ্যে বেসরকারি বিনিয়োগ অন্যতম। সাধারণত সরকারি বিনিয়োগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়তে থাকে। তবে বাংলাদেশে হচ্ছে উল্টোটা। সরকারি বিনিয়োগ দ্রুত হারে বাড়লেও বেসরকারি বিনিয়োগ সেই হারে বাড়ছে না।

বেসরকারি বিনিয়োগের সঙ্গে আবার কর্মসংস্থানের যোগ রয়েছে। কারখানা বাড়লে মানুষের কাজের সুযোগ বাড়ে। কাজ পেলে আয় বাড়ে, সেই সঙ্গে বাড়ে জীবনযাত্রার মান। কিন্তু দেশে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান না হওয়ায় প্রবৃদ্ধির সুফল সবার ঘরে পৌঁছাচ্ছে কি না, সেই প্রশ্নও রয়েছে।

বাংলাদেশে বিনিয়োগ নির্দিষ্ট কিছু গোষ্ঠীর মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে, কিছু ধনী ও প্রভাবশালীদের মধ্যে সবকিছু ধরে রাখা—এ ধরনের একটা প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। সহজ ভাষায় বলতে গেলে যিনি গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ছিলেন, তিনিই কন্সট্রাকশন বিজনেসে নামছেন, তিনিই বেসরকারি বিশ্ব বিদ্যালয় দিচ্ছেন, আবার তিনিইও টিভি চ্যানেল খুলছেন। 

দেশে সরকারি নিয়মনীতি সমভাবে প্রয়োগ হয় না। বিদ্যমান বিনিয়োগকারীরা এ ধরনের পরিবেশে অভ্যস্ত। ঘুষ বা বাড়তি অর্থ ব্যয় করে লাইসেন্স, অনুকূল নীতি, সেবা সংযোগ তারা আদায় করে নিতে পারে। ব্যাংকও তাদের ঋণ দেয়। কিন্তু নতুন ও মাঝারি বিনিয়োগকারীরা সেটা পারেন না।

দেশে এর ফলে বিনিয়োগ কিছু শিল্পগোষ্ঠীর মধ্যে পুঞ্জীভূত হয়ে আছে। বিনিয়োগ বড়দের মধ্যে পুঞ্জীভূত হওয়ার প্রমাণ বিভিন্ন সংস্থার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে পাওয়া যায়। যেমন ২০১১-১২ অর্থবছরে ঋণের ৬২ শতাংশ ছিল বড় শিল্পে। সর্বশেষ অর্থবছরে সেটা ৭৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। বিপরীতে এ ক্ষেত্রে মাঝারি শিল্পের হিস্যা ৩১ থেকে কমে ১৪ শতাংশে নেমেছে। বিবিএসের উৎপাদনমুখী শিল্প জরিপ বলছে, গত ছয় বছরে মাঝারি কারখানার সংখ্যা অর্ধেকে নেমেছে, ক্ষুদ্র শিল্প বেড়েছে।

দেশের রপ্তানি খাতের মধ্যে সবচেয়ে বড় পোশাক খাত। গত পাঁচ বছরে এ খাতেও বড় গ্রুপগুলো ব্যবসা সম্প্রসারণ করেছে। মাঝারি ও ছোটরা তেমন একটা পারেনি।

সঞ্চয় 

বিনিয়োগ সঞ্চয় থেকে আসে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের তুলনায় ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দেশজ সঞ্চয় এবং জাতীয় সঞ্চয় উভয়ই কমেছে। দেশজ সঞ্চয় ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জিডিপির ২৫.৩৩ শতাংশ থেকে কমে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২৩.৬১ শতাংশ হয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে জাতীয় সঞ্চয় জিডিপির ২৯.৬৪ শতাংশ ছিল। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে কমে ২৮.০৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ অধিকাংশ মানুষের আয় কমেছে অথবা ভোগ ব্যয় এত বেড়েছে যে তাঁরা সঞ্চয় করতে পারছেন না।

আবার পুরো সঞ্চয়ও বিনিয়োগে পরিণত হচ্ছে না। দিন দিন সঞ্চয় এবং বিনিয়োগের মধ্যে ফারাক বাড়ছে। পুঁজি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগলে বা পাচার হলে এই ফারাক বাড়ে। গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির হিসাবে ২০০৬-২০১৫ সময়কালে বাংলাদেশ থেকে ৫ দশমিক ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচার হয়ে গেছে।

বেকারত্ব

২০১৬-১৭ অর্থবছর দেশে বেকারের সংখ্যা ২৭ লাখে দাঁড়িয়েছে, যা আগের বছরের চেয়ে ১ লাখ বেশি। সার্বিকভাবেও বাংলাদেশে বেকারত্বের হার বাড়ছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ‘এশিয়া-প্যাসিফিক এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল আউটলুক-২০১৮’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেড় যুগ আগে ২০০০ সালে দেশে বেকারত্বের হার ছিল ৩.৩ শতাংশ। এ হার ২০১৭ সালে দাঁড়িয়েছে ৪.৪ শতাংশে। এই বেকার বলতে আবার এক সপ্তাহে অর্থের বিনিময়ে কোনো ধরনের কাজ না পাওয়া লোককে বোঝানো হয়েছে।

২০১৯ সালে জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের উত্তরে মুন্নুজান সুফিয়ান বলেন, ‘বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সম্প্রতি প্রকাশিত শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সারা দেশে বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ ৭৭ হাজার। এর মধ্যে ১০ লাখ ৪৩ হাজার শিক্ষিত তরুণ-তরুণী যারা উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস।’ 

অর্থাৎ শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা প্রায় ৪০ শতাংশ। অন্যদিকে যাঁরা পড়াশোনা করতে পারেননি, মোট বেকারদের মধ্যে তাঁদের হার সবচেয়ে কম, মাত্র ১১ দশমিক ২ শতাংশ।

এবার আসা যাক, ডিগ্রিধারীদের নিজেদের মধ্যে বেকারত্বের হার কেমন সেই চিত্রে। শ্রমশক্তি ২০১৬-১৭ জরিপে বলা হয়েছে, উচ্চমাধ্যমিক পাস তরুণ-তরুণীদের মধ্যে বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি প্রায় ১৫ শতাংশ। উচ্চমাধ্যমিক পাস করে ৬ লাখ ৩৮ হাজার তরুণ-তরুণী কোনো কাজ পাননি। তাঁরা আর পড়াশোনা করতে চান না, কাজ করতে চান। স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে ৪ লাখ ৫ হাজার লোক এখনো পছন্দ অনুযায়ী কাজ পাননি। স্নাতক ডিগ্রিধারীদের মধ্যে বেকারত্বের হার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ, ১১.২ শতাংশ। অন্যদিকে পড়াশোনা করার সুযোগ পাননি, এমন মানুষের মধ্যে বেকারত্বের হার সবচেয়ে কম, মাত্র ৩ লাখ।

শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী, দেশে প্রাথমিক পাস করা বেকার আছে ৪ লাখ ২৮ হাজার। প্রাথমিক পাস করাদের মধ্যে বেকারত্বের হার ২.৭ শতাংশ। মাধ্যমিক পাস বেকারের সংখ্যা প্রায় ৯ লাখ। তবে মাধ্যমিক পাস করাদের মধ্যে বেকারত্বের হার ৪.৭ শতাংশ।

বড় অংশের তরুণ আবার নিষ্ক্রিয়, যাঁরা শিক্ষায় নেই, প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন না, আবার কর্মসংস্থানও খুঁজছেন না। দেশে এমন তরুণের হার ২৭ দশমিক ৪ শতাংশ।

দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে বেকারত্বের হার বাংলাদেশেই বেশি। ২০১০ সালের পর থেকে প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কা ও ভুটান এ হার কমিয়ে এনেছে। ভারতে স্থিতিশীল রয়েছে। তবে বেড়েছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও নেপালে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল আউটলুক-২০১৮’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।

বেকারত্বের একটা বড় কারণ শিল্পের চাহিদার সঙ্গে পড়াশোনা ও দক্ষতার মিল না থাকা। পোশাকশিল্পে প্রচুর লোকের দরকার। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে এ সংশ্লিষ্ট পড়াশোনা নেই। 

আয় বৈষম্য

বেকারত্ব এবং বেসরকারি বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিশ্লেষণে এটা পরিস্কার যে উন্নয়ন সবার হচ্ছে না। নির্দিষ্ট একটা শ্রেনীর হচ্ছে। এই বাস্তবতাকে যাচাই করার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে আয় বৈষম্য এর বাস্তব অবস্থা বিশ্লেষণ করা।

কাগজে-কলমে বাংলাদেশের গরিব মানুষের আয় কিছুটা বেড়েছে। তাঁদের আয়ের প্রবৃদ্ধি জাতীয় আয়ের প্রবৃদ্ধির চেয়ে বেশি। আবার বৈষম্যও বেড়েছে।

অতি ধনী বৃদ্ধির হারের দিকে বাংলাদেশ বিশ্বে প্রথম। ধনী বৃদ্ধির হারে তৃতীয়। দ্রুত মানুষের সম্পদ বৃদ্ধি বা ধনী হওয়ার যাত্রায় বাংলাদেশ এগিয়ে থাকলেও অতি গরিব মানুষের সংখ্যাও কিন্তু কম নয়। অতি গরিব মানুষের সংখ্যা বেশি এমন দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম। বাংলাদেশে ২ কোটি ৪১ লাখ হতদরিদ্র মানুষ আছে। বিশ্বব্যাংক ‘পভার্টি অ্যান্ড শেয়ার প্রসপারিটি বা দারিদ্র্য ও সমৃদ্ধির অংশীদার-২০১৮’ শীর্ষক প্রতিবেদনে সবচেয়ে বেশি হতদরিদ্র মানুষ আছে, এমন ১০টি দেশের তালিকা তৈরি করেছে। ক্রয়ক্ষমতার সমতা অনুসারে (পিপিপি) যাঁদের দৈনিক আয় ১ ডলার ৯০ সেন্টের কম, তাঁদের হতদরিদ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটা আন্তর্জাতিক দারিদ্র্যরেখা হিসেবে বিবেচিত হয়।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, সবচেয়ে গরিবের আয়ের ভাগ ২ থেকে অর্ধেক কমে দাঁড়িয়েছে ১.০১ শতাংশে। জনসংখ্যার ৯০ শতাংশের আয়ের ভাগই হয় কমেছে বা এক জায়গাতেই থমকে আছে। বিপরীতে সবচেয়ে ধনী ৫ শতাংশ মানুষের আয়ের ভাগ ছিল ২০১০ সালে ২৪.৬১, এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭.৮৯ শতাংশে। শীর্ষ ১০ শতাংশ ব্যক্তির আয়ের ভাগ ৩৫.৮৪ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮.১৬ শতাংশে। এর অর্থ, সমাজের মুষ্টিমেয় মানুষের কাছে অধিক হারে সম্পদ পুঞ্জীভূত হচ্ছে। সিংহভাগ মানুষ উন্নয়নের কোনো সুফল পাচ্ছে না। যে প্রবৃদ্ধি সমাজের বৃহত্তর অংশের ন্যূনতম মৌলিক চাহিদা মেটাতে পারছে না, তাকে সত্যিকার উন্নয়ন বলা যায় না। 

সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, বিত্তবান এবং বিত্তহীনের ব্যবধান বৃদ্ধি পাচ্ছে আশঙ্কাজনকভাবে। গিনি কোয়েফিশিয়েন বা গিনিসহগ দিয়ে এটা পরিমাপ করা হয়। বিত্তবান-বিত্তহীনের ব্যবধান দশমিক ৪ পর্যন্ত সহনীয় বলে মনে করা হয়। আমাদের দেশে এটা বর্তমানে দশমিক ৫-এর কাছাকাছি রয়েছে।

বাস্তবতা হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে। এতে একজন দরিদ্র মানুষের জীবনেও কিছু কিছু উন্নতি হয়েছে। কিন্তু বৈষম্য অনেক বেড়েছে। আর আয় বৈষম্য বৃদ্ধি একটা সত্যকে বার বার সামনে নিয়ে আসে। তা হলো এই “উন্নয়ন সবার নয়। 

(পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ-এই প্রতিবেদন তৈরীতে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকার প্রতিবেদন এবং বিভিন্ন সংস্থার রিপোর্ট ব্যবহৃত হয়েছে। এটি কোন মৌলিক প্রতিবেদন নয়।) 

আরও পড়ুন- কতটা ঝুকিতে বাংলাদেশের অর্থনীতি?

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *