কাশ্মীরের পহেলগামের সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনায় আগেই নিন্দা প্রকাশ করেছিলেন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি উভয় নেতাকেই জানি, পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে প্রচণ্ড উত্তেজনা রয়েছে, কিন্তু এটা সবসময়ই ছিল। আমি নিশ্চিত যে, তাঁরা কোনও না কোনওভাবে এর সমাধান করবেন।’
পহেলগামের ঘটনার পর বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে ইতিমধ্যেই সন্ত্রাসবাদী হামলার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ঘটনার পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন ট্রাম্প। অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য ভারতের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেছিলেন। শুক্রবার ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আপনারা জানেন, আমি ভারতের খুব কাছের এবং আমি পাকিস্তানেরও খুব কাছের। কাশ্মীরে তাদের মধ্যে হাজার বছর ধরে লড়াই চলছে। সম্ভবত তার চেয়েও বেশি সময় ধরে। তবে এই হামলা খুবই খারাপ একটি ঘটনা ছিল।’
মঙ্গলবার কাশ্মীরের জনপ্রিয় পর্যটন স্থান বৈসরন ভ্যালিতে ২৬ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। শেষ দুই দশকে কাশ্মীরের অন্যতম ভয়াবহ জঙ্গি হামলা এটি। হামলার পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কে তীব্র অবনতি ঘটেছে। কেন্দ্রীয় সরকার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কেন্দ্রের তরফে সিন্ধু চুক্তি রদ, আত্তারিতে চেক পোস্ট (ICP) বন্ধ করা, পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য SAARC ভিসা প্রকল্প (SVES) স্থগিত করা এবং উভয় পক্ষের হাই কমিশনে কর্মকর্তাদের সংখ্যা কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যদিও, মঙ্গলবারের পর থেকেই ভারত-পাক সীমান্তে উত্তেজনা রয়েছে। বারবার গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ওপার থেকে। উপযুক্ত জবাব দিচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনীও। ভারতের কূটনৈতিক প্রত্যাঘাতের পর পাকিস্তানের তরফেও একাধিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।