উত্তর আমেরিকা অফিস
নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকার আয়োজনে, বিশ্বব্যাপী ভ্রমন সম্পর্কে ধারণা দিতে এবং দেশের পরিচিতি তুলে ধরতে ধারাবাহিক নিউইয়র্ক টাইমস ট্রাভেল শো’তে অংশ গ্রহন করেছে বাংলাদেশ। ২৬ জানুয়ারী থেকে চলা তিন দিনের এই ট্রাভেল শোতে অংশ নেয় বিশ্বের ১৭০ টি দেশ। যেখানে বাংলাদেশ প্রথম বারের মত অংশ নিয়ে তুলে ধরে দেশটির পর্যটন খাত এবং সম্ভাবনার কথা।তবে, অনন্য দেশের তুলনায় খুব-ই দূর্বল এবং যেন তেন ভাবে সাজানো বাংলাদেশের স্টলটি খুব বেশি মানুষের দৃষ্টিগোচর হয়নি বলেই জানিয়েছেন, ট্রাভেল শোতে অংশ নেয়া বেশ কয়েকজন।
নিউইয়র্ক টাইমস এর আয়োজনে ১৫ তম এই ট্রাভেল শোর দৃষ্টিনন্দন আয়োজন ছিল ম্যানহাটানের, জ্যাকব জেভিটস সেন্টারে।বাংলাদেশ এর স্টলে, বিশ্বখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার, পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, প্রবাল দ্বীপের স্বচ্ছ জলজ জীবন আর ঘাস ফড়িং এর আবহমান বাংলা’র বেশ কিছু ছবি প্রদর্শিত হয় এখানে। ট্রাভেল শো’তে বাংলাদেশের ৬ টি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নিলেও তারা জানিয়েছেন নানা সমস্যার কথা। বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে জানিয়েছেন, প্রথম বার অংশ নেয়া এত বড় মাপের একটি আয়োজনে ভুল ত্রুটি হয়েছে অনেক খানি-ই। বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের কর্মকর্তা স্বীকার করেন, এধরনের আয়োজনে অংশ নেয়ার অভিজ্ঞতা তেমন না থাকায় প্রচারণার ঘাটতি রয়েছে। এতকিছুর পরও, এই শো বাংলাদেশের ব্যাপারে মার্কিন পর্যটকদের আগ্রহী করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ থেকে যে ৬টি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে তাদের অনেকেই জানিয়েছেন, এতো বড় আয়োজনে অংশ নেয়ার মতো পর্যাপ্ত প্রস্তুতি তাদের ছিলোনা। ফলে বাংলাদেশ ভ্রমনের বিষয়ে দর্শনার্থীদের তেমন একটা দৃষ্টি আকর্ষন করতে পারেনি তারা।
অবস্য, এখানে বাংলাদেশ যে অংশ নিয়েছে সেটা অনেক বিদেশীর নজর কেড়েছে। যার প্রমাণও পাওয়া যায় এক বিদেশিনীর কথায়। তিনি জানান, খুব ভালো লেগেছে বাংলাদেশের সমুদ্র সৈকত এবং সবুজ চা বাগান। এছাড়া বাংলাদেশের খাবারের কথা নাকি তিনি শুনেছেন। অবশ্য, আগে থেকে আমন্ত্রণ না পাওয়ায় প্রদর্শনীর উদ্বোধনের তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করতে পারেনি সংবাদ কর্মীরা।