Pixar: অ্যানিমেশন দুনিয়ায় শ্রেষ্ঠ যেই স্টুডিও1 min read
Reading Time: 7 minutesআঙুলের মৃদু ছোঁয়ায় উল্টে দেখছেন ফেসবুকের পাতা। এর মাঝেই টুকরো কিছু ভিডিওতে চোখ আটকে গেলো আপনার। কখনো তারস্বরে চেঁচিয়ে বেড়ানো পাড়াতো কুকুর, কখনো ঢেউ খেলানো চুলের মিষ্টি মেয়ে, আবার কখনো কাজের চাপে অতিষ্ঠ পেশাদারের দীর্ঘশ্বাসের ছোট্ট নিবেদন। কার্টুনের মতো কিন্তু ঠিক কার্টুন নয় এরা। অনেকখানি রক্ত মাংস, অনেকখানি কল্পনার স্রোতে মেশানো চরিত্রগুলো আর গল্পগুলো খুব দ্রুতই আঁকড়ে ধরে আপনার মনোযোগ। এক নিঃশ্বাসে ভিডিওখানি শেষ করেই তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলেই ভাবেন, ‘ব্যাপারটা তো বেশ খাসা! মজারও আবার মুগ্ধকরও।‘
এগুলোই অ্যানিমেশন। ওয়াল্ট ডিজনি বা স্টুডিও গিবলির দ্বিমাত্রিক কার্টুনের দুনিয়া থেকে ভিন্ন আর জমকালো এই বিনোদন এখন বিলিয়ন ডলারের ব্যবসার কেন্দ্রবিন্দু। আর এই কোটি কোটি দর্শকের হৃদয়গ্রাহী ইন্ডাস্ট্রির ইতিহাসের শুরুটাই হয়েছে পিক্সার অ্যানিমেশন স্টুডিওর হাত ধরে।
শুরুর দিনের কথা
জন্মলগ্ন থেকেই কিন্তু এই স্টুডিওর নাম ‘পিক্সার’ নয়। আগ বাড়িয়ে বলা যায়, প্রথম দিকের কারিগরের ভাবনায় এমনতর কিছু ছিলই না। মার্কিন শিক্ষাবিদ ও উদ্যোক্তা আলেকজান্ডার শুরের মাথাতেই প্রথম পুরোদস্তুর অ্যানিমেশন স্টুডিও নির্মাণের পরিকল্পনা আসে। ১৯৭৪ সালে এডউইন ক্যাটমাল ও ম্যালকম ব্ল্যানচার্ডকে সঙ্গে নিয়ে যাত্রা শুরু করেন ‘কম্পিউটার গ্রাফিকস ল্যাবে’র। এই দলের সাথে পরে যোগ দেন আল্ভি রে স্মিথ ও ডেভিড ডি ফ্রান্সিসকো। কম্পিউটার বিজ্ঞানীদের দলের পেছেন সেই সত্তরের দশকেই ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঢেলেছিলেন শুর। কিন্তু শীঘ্রই পুরো দল টের পায় একমাত্র প্রযুক্তির সহায়তায় সেরা অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র তৈরি সম্ভব নয়। এর সাথে কল্পনা ও সৃজনী শক্তিরও গুরুত্ব প্রচুর।
তাই জগদ্বিখ্যাত দুই মহারথী ফ্রান্সিস ফোর্ড কপলা ও জর্জ লুকাসকে পেয়ে বর্তে গেলো সেই দল। এক বছরের মধ্যেই পুরো দল শুরের প্রজেক্টকে বিদায় জানিয়ে যোগ দিলো ‘লুকাস ফিল্মে’। ১৯৭৯ সালে যখন এই দল যুক্ত হয়, তখন তাঁদের গ্রাফিকসের একটা অংশ হিসেবে কাজ করতে হতো। পরে শুরেরই অর্থায়নে ‘দ্য ওয়ার্কস’ নামক একটি অ্যানিমেটেড ছবি তৈরির কাজে হাত দেয় তারা।
অনুপযুক্ত প্রযুক্তি এবং প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারের অভাবে বাস্তবে রূপ নিতে পারেনি অনেক প্রজেক্ট। তবে ১৯৮৩ সালে জন ল্যাসেটারকে ‘ইন্টারফেস ডিজাইনার’ হিসেবে নিয়োগ দিতেই আশার আলো দেখতে পায় তাঁরা। ১৯৮৪ সালের জুলাইয়ে মাত্র দুই মিনিটের ‘অ্যাডভেঞ্চার অফ আন্দ্রে এন্ড ওয়ালি বি’ দিয়ে তাক লাগিয়ে দেন জন।
স্প্যানিশ শব্দ ‘Pixer’ যার অর্থ ‘ছবি তৈরি’ এবং ইংরেজি শব্দ ‘Radar’ এর সংমিশ্রণে এরপরের বছরই কোম্পানি নাম রাখা হয় ‘Pixar’। দুই প্রতিষ্ঠাতা আল্ভি রে স্মিথ ও লরেন কারপেন্টারের এই নামের পরামর্শদাতা।
হাতবদলে পিক্সার
স্বপ্ন অ্যানিমেশন হলেও এর অর্থায়ন আসতো লুকাসের ছবির লভ্যাংশ থেকে। বেশ কিছু কাজে থুবড়ে পড়লে লুকাস পিক্সারের দায়িত্ব ছেড়ে দেন। এর আগে থেকেই অবশ্য পিক্সার গ্রাফিকস কম্পিউটার বিক্রি করে ব্যয়নির্বাহ করতো।
১৯৮৬ সালে স্টিভ জবস মাত্র ৫ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে পিক্সার স্টুডিও কিনে নেন লুকাসের কাছ থেকে। আরও ৫ মিলিয়ন ডলার দেন স্মিথ দলের হাতে। সেই পুঁজির গুণেই ওয়াল্ট ডিজনির সাথে কাজ করার সুযোগ মেলে পিক্সারের। ‘CAPS’ বা কম্পিউটার অ্যানিমেশন প্রোডাকশন সিস্টেমের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের এই চুক্তিই পরবর্তীতে বদলে দেয় ভবিষ্যৎ।
১৯৮৬ তে ল্যাসেটারের গুণে স্বল্পদৈর্ঘ্য ‘লুক্সো জুনিয়র’ আবার দৃষ্টি কাড়ে। অস্কারে সর্বপ্রথম কোন অ্যানিমেটেড ছবি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে মনোনয়ন পায়। ছোট্ট টেবিল বাতি আর রঙিন বলের মিনিট দুইয়ের গল্পে শিল্পের নবদিগন্ত উন্মোচিত হয়। তারই পথ ধরে ১৯৮৮ সালে ‘টিন টয়’ জয় করে নেয় অস্কার।
ডিজনির সাথে প্রথমে অ্যানিমেটেড বিজ্ঞাপন দিয়ে নামডাক জমালেও লাভ হচ্ছিলো না। ১৯৯১ সালে বিভাগ আর কর্মী বাড়ালেও লোকসানের মুখে কর্মী ছাটাই করে ৪২ এ নিয়ে আসে কোম্পানির প্রেসিডেন্ট চাক কোলস্টাড। তিতিবিরক্ত জবসও ১৯৯৪ সালে মাইক্রোসফটের কাছে পিক্সার বিক্রির পরিকল্পনা করতে থাকেন। কফিনের শেষ পেরেক হিসেবেই প্রথম কম্পিউটার অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র ‘টয় স্টোরি’ মুক্তি দেয় পিক্সার ও ডিজনি।
অ্যানিমেশনে নয়া দিগন্ত
ছোট্ট ছেলে অ্যান্ডি। ঘরভর্তি খেলনা থাকলেও ওয়েস্টার্ন কাউবয় উডি আর মহাকাশের সুপারহিরো বাজ লাইটইয়ারই তার নিত্যসঙ্গী। কিন্তু এক ঘরে কি দুই বাঘা খেলোয়াড়ের রাজত্ব জমে? ব্যস! শুরু হয়ে গেল উডি আর বাজের চুলোচুলি। আর সেই ছেলেমানুষি ঈর্ষা থেকেই বড়সড় অ্যাডভেঞ্চারের মুখোমুখি হতে হলো অ্যান্ডির পুরো খেলনা দলকে।
শিশুতোষ গল্প হলেও একেবারে মৌলিক ধারার প্রবর্তন করে বসে ‘টয় স্টোরি’। আর তাতেই কেল্লা ফতে পিক্সারের। গা ঝাড়া দিয়ে উঠে বসে এই কোম্পানি। ৩৭৪ মিলিয়ন ডলারের ব্যবসা করে বিশ্বের প্রথম সম্পূর্ণ কম্পিউটার অ্যানিমেটেড এই ছবি। পাশপাশি জন ল্যাসেটারেরও পূর্ণ দৈর্ঘ্যের পর্দায় পরিচালক হিসেবে অভিষেক ঘটে।
এই আকাশচুম্বী সফলতার সম্পর্কে ল্যাসেটার বলেন, ‘ আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছিল অ্যানিমেটেড ফিল্ম। অনেকে ভাবছিল, আমরা বুঝি ডিজনির গতানুগতিক দ্বিমাত্রিক ছবিগুলো বা মূলধারার ছবির সাথে পাল্লা দিতে চাইছি। কিন্তু এটা স্রেফ আরেকটা মাধ্যম। এতে মাত্রা বেশি, নির্মাণের ধরণ ভিন্ন, ছবি এঁকে অ্যানিমেশন তৈরি করতে গেলে যে সময় লাগে তার চেয়ে কম সময় এতে প্রয়োজন। তবে দিনশেষে ছবির প্রাণ গল্পই। লোকে ত্রিমাত্রিক বা কম্পিউটার অ্যানিমেশনের জোরে হলে আসেনি, এসছে কাহিনির শক্তিতে।‘ জন আর জবস পিক্সারের তৎকালীন দুই মাথাই অবশ্য এর পুরো কৃতিত্ব দিয়েছেন ক্রিয়েটিভ দলকে। দলীয় একতা আর স্বাধীনতাই এই শ্রেষ্ঠত্বের কারিগর বলে তাঁদের অভিমত।
২০০৬ সালে জবস শেয়ারের বড় এক অংশ ছেড়ে দেন ডিজনির কাছে। ফের হাতবদলের স্বাদ পায় পিক্সার। এখন অব্দি ডিজনির ছায়াতলেই আছে এই নন্দিত ফিল্ম স্টুডিও।
হৃদয়জয়ী ছবিরা
সাফল্যের স্বাদ পেয়ে রাতারাতি বখে যায়নি পিক্সার। বরং দ্বিগুণ মনোযোগে আগুন হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে নতুন কাজে। আর তারই প্রমাণ মেলে ‘এ বাগস লাইফ’ (১৯৯৮), ‘টয় স্টোরি ২’ (১৯৯৯), ‘মনস্টারস ইঙ্ক’ (২০০১), ‘ফাইন্ডিং নিমো’ (২০০৩), ‘দ্য ইনক্রেডিবলস’ (২০০৪), ‘কারস’ (২০০৬), ‘র্যাটাটুইলি’ (২০০৭), ‘ওয়াল-ই’ (২০০৮), ‘আপ’ (২০০৯), ‘টয় স্টোরি ৩’ (২০১০), ‘কারস ২’ (২০১১), ‘ব্রেভ’ (২০১২), ‘মনস্টারস ইউনিভার্সিটি’ (২০১৩), ‘ইনসাইড আউট’ (২০১৫), ‘ফাইন্ডিং ডরি’ (২০১৬) , ‘কারস ৩’ (২০১৭), “কোকো’ (২০১৭), ‘দ্য ইনক্রেডিবলস ২’ (২০১৮), ‘টয় স্টোরি ৪’ (২০১৯), ‘অনওয়ার্ড’ (২০২০)।
এর মধ্যে ‘ফাইন্ডিং নিমো’, ‘দ্য ইনক্রেডিবলস’’, ‘ওয়াল-ই’ ‘আপ’, ‘র্যাটাটুইলি’, ‘টয় স্টোরি ৩’, ‘কোকো’,’টয় স্টোরি ৪’, ‘ব্রেভ’, ‘ইনসাইড আউট’ শ্রেষ্ঠ ফিচার অ্যানিমেটেড ফিল্মের পুরস্কার জিতে নেয় অস্কারে। ২০০১ সালে একাডেমী এ্যাওয়ার্ডে এই বিভাগ চালুর পর থেকে যেন নিয়মই হয়ে দাঁড়িয়েছে পিক্সারের মনোনয়ন। ওদিকে গ্র্যামি আর গোল্ডেন গ্লোবের হিসেব গুনতে গেলে তো গলদঘর্ম হতে হবে!
ব্যবসায়িক দিক দিয়ে সাফল্যের চূড়ায় আরোহণ করেছে বহু আগেই। পিক্সারের সবচেয়ে কম আয়ের পরিমাণও হলো ৩৬৪ মিলিয়ন ডলার। আর সবচেয়ে বেশি আয়ের রেকর্ড আছে ‘টয় স্টোরি ৪’ এর, ১.৭ বিলিয়নেরও উপর এর বিশ্বজুড়ে আয়ের পরিমাণ।
পিক্সারের আদবকেতা
জীবন্ত পুতুল কিংবা জগতজয়ী লালচুলো মেয়ে, অথবা কথা কওয়া গাড়ি- এসব দর্শকপ্রিয় চরিত্রগুলো যারা তৈরি করেন তাদের সম্পর্কে চলুন জেনে নিই আরেকটু। কথায় উদয়াস্ত খেটে মরেন এই শিল্পীরা, কার ছড়ির ইশারায় তৈরি হয় ‘নিমো’, ‘মামা কোকো’র চরিত্র কীভাবে উঠে আসে ত্রিমাত্রিক পর্দায়?
১৯৯৪ সালটা আসলে মোড় ঘোরানোই ছিল পিক্সারের জন্য। শুধু যে ‘টয় স্টোরি’র নির্মাণ এগুচ্ছিল তাই নয়, দুপুরের খাবারের ফাঁকে মাত্র এক ঘণ্টার মিটিংয়ে তুলকালাম ঘটানো চারটে ছবির পরিকল্পনা করে ফেলেন এর কর্মীরা। ‘এ বাগস লাইফ’, ‘মনস্টার ইঙ্ক’, ওয়াল ই’ আর ‘ফাইন্ডিং নিমো’র জন্ম একইদিনে, একই কামরায়। ভাবা যায়!
কাজের ব্যাপারে পূর্ণ স্বাধীনতা পায় এখানকার কর্মীরা। কেউ অ্যানিমেশনে, কেউ ছবি আঁকায়, কেউ চিত্রনাট্য লেখায় বা কেউ বাস্কেটবল খেলায় ব্যস্ত। দাঁড়ান দাঁড়ান, খেলা শুনে অবাক হচ্ছেন? পিক্সারের ক্যালিফোর্নিয়া হেড অফিসে আস্ত একটা খেলার মাঠ আর পুল আছে কর্মীদের উজ্জীবিত করার জন্য।
‘আপ’, ‘ফাইন্ডিং ডরি’র মতো নিখুঁত কাজগুলো নিয়ে কিন্তু ভারিক্কী কোন মিটিংয়ে আলোচনা হয়না। ছোট ছোট টেবিলে খেতে খেতেই একেক কর্মী আবিষ্কার করে ফেলেন মাইক অজওস্কি বা জেমস সুলিভানের মতো চরিত্রদের। জম্পেশ আড্ডাই হলো এদের ‘আইডিয়া ব্যাংক’।
যৌন নিগ্রহের দায়ে ২০১৮ সালে পিক্সার থেকে সরে দাঁড়ান জন ল্যাসেটার। বর্তমানে প্রধান ক্রিয়েটিভ অফিসার পদে আছেন পিট ডকটার এবং প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ করছেন জিম মরিস।
মজায় ঠাসা পিক্সার
রান্নাঘরে ইঁদুর দেখলেই তো আমরা তারস্বরে চেঁচিয়ে পাড়া এক করি। সেই ইঁদুর কিনা পিক্সারের ফিল্মে পাকা রাঁধুনি! ‘র্যাটাটুইলি’ তে এমনই খাপছাড়া কিন্তু মনকাড়া কাহিনির দেখা মেলে। ইঁদুর ‘রেমি’র চরিত্র আঁকতে দিনের পর দিন শিল্পীরা জ্যান্ত ইঁদুর নেড়েচেড়ে এঁকেছেন, প্যারিসের এঁদো গলি থেকে সংগ্রহ করেছেন ৪৫০০ ছবি। ৪৩ জন কর্মী ফরাসি রান্নার ক্লাসও করেছেন এর জন্য। ২৭০ পদের ফরাসি খাবার রান্না হয় এর শুটিংয়ের উদ্দেশ্যে। ছবি তুলেই শুটিং দলের পেটে জায়গা পেয়েছে প্রতিটা ডিশ।
প্রতিটা ছবির পিছনেই এমন অসংখ্য চমকপ্রদ গল্পে ঠাসা।
পিক্সারের সব ছবিতেই দেখা যায় একটি পিজ্জা ট্রাককে, যার লাইসেন্স প্লেট নাম্বার ‘A113’. এটি হলো ক্যালিফোর্নিয়া আর্ট ইউনিভার্সিটির ক্লাসরুম নাম্বার, যেখানে ল্যাসেটার, ব্রাড বার্ড, পিট ডক্টারসহ প্রায় সব অ্যানিমেটরই হাতেখড়ি নিয়েছেন।
পিক্সারের একেকটি ফিচার ফিল্ম তৈরিতে কিছু কাঠামো মানা হয়। প্রথমেই আইডিয়া অনুসারে গল্প সাজানো হয়। চিত্রনাট্যকারদের সাথে বসে চরিত্র আঁকতে থাকেন ডিজাইনাররা। একই সময়ে প্রোডাকশন ডিজাইনাররাও আঁকেন আনুষঙ্গিক ছবি।
স্টোরি বোর্ড আর প্রয়োজনীয় ভাস্কর্য তৈরি হতেই সম্পাদক-সুরকার- কণ্ঠশিল্পীর যুগপৎ প্রচেষ্টায় খসড়া মুভি তৈরি হয়। এর উপরেই অ্যানিমেশন আর রং চড়াতে থাকেন অ্যানিমেটররা। নিখুঁত শিল্পের দোরগোঁড়ায় না দাঁড়ানো অব্দি বিশ্রাম নেই তাদের। টেকনিশিয়ান রা বাস্তবিক বস্তুর ভিত্তিতে ঘষামাজা করে নেন প্রতি দৃশ্য, লাইটিংও বিশাল ভূমিকা পালন করে এখানে। প্রতি সেকেন্ডে ২৪ ফ্রেম নিয়েই তৈরি হয় প্রতিটি পিক্সার ফিল্ম।
২০২০ সালে দুইটি প্রজেক্ট নিয়ে প্রস্তুত ডিজনি- পিক্সার। মার্চেই ক্রিস প্র্যাট আর টম হল্যান্ডের কণ্ঠ পুঁজি করে মুক্তি পেয়েছে দুই বন্ধুর গল্প ‘অনওয়ার্ড’। জুনের ১৯ তারিখে পিট ডকটার পরিচালিত ছবি ‘সোল’ রূপালি পর্দায় ঠাই পাবে।
অনন্য সাধারণ গল্প, প্রাসঙ্গিক সংলাপ, অগণিত পরিশ্রমী শিল্পী, দক্ষ নির্দেশক আর চোখ ধাঁধানো অ্যানিমেশন মানেই পিক্সারের চলচ্চিত্র। শৈশব তো বটেই সব বয়সের সকল দর্শকের জন্য শ্রেষ্ঠ বিনোদনের সমার্থক এই অ্যানিমেশনের দিকপাল।