বিনোদন

গল্পগুলো হুমায়ূনের1 min read

নভেম্বর ১৪, ২০১৯ 6 min read

author:

গল্পগুলো হুমায়ূনের1 min read

Reading Time: 6 minutes

সিনেমা করা আর সিনেমা নিয়ে লেখা , দুটো আলাদা কাজ। পৃথিবীর খুব কম পরিচলকই দুটোয় সমান দক্ষ।পূর্ণেন্দু পত্রী তাঁরসিনেমা নিয়ে লেখাপ্রবন্ধে তারস্বরে একথাই প্রতিষ্ঠিত করেছেন। অন্যদিকে ভালো সিনেমা নির্মাণের প্রথম শর্তই হলো দারুণ গল্পে আঁটবাধা চিত্রনাট্য। চিত্রনাট্য দুর্বল হলে হাজার ক্যামেরার ঝলসানিতেও দর্শকের মন গলবে না। 

বাংলা চলচ্চিত্রের বয়স খুব বেশি নয়। এরই মধ্যে নানান ঘাত প্রতিঘাতে অনেকটা পথ এগিয়েছে। একদিকে যেমন পড়তি মানের কথা ওঠে অন্যদিকে নতুন আরম্ভের বুনিয়াদও গড়া হয়। বাংলা চলচ্চিত্র যখন কাঠগড়ায় তখন হুমায়ূন আহমেদ আশার আলো জ্বেলেছিলেন। তবে শুধু পরিচালক হয়েই নয়, তাঁর নন্দিত উপন্যাস-গল্পের মাধ্যমেও অনবদ্য কিছু চলচ্চিত্রের অভিজ্ঞতা দিয়েছেন দর্শকদের। হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসকেন্দ্রিক দশটি ছবি নির্মিত হয়েছে এ পর্যন্ত। চলুন, সংক্ষেপে জেনে আসি সেগুলো সম্পর্কে। 

শঙ্খনীল কারাগার (১৯৯২)

হুমায়ূন আহমেদের গল্পে প্রথম চলচ্চিত্র নির্মিত হয় ১৯৯২ সালে। ১৯৭০ লেখা জনপ্রিয় উপন্যাসশঙ্খনীল কারাগারকে সেলুলয়েডের ফিতায় গোঁজার কাজটি করেন পরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান। 

মধ্যবিত্ত পরিবারের চড়াই- উতরাই, দোটানা এবং মায়ার বাঁধনকে প্রতিপাদ্য করেই ছবির গল্প এগিয়ে চলে। ২ ঘণ্টা ৬ মিনিটের ছবিটির সুর সম্পাদনায় ছিলেন খন্দকার নুরুল আলম। এম এ মবিনের সিনেমাটোগ্রাফিতে ভীষণ সরলভাবে বলা গল্পই দর্শকের চোখে জল এনেছিল সেসময়। ছবিতে রাবেয়া চরিত্রের জন্য ডলি জহুর সেরা অভিনেত্রীর জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন। সেরা চলচ্চিত্র হিসেবের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া এই ছবির চিত্রনাট্যকার হিসেবে হুমায়ূন আহমেদের ঘরেও আসে পুরস্কার। ডলি জহুর ছাড়াও ছবিতে আছেন নাজমা আনোয়ার, সুবর্ণা মোস্তফা, আসাদুজ্জামান নূর, চম্পা, জাফর ইকবাল, আজিজুল হাকিম, আবুল হায়াত, মমতাজউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। 

আবদার (১৯৯২)

হুমায়ূনের উপন্যাসকেন্দ্রিক কাজগুলোর মধ্যে ‘আবদার’ সবচাইতে কম আলোচিত। সুভাষ দত্ত ১৯৯২ সালে বাণিজ্যিক ঘরানায় নির্মাণ করেন ছবিটি। স্নেহ মায়াহীন শহরে একলা বেড়ে ওঠা এক তরুণের গল্প নিয়ে এগিয়েছে এই ছবিটি। এর অভিনেতা তালিকায় আছেন ইলিয়াস কাঞ্চন, হুমায়ূন ফরিদী, অমিত হাসান, চম্পা, এটি এম শামসুজ্জামান, প্রবীর মিত্র প্রমুখ। 

দূরত্ব(২০০৪)

‘দূরত্ব’ ছবির পোস্টার

ব্যস্ত মা-বাবার একমাত্র ছেলে পুতুল। হাজার কাজের মাঝে তার জন্য সময় করে উঠতে পারেন না দুই অভিভাবক। একদিন সবার অলক্ষ্যে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসে ছেলেটা, আবিষ্কার করে বাইরের দুনিয়াটাকে। 

হুমায়ূন আহমেদের শিশুতোষ উপন্যাস ‘পুতুল’ নিয়ে মোরশেদুল ইসলাম নির্মাণ করেন ‘দূরত্ব’। হইচই না ফেললেও বেশ পরিচ্ছন্ন ও উপভোগ্য ছিল ছবিটি। হুমায়ূন ফরিদী, সুবর্ণা মোস্তফা, ফাহাদ, অমল, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ এতে অভিনয় করেছেন। মাস্টার অমল সেরা শিশুশিল্পী হিসেবে জাতীয় পুরস্কারও পান এর জন্য।

নিরন্তর (২০০৬)

ঋত্বিক ঘটকের ‘মেঘে ঢাকা তারা’র কথা মনে আছে? যেই নীতা একদিন গোটা পরিবারের হাল ধরেছিল কালের কড়াঘাতে সেই একসময় বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। ‘নিরন্তর’এর তিথির গল্পটাও এমন। নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারে সচ্ছলতা ফেরাবার  টানে তাকে জড়াতে হয় দেহপসারিনির ব্যবসায়। নিজেকে ক্ষয় করে পরিবারে সুদিন ফিরিয়ে আনলেও সব থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নেয় সে।

‘নিরন্তর’এ উঠে এসেছে নিম্ন-মধ্যবিত্ত জীবনের প্রবল সংরামের চিত্র; Photo Source: IMDb

তিথি চরিত্রে শাবনুরের অভিনয় সব মহলে প্রশংসিত হলেও জাতীয় পুরস্কার অধরাই থেকে যায়। আবু সায়িদের পরিচালনায় ও হুমায়ূন আহমেদের চিত্রনাট্যে ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ব্যানারে ছবিটি মুক্তি পায় ২০০৬ সালে। এতে অভিনয় করেছেন ডলি জহুর, শাবনুর, ইলিয়াস কাঞ্চন, শহিদুল ইসলাম সাচ্চু, শিল্পী সরকার অপু, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, আমিনুল হক চৌধুরী ও লিটু আনামসহ আরও অনেকেই। 

নন্দিত নরকে (২০০৬)

‘খোকা, মন্টুর ফাঁসি হবে কখন?’ 

পিতার কাঁধে সবচেয়ে ভারি নাকি সন্তানের লাশ। তাহলে ভেবে দেখুন তো, সন্তানের সম্ভাব্য ফাঁসির জন্য প্রতীক্ষারত পিতার হৃদয়ের ভার কতটুকু? উপরের সংলাপ দিয়েই শেষ হয়েছিল জনপ্রিয় উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’র চিত্ররূপ।

সুমনা সোমার অসামান্য অভিনয়ই ছিল ছবির প্রাণ

সাহিত্যজগতে এই ‘নন্দিত নরকে’ দিয়েই সাড়া ফেলেছিলেন গল্পের জাদুকর। তাই রিলে যখন বেলাল আহমেদ একে তুললেন তখনও কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপের দায়িত্বটা নিজ কাঁধে তুলে নিলেন তিনি। দিদারুল আলম বাদলের প্রযোজনায় ছবিটি ব্যবসাসফল না হলেও ছবির প্রতিটি কুশীলব আদায় করেন অকুণ্ঠ প্রশংসা। বিশেষত রাবেয়া চরিত্রে সোমা এবং খোকা হিসেবে ফেরদৌসের অভিনয় ছিল অনন্য। এছাড়াও আফরোজা বানু, খায়রুল আলম সবুজ, লিটু আনাম, মনির খান শিমুল, কেরামত মাওলাও ছিলেন যথার্থ। 

দারুচিনি দ্বীপ (২০০৭)

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ট্যুরের পরিকল্পনা করে নি এমন মানুষ মশাল জ্বেলে খুঁজলেও পাওয়া ভার। ‘দারুচিনি দ্বীপ’ উপন্যাসেও ঠিক তেমন একরাশ তরুণতরুণীর স্বপ্নময় ভ্রমণের আদ্যোপান্তই উঠে এসেছিল। তাই তৌকির আহমেদ যখন আটঘাট বেঁধে এই উপন্যাসের চিত্রায়ন করতে বসলেন তখন থেকেই দর্শকের প্রত্যাশা ছিল আকাশচুম্বী। 

‘দারুচিনি দ্বীপ’ তারুণ্যের ছবি; Photo Source: IMDb

‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টারে’র তকমা জেতার সাথে সাথেই জাকিয়া বারি মম এই ছবিতে কাজ করার সুযোগ পেয়ে যান । দর্শকদের হতাশ করেন নি এই নতুন সুন্দরী। রিয়াজ, আবুল হায়াত, আব্দুল্লাহ আল মামুন, আসাদুজ্জামান নূর,মোশারফ করিম, ডলি জহুর, ইমন, বিন্দু, মুনমুন, ফজলুর রহমান বাবু, চ্যালেঞ্জারসহ বহু জনপ্রিয় অভিনেতাই ছিলেন এতে। ইমপ্রেস টেলিফিল্মের প্রযোজনার চলচ্চিত্রটি ২০০৭ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে নির্বাচিত হয়। এছাড়াও সেরা অভিনেতা হিসেবে রিয়াজ, সেরা অভিনেত্রী হিসেবে মম, সেরা সুরকার এস আই টুটুল, সেরা পার্শ্ব অভিনেতা আবুল হায়াত, সেরা নৃত্য পরিচালক কবিরুল ইসলাম রতন পুরস্কার লাভ করেন এই ছবিটির জন্য। আর হুমায়ূন আহমেদও আরেকবার ভূষিত হন সেরা চিত্রনাট্যকারের সম্মানে। ২০১০ সালের বালি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবেও সেরা বিদেশি ছবির সম্মাননা লাভ করে এটি।

সাজঘর (২০০৭)

আসিফ-লিনার টোনাটুনির সংসার। মঞ্চ আর স্কুলের কামাই দিয়েই বেশ যাচ্ছিল ওদের জীবন। কিন্তু একটা সময় দুজনই বাধ্য হয় নাটকের মায়া ত্যাগ করতে। অথচ এই নাটকের মাধ্যমেই দুজনের পরিচয় হয়েছিল, প্রণয় ও পরিণয়ে গড়িয়েছিল তা। অন্যদিকে এ দুজনের মাঝে এসে দাঁড়ায় নতুন অভিনেত্রী কুসুম। আসিফ কি শেষ পর্যন্ত মঞ্চকে বিদায় জানাতে পেরেছিল? আর কুসুম, সেইবা কী করে পুষ্প হয়ে উঠলো? 

হুমায়ূন আহমেদের বিখ্যাত উপন্যাস ‘সাজঘর’ এর আদলে শাহ্‌ আলম কিরণ নির্মাণ করেন ‘সাজঘর’ চলচ্চিত্রটি। মান্না, মৌসুমি, নিপুণ, কাজি হায়াত ও দীঘি অভিনীত ছবিটি স্বল্প বাজেটে নির্মিত হলেও বিপুল প্রশংসা পায় । এই ছবিতে নিপুণের অভিষেক হয় এবং প্রথম ছবিতেই অভিনয়ের জন্য সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রীর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও অর্জন করেন। 

প্রিয়তমেষু (২০০৯)

মোরশেদুল ইসলাম আরও একবার হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসকে রূপালি পর্দায় আনলেন ২০০৯ সালে। আমাদের সমাজে নারীর প্রতি সহিংসতা এবং তার বিরুদ্ধে দুই নারীর মাথা তুলে দাঁড়াবার লড়াই নিয়েই আবর্তিত হয়েছে ছবির গল্প।

সোহানা সাবা এমনিতেই পরীক্ষিত অভিনেত্রী। এখানেও পুষ্প চরিত্রে নিজের সেরাটাই দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও অন্যান্য চরিত্রে ছিলেন আফসানা মিমি, তৌকির আহমেদ, গাজী রাকায়েত, আরমান পারভেজ মুরাদ, মামুনুর রশিদ, হুমায়ূন ফরিদী, দিলারা জামান। মূল কাহিনি হুমায়ূন আহমেদের হলেও চিত্রনাট্য ও সংলাপ আয়োজনে ছিলেন বরকত উল্লাহ মারুফ। 

অনিল বাগচীর একদিন (২০১৫)

হুমায়ূন আহমেদের প্রয়াণের পরেও যে আবেদন এতটুকু ম্লান হয়নি তার প্রমাণ মিললো ‘অনিল বাগচীর একদিন’ এর সাফল্যে। মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট কেন্দ্রিক উপন্যাস ‘অনিল বাগচীর একদিন’ অবলম্বনে এটি নির্মাণ করেন পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম। এতে প্রধান চরিত্রগুলোতে অভিনয় করেন আরেফ সায়িদ, জ্যোতিকা জ্যোতি, গাজী রাকায়েত, মিশা সওদাগর। সেবছরের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ছয়টি পুরস্কারও বগলদাবা করে অনিল বাগচীর দল।

‘অনিল বাগচীর একদিন’ ছবির একটি দৃশ্যে গাজী রাকায়েত ও আরেফ সায়িদ

এল অপু রোজারিওর সিনেমাটোগ্রাফিতে বাংলার আবহমান চালচিত্র যেমন সুসংহত হয়ে উঠে এসেছে তেমনি পাকিস্তানি হানাদারদের পৈশাচিক যজ্ঞও পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে দেখিয়েছেন পরিচালক। 

কৃষ্ণপক্ষ (২০১৬) 

ভালোবাসার পরিণতি কী? শুধুমাত্র বিয়ে? নাকি এরপরেও কোন পরিণতি আছে প্রেমিক যুগলের? অরু আর মুহিবের প্রেমের গল্পটাও এমন, শেষ হইয়াও যেন হইল না শেষ।

হুমায়ূন আহমেদের প্রেমের উপন্যাস ‘কৃষ্ণপক্ষ’ পড়ে বহু পাঠকই কেঁদেছেন। প্রেমের সুললিত, মিষ্টি আকুলতা এবং ট্র্যাজেডির মধ্য দিয়ে শেষ হয় এর কাহিনি। তাই হয়তো হুমায়ূন স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন এর মধ্য দিয়েই পরিচালনায় নাম লেখালেন। মূলগল্পে হলুদ পাঞ্জাবি পোড়াবার দৃশ্য দিয়ে শেষ হলেও চলচ্চিত্রে তাঁর বদলে অরু-মুহিবের শেষ দর্শনকেই ড্রোন ক্যামেরায় ধারণ করেছেন পরিচালক এবং চিত্রগ্রাহক রায়হান খান। বিরহবিধুর গল্পকে বেশ সুক্ষ্মতার সাথেই তুলে ধরেছেন নবীন পরিচালক শাওন। এছাড়া মাহিয়া মাহি ও রিয়াজের নব্য জুটিও ছিল সাবলীল। ছবির অন্যান্য কুশীলবে আছেন আজাদ আবুল কালাম, ফেরদৌস, তানিয়া আহমেদ, পূজা চেরি, ওয়াহিদা মল্লিক জলি, আরফান আহমেদসহ আরও অনেকে। ছবির ‘চলোনা বৃষ্টিতে ভিজি’ গানে কণ্ঠ দিয়ে জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেন জারিন তাসনিম নাওমি। 

ব্যবসায়িক সাফল্য না পেলেও ‘কৃষ্ণপক্ষ’ পেয়েছে অকুণ্ঠ ভালোবাসা; Photo Source: IMDb

দেবী (২০১৮)

মিসির আলির ‘দেবী’ উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি ছবিটি ছিল গত বছরের আলোচনার কেন্দ্রে। বাংলা সাহিত্যে তুমুল জনপ্রিয় চরিত্র মিসির আলি। হুমায়ূনের লেখনীতে ক্ষুরধার বুদ্ধিসম্পন্ন মিসির আলিকে পর্দায় তুলে আনাই ছিল পরিচালক অনম বিশ্বাসের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। তবে সেই অগ্নিপরীক্ষা সাহসিকতার সাথেই পাশ করে গেছেন পরিচালনার নবীন মুখ। পরিচালকের মুনশিয়ানা আর সরল সুন্দর সিনেমাটোগ্রাফির সুবাদে মনেই হয়নি এটি তার প্রথম কাজ।

পোস্টারে ‘দেবী’; Photo Source: IMDb

এতে মিসির আলি হিসেবে দেখা গেছে জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীকে। বর্ষীয়ান চরিত্রে চঞ্চল মানানসই কিনা -এ নিয়ে বিতর্ক থাকলেও ছবি মুক্তির পর কাস্টিংয়ের জন্য প্রশংসিত হয় ‘দেবী’ টিম। তবে মূল পাদপ্রদীপের আলো ছিল জয়া আহসানের উপরেই। রানু চরিত্রের সারল্য, স্নিগ্ধতার পাশাপাশি রহস্যময়ীর বেশেও দুর্দান্ত ছিলেন তিনি। এর বদৌলতে জয়া আহসান সেরা অভিনেত্রীর জাতীয় পুরস্কার, মেরিল- প্রথম আলো পুরস্কার, বাচসাস পুরস্কার লাভ করেন। তবে নীলু হিসেবে শবনম ফারিয়াও বেশ পারদর্শীতার পরিচয় দিয়েছেন। ছোট কিছু চরিত্রে ইরেশ জাকের, অনিমেষ আইচও ছিলেন নজরকাড়া। বাচসাসে সেরা পরিচালক এবং নবীন- অভিনেত্রীর পুরস্কারও আসে দেবীর সুবাদে। ছবিতে অনুপম রায়ের গাওয়া  ‘দুমুঠো বিকেল’ গানটি এখনও সবার প্লে লিস্টে প্রিয় তালিকাতেই আছে। তবে ছবির মূল সংগীত নির্দেশনায় ছিলেন আরেক তরুণ প্রীতম হাসান। 

সমসাময়িক বাংলা সাহিত্যে হুমায়ূন আহমেদের সাথে তুলনীয় খুব কমই আছেন। হুমায়ূন শুধু সাহিত্যিক হিসেবেই নন, একজন সফল পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার হিসেবেও ছিলেন সমাদৃত।

লেখক- সারাহ তামান্না 

আরও পড়ুন- চলচ্চিত্রে হুমায়ূন আহমেদের সেরা পাঁচ

আরও পড়ুন- অন্যরকম নুহাশ

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *