বিরতি দিয়ে দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ রাখার দাবি বিএনপির1 min read
Reading Time: < 1 minuteপ্রধানমন্ত্রী পদে একই ব্যক্তির দুই বারের বেশি আসতে না পারা সংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাবে দ্বিমত করার যুক্তি তুলে ধরেছে বিএনপি।
দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেছেন, ”প্রধানমন্ত্রীর পদের ক্ষেত্রে একটা বিতর্ক আছে। পরপর দুই বারের বেশি কেউ এই পদে থাকবেন না। অর্থাৎ গ্যাপ দিয়ে এরপরে হতে পারে।”
“অন্তর্বর্তী সরকারের বা কেয়ারটেকার গভর্নমেন্টের অধীনে ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার, নিউট্রাল নির্বাচন হতে পারে। সেই চর্চার মধ্য দিয়ে জনগণ যদি একটি দলকে বার বার চায়, তার মানে জনগণ তাদের ম্যান্ডেট দিয়েছে। সেই ক্ষেত্রে পার্টিরও তো একটা স্বাধীনতা থাকা উচিত। তার মানে এই না যে একই ব্যক্তিকে বার বার প্রধানমন্ত্রী করা হবে। সেটা তাদের স্বাধীনতা যারা মেজরিটি হবে পার্লামেন্ট তাদের।“
আজ মঙ্গলবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপি প্রতিনিধি দলের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সামনে তিনি এই কথা বলেন।
পাঁচটি সংস্কার কমিশনের দেওয়া সুপারিশগুলোর ওপর মতামত দিতে তৃতীয় দিনের মতো আজ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় বসে বিএনপি। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ও রোববার দিনভর আলোচনার পরে বৈঠক মূলতবি করা হয়েছিলো।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, একই ব্যক্তি যাতে তিনটি পদে না থাকেন– প্রধানমন্ত্রী, দলীয় প্রধান এবং সংসদ নেতা এ নিয়েও আলোচনা হচ্ছে।
“মেজরিটি পার্টি এটা ডিসাইড করবে” বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
“সংসদ নেতার কোনো এক্সিকিউটিভ পাওয়ার নাই। সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী অনেকটা একটা অবিচ্ছেদ্য অংশের মতো। কিন্তু ইন-প্র্যাকটিক (বাস্তবে) দেখা গেছে এটাই সর্বোত্তম প্র্যাকটিস প্রধানমন্ত্রীই সংসদ নেতা থাকেন সংসদে সব কাজকর্ম সহজে করার জন্য।“
তিনি আরও বলেন, নারীর সংরক্ষিত আসনে নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে আমাদের ভিন্নমত আছে, ২১ বছর বয়স যে এমপিদের জন্য সেটা নিয়ে আমরা দ্বিমত পোষণ করেছি।
এই আলোচনায় সালাহউদ্দিন আহমেদ ছাড়াও অংশ নেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাঈল জবিউল্লাহ, আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল ও সাবেক সচিব আবু মো. মনিরুজ্জামান খান।