রাফাহকে গাজা থেকে বিচ্ছিন্ন করে জোরালো হামলা শুরু ইসরায়েলের1 min read
Reading Time: 2 minutesইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা মোরাগ করিডোর নির্মাণ সম্পন্ন করেছে। এই করিডোরটি রাফাহ শহরকে গাজার বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। একই সঙ্গে তারা গাজার দক্ষিণ অংশে হামলা আরও বিস্তৃত করেছে। শনিবার (১১ এপ্রিল) ইসরায়েলি বাহিনীর আরবি ভাষার মুখপাত্র খান ইউনিসের একাধিক এলাকায় নতুন বাস্তুচ্যুতির নির্দেশ জারি করেছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
ওই মুখপাত্র বলেছেন, এই এলাকাগুলো থেকে হামাস ইসরায়েলের দিকে রকেট নিক্ষেপ করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এর জবাবে ‘প্রচণ্ড শক্তি সহকারে’ হামলা চালানো হবে।
বাসিন্দাদের কিজান আন-নাজ্জার, কিজান আবু রাশওয়ান, আল-সালাম, আল-মানারা, আল-কুরাইন, মা’ইন, আল-বাতন আল-সামিন, জুরত আল-লুত, আল-ফাখারি এবং বানী সুহেইলার দক্ষিণাঞ্চলীয় এলাকাগুলো ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাদের গাজার উপকূলীয় এলাকা আল-মাওয়াসি তে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এই ঘোষণার মধ্যেই খান ইউনিসে ড্রোন হামলা ও গোলাবর্ষণে অন্তত দুইজন নিহত হন।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কার্টজ বলেন, মোরাগ করিডোর রাফাহকে একটি ‘ইসরায়েলি নিরাপত্তা অঞ্চলে’ পরিণত করেছে। গাজার মাঝ বরাবর বিভক্ত করা নেতসারিম করিডোরকে আরও সম্প্রসারিত করার ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।
তিনি গাজার অবরুদ্ধ জনগণকে বলেন, ‘এটাই শেষ সুযোগ, হামাসকে সরাও এবং বন্দিদের ছেড়ে দাও। তাহলেই যুদ্ধ থামবে। নয়তো ইসরায়েলি অভিযান গাজার অধিকাংশ এলাকায় ছড়িয়ে পড়বে।’
হামাস এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করার অভিযোগ এনেছে। ‘সমীকরণ খুব স্পষ্ট: যুদ্ধ বন্ধের বিনিময়ে বন্দিমুক্তি। বিশ্ব এটা মেনে নিচ্ছে, কিন্তু নেতানিয়াহু তা প্রত্যাখ্যান করছেন।’
হামাস আরও বলেছেন, গাজার শিশুদের রক্ত এবং দখলদারদের বন্দিরা হচ্ছে নেতানিয়াহুর ক্ষমতায় থাকার বাসনা এবং বিচার এড়ানোর চেষ্টার বলি।
বর্তমানে প্রায় ২১ লাখ ফিলিস্তিনি গাজার মাত্র এক-তৃতীয়াংশ এলাকায় ঠাসাঠাসি করে থাকছেন। গত মাসে ইসরায়েল আবার অবরোধ জারি করার পর থেকে গাজায় কোনও ত্রাণ, খাবার, রান্নার গ্যাস বা জ্বালানি প্রবেশ করতে পারেনি।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অতর্কিতে হামলা চালায় হামাস। এর জবাবে ওই দিনই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী, যা এখনো চলছে। নির্বিচার হামলায় উপত্যকাটিতে এ পর্যন্ত ৫০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে বলে জানিয়েছে হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে গড় ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি ভেস্তে যাওয়ার পর নিহত হয়েছে ১ হাজার ৫৬৩ জন।