বাংলাদেশ সাম্প্রতিক

সারজিসের বিরুদ্ধে ডিসি নিয়োগ ও বিভিন্ন তদবিরের অভিযোগ1 min read

এপ্রিল ১৯, ২০২৫ 2 min read

সারজিসের বিরুদ্ধে ডিসি নিয়োগ ও বিভিন্ন তদবিরের অভিযোগ1 min read

Reading Time: 2 minutes

গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান তার ভেরিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গাজী সালাউদ্দীন তানভীর ও জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল), সারজিস আলমের নিয়োগ সংক্রান্ত কেলেঙ্কারির তীব্র অভিযোগ তুলে ধরেছেন। তার বক্তব্য অনুযায়ী, গাজী সালাউদ্দীন তানভীর আওয়ামী লীগের তালিকাভুক্ত ডিসি নিয়োগের সমস্ত বন্দোবস্ত করেছে, যা সারজিস আলমের পরামর্শে সম্পন্ন হয়েছে।

রাশেদ খান দাবি করেন, তিনি আগেই একটি প্রোগ্রামে এই বিষয়টি উল্লেখ করেছিলেন, যদিও সারজিস আলম পরবর্তীতে এটি অস্বীকার করে ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। তবে কয়েক মাস আগে রাশেদ খান সারজিস আলমের এক ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে নিশ্চিত হন যে, ডিসি নিয়োগে সারজিসের সম্পৃক্ততা সত্য।

এই কেলেঙ্কারির আরও গভীরে যাওয়া যায়, যখন এনসিটিবির (জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড) একটি কেলেঙ্কারিতে গাজী সালাউদ্দীন তানভীরের নাম উঠে আসে। রাশেদ খানের মতে, এখানেও তানভীরকে কাজের সুযোগ করে দিয়েছেন সারজিস আলম। এছাড়াও, সারজিস আলমের বিলাসবহুল গাড়ি চালানোর পেছনেও তানভীরের আর্থিক সহায়তা রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ডিসি নিয়োগ, এনসিটিবির বাণিজ্যিক কার্যক্রম এবং বিভিন্ন তদবিরের মাধ্যমে গাজী সালাউদ্দীন তানভীর অর্থ উপার্জন করেছে বলে দাবি করা হয়েছে।

রাশেদ খান সম্প্রতি ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার সময় একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনার সম্মুখীন হন। সেখানে এক যুবক তাকে গাজী সালাউদ্দীন তানভীর সম্পর্কে জানায় এবং বলে যে, তানভীর তাকে কোনো কাজের সুযোগ পেলে জানাতে বলেছিলেন। রাশেদ খান এই যুবকের সাথেই সম্প্রতি আবারও কথা বলেছেন এবং নতুন তথ্য পেয়েছেন। তার মতে, সারজিস আলম তার এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন কার্যক্রম চালাচ্ছেন, যার পেছনে যুক্তি হিসেবে বলা হচ্ছে—ভোটের সময় আওয়ামী লীগের এই সমর্থন প্রয়োজন হবে।

বর্তমানে সারজিস আলম ও গাজী সালাউদ্দীন তানভীরের আর্থিক উৎস নিয়ে দলীয় সদস্যদের মধ্যে সমালোচনা তীব্র হয়েছে। রাশেদ খান সতর্ক করে দিয়েছেন যে, খুব শীঘ্রই দুদকের (দুর্নীতি দমন কমিশন) তদন্তের মুখোমুখি হতে পারেন তারা। ইতোমধ্যে দুর্নীতির অভিযোগে একজন ছাত্র উপদেষ্টার এপিএসকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য হলো, গাজী সালাউদ্দীন তানভীরের আর্থিক লেনদেনের ভাগ পেয়ে থাকেন আরেক জনপ্রিয় নেতা। এই দুজনের রেফারেন্সেই এনসিপিতে (জাতীয় নির্বাচনী কমিশন) জায়গা করে নিয়েছে ডিসি নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জড়িত গাজী সালাউদ্দীন তানভীর।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *