নব্বই দশকের শেষভাগ, স্যাটেলাইট বা পাশ্চাত্যের বিনোদন তখনও সহজলভ্য নয়। কিন্তু বিটিভির কল্যাণে ম্যাকগাইভার, এক্স ফাইলস, রবিন হুডের গল্প সবার জানা। এদের মধ্যে ছিল আরেকজনও– পৌরাণিক গল্পের হারকিউলিস।
যে যেভাবেই চেনেন হারকিউলিসকে, প্রথম ধাক্কায় বলে দিই ‘হারকিউলিস’ একজন ডেমিগড বা উপদেবতা। গ্রিক মিথোলজির নন্দিত এই বীরের গল্পই চলুন শুনি আজ।
জন্মেই ট্র্যাজেডি
গ্রিক দেবতাদের রাজা জিউসের কামুক চরিত্রের কথা কমবেশি সবাই জানে। সেই জিউসই একবার থিবিসের মানবী আল্কমেনির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে নেমে আসেন পৃথিবীতে। কৌশলে আল্কমেনির স্বামী অ্যাম্ফিট্রিয়নের রূপ ধরে রাত কাটান। কথিত আছে, এসময় জিউস একটি রাতকে তিন রাতের সমান দীর্ঘ করে নেন। আল্কমেনি সরল বিশ্বাসে সময় কাটালেও অ্যাম্ফিট্রিয়ন যুদ্ধ থেকে ফেরত এসে যখন মিলিত হতে চান, তখনই সন্দেহ জাগে আল্কমেনির। এর ফলস্বরুপ জন্ম হয় যমজের– জিউসের ঔরসে হারকিউলিস বা হেরাক্লিস এবং অ্যাম্ফিট্রিয়নের ঔরসে ইফিক্লেসের। এই আল্কমেনি আবার বীর পারসিয়াসের নাতনি, যার পিতাও ছিলেন জিউস।
তবে জিউসের স্ত্রী হেরা জানতে পেরেছিলেন সবটাই। তাঁর রোষ দৃষ্টি থেকে বাঁচাতে আল্কমেনি এক বনে ফেলে আসেন শিশু হারকিউলিসকে। তাঁর বিশ্বাস ছিল, জিউস তাঁর পুত্রকে রক্ষা করবেন। সে সময় সেই বনের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন হেরা এবং তাঁর সহচরী অ্যাথিনি। সদ্যোজাত শিশুকে পড়ে থাকতে দেখে করুণায় আর্দ্র হয়ে ওঠে হেরার মন। স্তন্যদানের জন্য তাকে কোলে নিলেও শিশুটির সম্পূর্ণ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সেই আল্কমেনির কাছে পাঠিয়ে দেন তিনি। জিউসের চালে এর মাঝে হেরা ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেন নি এই শিশুই তাঁর স্বামীর কামনার ফল।
কিছুদিন বাদেই হেরা জানতে পারেন সব। তখন সেই শিশুকে হত্যার জন্য পাঠান দুই বিষধর সাপকে। অথচ শিশু হারকিউলিসের হাতে নিমিষেই বধ হয় সাপ যুগল। এর পরপরই অ্যাম্ফিট্রিয়ন পরামর্শ করেন অন্ধ ভবিষ্যদ্বক্তা টিরেসিয়াসের সাথে। তাঁর মাধ্যমে অ্যাম্ফিট্রিয়ন জানতে পারেন, জিউসের ঔরসে এই শিশুর জন্ম হয়েছে দিগ্বিজয়ী হবার জন্যই। অ্যাম্ফিট্রিয়নের নির্দেশনায় জ্ঞানে–গুণে বড় হতে থাকে হারকিউলিস। রথচালনা, মল্লবিদ্যা, ধনুর্বিদ্যা, সঙ্গীত সবক্ষেত্রে হয়ে উঠল অপ্রতিরোধ্য।
হেরার চক্রান্ত
মানবতা ও গুণের জন্য হারকিউলিসের নামডাক ছড়িয়ে পড়ে সমস্ত গ্রিস ও দেবতাপুরে। তবে এই আনন্দ বেশিদিন স্থায়ী হলোনা। থিবিসের এক যুদ্ধে প্রাণ হারান অ্যাম্ফিট্রিয়ন। এরপর হারকিউলিসের একার প্রচেষ্টায় সেই যুদ্ধে জয়ী হলে থিবিসের রাজা ক্রেয়ন তাঁর দুই কন্যার সাথে বিয়ে দেন হারকিউলিস–ইফেক্লিস ভ্রাতৃদ্বয়ের।
তবে হেরা তাঁর কূটচাল সুযোগ বুঝে একদিন প্রয়োগ করেই বসলেন। প্রথমত অমানবিক নির্যাতন চালালেন হারকিউলিসের ওপর। শেষমেশ তাকে মানসিকভাবে অপ্রকৃতস্থ করে দিলেন সাময়িক সময়ের জন্য। এসময়েই হারকিউলিস কাল্পনিক দৈত্য ভেবে হত্যা করেন প্রিয়তমা স্ত্রী মেগারা, নিজের তিন সন্তান ও ইফেক্লিসের দুই সন্তানকে। এই হত্যাযজ্ঞ আরও দীর্ঘ হতে পারতো। কিন্তু অ্যাথেনার ছোঁড়া পাথরের আঘাতে ঘোর কাটে তাঁর। কিন্তু এরপরেই অনুশোচনায় ভুগতে থাকেন হারকিউলিস ।
বারো বিপদের ডাক
প্রচণ্ড অনুতপ্ত হারকিউলিস হয়তো নিজেকে খুনই করে ফেলতেন। কিন্তু আরেক জ্ঞাতি ভাই থেসাস তাঁকে দেবতা অ্যাপোলোর শরণাপন্ন হবার পরামর্শ দেন। ডেলফির মন্দিরে তাই ছুটে যান যুবক গ্রিক বীর। সেখানেই দৈববাণীতে নির্দেশ আসে, ‘ মাইসিনিয়ান রাজা ইউরিস্থেসের কাছে ১২ বছর দাসত্বের ঘানি টানলেই প্রায়শ্চিত্ত মিলবে তোমার, আর সাথে বাড়তি পাওনা হবে অমরত্ব।‘
কথামতো হারকিউলিস ইউরিস্থেসের কাছে যান এবং নির্দেশ পান ১০ টি বিপজ্জনক কাজের। পরে আরও দুটি কাজ বাড়তি করতে হয় তাঁকে। এই বারোটি কাজই ‘হারকিউলিসের বারো শ্রম’ নামে পরিচিত।
নেমিয়ান সিংহের সাথে লড়াই
হারকিউলিসের প্রথম কাজ ছিল নেমিয়ার অতিকায় সিংহের সাথে লড়াই করে তার চামড়া রাজা ইউরিস্থেসের কাছে অর্পণ করা। নেমিয়া নামক অঞ্চলে ভয়ালদর্শন এই সিংহ প্রায়ই শহর থেকে নারীদের তুলে নিয়ে যেতো। আর যখনই কোন বীর তাকে উদ্ধারে বনে সেই সিংহের গুহায় যেতো তখনই ঘটতো আরেক অঘটন। অসংখ্য বীর যোদ্ধা এর হাতে প্রাণ দিলেও কেউ কুটোটিও নাড়াতে পারছিল না এই পশুর।
কিন্তু হারকিউলিস প্রথমবারেই বধ করে ফেলেন এই দৈত্যকে। গুহার মুখ বন্ধ করে প্রথমে একে আটক করে নেন। এরপর ক্রমাগত মুগুরের আঘাতে ধরাশায়ী করেন বিরাট এই জন্তুকে। তবে এর চামড়া ছাড়ানোর কাজটা সহজ ছিলনা মোটেও। পরে দেবী অ্যাথেনার বুদ্ধিতে সিংহের নখর দিয়েই ছিঁড়ে নিয়ে আসেন সেই চামড়া আর তা প্রদান করেন রাজ দরবারে।
ভয়ংকরী হাইড্রা
এরপরের অভিযানটি ছিল পাতালপুরীর নয় মাথা বিশিষ্ট হাইড্রা বধের। এই হাইড্রার নিবে, তার সাথে সাথেই সেখানে আরও দুই মাথা গজিয়ে উঠবে। এই অভিযানে হারকিউলিস তার ভ্রাতুষ্পুত্র লোলাউসকে সাথে নিয়েছিলেন। হারকিউলিস এই বিষাক্ত হাইড্রার একেকটা মাথা তরবারির আঘাতে কেটে নেবার সাথে সাথেই লোলাউস তা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলতো, ফলে নতুন মাথা গজাবার সুযোগ আর মেলেনি। শেষমেশ মাঝের মূল মাথা কেটেই বধ হয় অন্ধকার রাজ্যের এই প্রহরীর।
কৌশলে হরিণ জয়
‘তোরা যে যা বলিস ভাই, আমার সোনার হরিণ চাই।‘ এই কথাটাই যেন হারকিউলিসের তৃতীয় অভিযানে প্রতিধ্বনিত হয়েছে। শিকারের দেবী ডায়নার প্রিয় পোষ্য হরিণকে তুলে নিয়ে আসাই ছিল তিন নাম্বার কাজ। এই হরিণের শিং ও খুর ছিল সোনার। ইউরিস্থেস অবশ্য এই নির্দেশ দেবার আগে বেশ হিসাব কষে নিয়েছিলেন। তাঁর ধারণা ছিল, যে বা যারা ডায়নার প্রিয় হরিণকে তুলে আনার চেষ্টা করবে তাকেই হত্যা করবেন তিনি।
এক বছরের প্রচেষ্টার পর হারকিউলিস অবশেষে আর্টেমিসিয়াসের এক ঝর্ণার পাশ থেকে হরিণটিকে তুলে আনতে সমর্থ হন। তবে পথিমধ্যে ডায়নার সাথে দেখা হলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন দেবী। তখন গ্রিক এই বীরের সমস্ত কাহিনী শুনে অনুমতি দেন হরিণটিকে নিয়ে যাবার।
দানবীয় শূকর বধ
ইরিম্যান্থিয়ায় তখন এক মানুষখেকো শূকরের জ্বালায় অস্থির লোকজন। হারকিউলিসের দায়িত্ব পড়লো সেই শয়তানকে হত্যা করার। বেশ গবেষণা ও বন্ধু সেন্টরের পরামর্শের পর শীতকালে রওনা হলেন তিনি ইরিম্যান্থিয়ার উদ্দেশ্যে। পর্বতের কাছে গিয়ে সহজেই পেয়ে গেলেন সেই বিরাটকায় শূকরের সন্ধান।
তাড়া করতে করতে একসময় একে তুষারাবৃত অঞ্চলে নিয়ে যান তিনি এবং খানিকক্ষণ যুদ্ধের পর পাকড়াও করতে সমর্থ হন।
আস্তাবলে চমক
হারকিউলিসের পঞ্চম কাজটি ছিল বেশ কৌশলের। অলিম্পিয়ার রাজ্য এলিসের রাজার আস্তাবল ও গোয়ালঘর পরিষ্কার করার।প্রায় তিন হাজার পশুর নোংরা, গন্ধময় আস্তাবলটি যেখানে গত ৩০ বছর ধরে পরিষ্কার করা হয়নি, সেখানে হারকিউলিসের উপর নির্দেশ আসে একদিনের মধ্যে পরিষ্কার করার।
এক্ষেত্রে হারকিউলিস খানিকটা মাথা খাটান। রাজ্যের পাশ দিয়ে বয়ে চলা পিনিউস ও আলফিউস নদীর গতিপথ পরিবর্তন করে এই আস্তবলের ভেতর দিয়ে বইয়ে দেন জল। ব্যস! মুহূর্তেই সাফ , হারকিউলিসও সফল। এই কাজের জন্য রাজা অজিয়াস তাঁকে সমস্ত পশুর এক দশমাংশ পুরস্কারও দেন।
স্টিম্ফ্যালিয়ার ঘাতক পাখি হত্যা
গ্রিসের স্টিম্ফ্যালিয়া হ্রদে সেসময় বাস করতো একদল মানুষ হন্তারক পাখি। এরা আবার ছিল দেবতা জিউস আর হেরার পুত্র এরিসের খুবই পছন্দের। হারকিউলিসের ষষ্ঠ দায়িত্ব পড়ে এই ক্ষতিকর পাখিদের বিনাশ করার। দেবী অ্যাথেনা এই কাজের জন্য তাঁকে ক্রোটালা দেন। এই ক্রোটালা বাজিয়েই হারকিউলিস ছত্রভঙ্গ করে দেন সেই পাখিদের এবং ধনুকের আঘাতে হত্যা করে নিয়ে আসেন রাজদরবারে।
প্রতিপক্ষ যখন ক্রেটান ষাঁড়
সে অনেককাল আগের কথা। সমুদ্রদেব পোসাইডন রাজা মাইনসকে উপহার দেন এক ক্রেটান ষাঁড়। বলি দেবার কথা থাকলেও মাইনস বরখেলাপ করেন শপথের। ফলে রানি প্যাসিফি আর ষাঁড়ের মিলনের ফলে জন্ম নেয় বিখ্যাত দানব মিনোটর।
হারকিউলিস তাঁর সপ্তম কাজে এই ষাঁড়কেই লড়াইয়ে হারিয়ে নিয়ে আসেন ইউরিস্থিউসের কাছে।
ডায়োমেডিসের ঘোড়ারা
হারকিউলিসের অষ্টম কাজ ছিল ডায়োমেডিসের চার নরখাদক ঘোড়াকে তুলে নিয়া আসা। একাজে তাঁর বন্ধু অ্যাবডরাসকে সাথে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু রণকৌশল প্রয়োগের আগেই ডায়োমেডিস লেলিয়ে দেয় তাঁর ঘোড়াদের। ফলে মারা পড়েন অ্যাবডরাস।
ক্রোধে উন্মত্ত হয়ে তৎক্ষণাতই ডায়োমেডিসকে হত্যা করেন হারকিউলিস এবং মালিকের মাংস খেতে ঘোড়াগুলোকে বাধ্য করেন। এ ঘটনার পর ঘোড়াগুলো বশ্যতা স্বীকার করে নেয় এই মহান বীরের।
হিপোল্যাটারের কোমরবন্ধনী
অ্যামাজনের দুর্ধর্ষ যোদ্ধাদলের রানি হিপোলিটা। যুদ্ধে তাঁর অসম সাহসিকতার ফলস্বরুপ এরিসের কাছ থেকে একটি কোমরবন্ধনী উপহার পান। নবম অভিযানে সেই অলংকারই নিয়ে আসার দায়িত্ব বর্তায় হারকিউলিসের ওপর।
হিপোলিটার কাছে গিয়ে সমস্ত কাহিনী খুলে বললে নিঃসংকোচে অলংকার খুলে দেন হিপো। কিন্তু এর মাঝেই হেরা এক যোদ্ধার সাজ নিয়ে পুরো এলাকায় ছড়িয়ে দেন গুজব। ‘হারকিউলিস হিপোলিটাকে খুন করতে এসেছে।‘- এই গুজবে কান দিয়ে তাই হইহই রবে যোদ্ধাদল এগিয়ে আসতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন হারকিউলিস। অবশেষে হিপোলিটাকে আদতেই খুন করে পালিয়ে আসতে হয় তাঁকে। আর সাথে তো সেই কোমরবন্ধনী আছেই।
গেরিয়নের দুর্ধর্ষ পাল
পৃথিবীর আরেক প্রান্তের এরিথিয়া। সেখানেই বাস গেরিয়ানের দুর্ধর্ষ ষাঁড়ের পাল। তবে পাল নিয়ে যতটা না ভয় তার চেয়ে এর রক্ষক গেরিয়ন (তিন জোড়া মাথা ও তিন জোড়া পা ওয়ালা দানব) ও দুই মাথাওয়ালা শিকারি কুকুর এরিথাসকে নিয়ে।
দশম অভিযানে প্রবল যুদ্ধ ও রক্তপাতের পর হারকিউলিস বধ করেন এই দুই দৈত্যকে। ফলে লালচে ষাঁড়ের দলের মালিকানা হয় তাঁর। ইউরিস্থিউসের দরবারের দিকে রওনা হলে পোসাইডনের দুই পুত্র এবং এরিক্সের মুখোমুখি হতে হয় তাঁকে। তাঁদেরও পরাভূত করে ষাঁড়ের পাল অর্পণ করেন ইউরিস্থিউসের সামনে।
এরপরই ইউরিস্থিউস বাড়তি দুই কাজের নির্দেশ দেন হারকিউলিসকে। কারণ হিসেবে দেখান, যেহেতু হাইড্রা হত্যায় লোলাউস সাহায্যকারি ছিলেন অতএব এতে হারকিউলিসের বীরত্ব সামান্যই। এছাড়াও অজিয়াসের আস্তাবল পরিষ্কার করার ফলে পশু উপহার নেয়াও তাঁর অনুচিত ছিল।
আপেল চুরি
জন্মের শুরু থেকেই হেরার প্রতিপক্ষ হারকিউলিস। তবে এবারের কাজটা সেই যুদ্ধ যুদ্ধ রবে বাড়তি ঘি ঢেলে দেয়। জিউস আর হেরার বিয়েতে উপহার পাওয়া তিনটি স্বর্ণ আপেল নিয়ে আসার আদেশ বর্তায় তাঁর উপর। হেস্পেরাইডিসের মায়াকাননে রাখা আপেল নিয়ে আসতে বেশ কাঠখড়ও পোড়াতে হয়েছিল।
প্রথমেই তিনি নেরেউসের কাছে উপদেশ চান। নেরেউস তাঁকে বলেন, ককেশাসে বন্দি প্রমিথিউসকে মুক্ত করতে। প্রমিথিউস মুক্ত হলে তাঁকে অ্যাটলাসের শরণাপন্ন হবার নির্দেশ দেন। এই অ্যাটলাসই তাঁকে স্বর্ণ আপেল চুরিতে সাহায্য করেন।
আটক সারবেরাস
হারকিউলিসকে আটকানো কোনভাবেই সম্ভব নয়– ঈর্ষাকাতর ইউরিস্থিউস ততদিনে টের পেয়ে গেছেন সেই সত্যটা। তাই দ্বাদশ কাজ হিসেবে দিলেন পাতালপুরীর রক্ষক তিন মাথাওয়ালা কুকুর সারবেরাসকে জীবিত তুলে আনার দায়িত্ব।
হারমিস ও অ্যাথেনার সাহায্যে সহজেই পাতালরাজ হেডিসের সামনে এসে দাঁড়ান যোদ্ধা হারকিউলিস। সবকিছু শুনে হেডিস তাঁকে অনুমতিও দেন কুকুরটিকে নিয়ে যাবার। তবে শর্ত একটাই, কোনভাবেই আঘাত করা যাবেনা জন্তুটিকে। কৌশলে স্রেফ গলা চেপে ধরেই কুকুরটিকে পরাজিত করে ফেললেন হারকিউলিস। আর কাঁধে করে নিয়ে গেলেন ভাই ইউরিস্থিউসের দরবারে।
হারকিউলিসের অপ্রতিরোধ্য চরিত্র দেখে ভীত হয়ে পড়েন ইউরিস্থিউস। তখনই তিনি অনুরোধ করেন দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করতে। এভাবেই সমাপ্ত হয় মহীয়ান এই গ্রিক লড়াকুর ১২ অভিযান। এরপরেও নানান সময়ে অসংখ্য অভিযানে জড়ান তিনি। গ্রিক পুরাণের মহানায়ক কি এক অভিযানেই আটকে থাকতে পারেন, বলুন?