Site icon Bangla Info Tube

আদানির সাথে বিদ্যুৎ চুক্তি জাতীয় স্বার্থ বিরোধী: আনু মুহাম্মদ

Reading Time: 2 minutes

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, বিগত সরকারের আমলে তৈরি হওয়া রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র ভারতের আধিপত্যের প্রতীক। বর্তমান সরকারের উচিত এ প্রকল্পটি বন্ধের পথ বের করা।

তাতে সাময়িক যে আর্থিক ক্ষতি হবে তা গত সরকারের জ্বালানি খাতের দুর্নীতিবাজদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে ক্ষতিপূরণ আদায় করতে হবে।

শনিবার (২৪ মে) রাজধানীর এফডিসিতে বিগত শাসনামলে জ্বালানি খাতে লুণ্ঠনের দায় নিয়ে আয়োজিত ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ক্যাপাসিটি চার্জ একটা ভয়াবহ দুর্নীতির আখড়া ছিল। কোনো বিদ্যুৎ উৎপাদন না করেই লক্ষ কোটি টাকা নিয়ে গেছে। আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তিটিও জাতীয় স্বার্থ বিরোধী। কুইক রেন্টাল আর চালু রাখার কোনো প্রয়োজন নেই। জ্বালানি খাতের দুর্নীতি ও লুণ্ঠনে যারা জড়িত তাদের বেশিরভাগই দেশ থেকে কীভাবে পালালো তা তদন্ত হওয়া দরকার। বিগত আমলে জ্বালানি খাতের দুর্নীতিবাজদের শনাক্ত করে তাদের তালিকা প্রকাশ করা উচিত। তা না হলে তারা মুখোশ পাল্টে আবারও একই অপরাধে লিপ্ত হবে। বর্তমান সরকার জ্বালানি খাতের দায় মুক্তি আইন বাতিলের নামে এর সাথে নতুন শর্ত জুড়ে আমাদের প্রত্যাশা ভঙ্গ করেছে। বিগত সরকার জ্বালানি ও বিদ্যুতের মূল্য নির্ধারণে গণশুনানির নামে যে প্রহসন করেছে, বর্তমান সরকার তা থেকে বেরিয়ে আসবে বলে আশা করি।

সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের লুটপাটের পেছনে রাজনীতিবিদ, আমলা ও ব্যবসায়ীদের যোগসাজশ ছিল। বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাঁচামাল আমদানিতে ওভার ইনভয়েসিং, মানিলন্ডারিংসহ বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে। এতে রিজার্ভ হ্রাস এবং জনগণের ওপর বিদ্যুতের বাড়তি খরচের বোঝা তৈরি হয়েছে।

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র আয়োজনে ‘সঠিক পরিকল্পনার অভাবই জ্বালানি খাতে লুণ্ঠনের প্রধান কারণ’ শীর্ষক ছায়া সংসদে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় বিতার্কিকদের পরাজিত করে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বিতার্কিকরা বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, সাংবাদিক মাঈনুল আলম, অধ্যাপক তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন, সাংবাদিক রিশান নসরুল্লাহ ও সাংবাদিক মো. মহিউদ্দিন। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেওয়া হয়।

Exit mobile version