স্ট্রিমিং সাইট বা ওভার-দ্য-টপ প্ল্যাটফর্ম: সিনেমা হল আর টেলিভিশনের বিদায় ঘণ্টা?1 min read
Reading Time: 6 minutesঋত্বিক ঘটক একবার বলেছিলেন, ‘সিনেমার চেয়ে ভালো কোন মাধ্যমের খোঁজ পেলে একে লাথি মেরে চলে যাবো।‘
মুখে এমন তুবড়ি ছোটালেও বাস্তবে আমৃত্যু ভালোবেসেছিলেন রিলের দুনিয়াকে। ফিল্মের বিদায় না হোক, বছর খানেকের বোলচালে থিয়েটার-মাল্টিপ্লেক্সের কপালে যে লাথি জুটছে তা বলাই যায়।
OTT বা অভার-দ্য-টপ হলো ইন্টারনেট ভিডিও মাধ্যম, যার সুবাদে মানুষ ভিডিও বা অডিও আকারে বিনোদন লাভের সুযোগ পায়। হাল জমানায় ইউটিউব, নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন প্রাইম ইত্যাদিই হলো এর একেকটি সাইট।
জনপ্রিয়তার কারণ
সোজা ভাষায়- বিচিত্র ও রুচিশীল কন্টেন্ট এবং সহজলভ্যতাই নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন প্রাইম, অ্যাপল টিভি প্লাস, হুলু, জি ফাইভের লোকপ্রিয়তার জন্য দায়ী। করোনা পূর্ববর্তী সময়েই বিনোদন জগতে বড় একটা ঢেউ তুলেছিল এই সাইটগুলো। ঘরবন্দি সময়ে আরও উসকে উঠেছে সেই প্রলয়।
টিভি ট্রেডিশনালিস্ট, কনভেনিয়েন্স সিকার ও ডিমান্ডিং সিকার – তিন ধরণের দর্শক রয়েছে বর্তমানে। প্রথম ধরণের দর্শকদের বিনোদনের মূল মাধ্যমই হলো টিভি। স্ট্রিমিং সাইটের গ্রাহক হলেও এরা টিভি সেটের সামনে থেকে নড়ে না। দ্বিতীয় প্রজাতির দর্শক অবশ্য এত ভাবেন না, যেখানেই রাত সেখানেই কাত নীতিতে বিশ্বাসীরা টিভি, ল্যাপটপ, মোবাইল, ট্যাব যেকোনো সহজ মাধ্যমেই খুশি।
তবে অভিজাত বলতে গেলে ডিমান্ডিং সিকার দর্শক। স্ট্রিমিং সাইটের যাবতীয় সুবিধাকেই তারা নখদর্পণে রাখতে ভালোবাসেন। মানসম্মত কন্টেন্ট, সেবার গুনগত মান, ভাগাভাগির সুবিধা থেকে ওয়েবসাইটের নকশা- গোটাটাই অভিজ্ঞতার আলোকে বিবেচনা করে এরা।
বিগ ডাটা অর্থাৎ সারাবিশ্বের দর্শকদের রুচি- আদর্শের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেই ক্ষান্ত দেয়নি নেটফ্লিক্স। প্রায় ২০০ মিলিয়ন গ্রাহকের এই কোম্পানিটিই মূলত স্ট্রিমিং সাইটগুলোকে পথ দেখাচ্ছে। যে কোম্পানির একদা ব্লকবাস্টারের সাথে একীভূত হওয়ার কথা ছিল তা-ই এখন বিনোদন জগতের পুরোধায় পরিণত হয়েছে।
মহামারি ও বুনিয়াদের ভগ্ন ভিত
মার্কিন ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ভেরিজনের দাবি, এই মহামারিতে তাদের ভিডিও স্ট্রিমিং বেড়েছে ১৫ শতাংশেরও বেশি। জেপি মরগানের পরিচালক আলেক্সিয়া কোয়াদ্রানিও জানান, বিগত সময়ের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে মৌলিক কন্টেন্ট ক্রমাগত আসছে এই সাইটগুলোতে।
ব্যবসায়িক স্বার্থের বিবেচনায় লাভবান হচ্ছে জায়ান্ট কোম্পানিগুলো। গত বছরেই ভায়াকম কিনে নেয় প্লুটো টিভি, বাজারে নামে অ্যাপল টিভি প্লাস, কমকাস্টের ছায়ায় আসে জুমো, ফক্সও দলে ভেড়ায় টুবিকে।
ওয়ানপোল তাদের গবেষণায় জানায়, এই করোনা পরিস্থিতির কল্যাণে মার্কিনীদের গড় স্ট্রিমিং সময় ৪ ঘণ্টা থেকে বেড়ে আটে পৌঁছেছে। কুইবি অ্যাপ লঞ্চ হয়েছে মাত্র এপ্রিলে। সপ্তাহান্তেই ১.৭ মিলিউন ডাউনলোড হয় এটি। দর্শকদের ২৯ শতাংশ ডিজনি প্লাস এবং ২১ ভাগ গ্রাহক বেছে নিয়েছে হুলুকে।
খোদ হলিউডই ৫ বিলিয়ন ক্ষতির আশঙ্কায় থরথর; ক্রমাগত পেছাচ্ছে বিগ বাজেট ছবিগুলো মুক্তির তারিখ। ‘Black Widow’, জেমস বন্ড সিরিজের ছবিগুলো পিছিয়ে গেছে বছর শেষে।
লাভবান হচ্ছে কারা?
বাংলাদেশি ও বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য যেসব স্ট্রিমিং সাইট রয়েছে, মানের বিচারে অনেক নিচে থাকলেও প্রতিযোগিতার পালে নিত্যনতুন হাওয়াও যোগাচ্ছে। বায়োস্কোপ লাইভ, বিঞ্জ, আইফ্লিক্স, ওয়াচ মোর, সিনেস্পট, হইচই, আড্ডা টাইমস, জি ফাইভ প্রভৃতির কন্টেন্টও বৈচিত্র্যে ছাড়িয়ে যাচ্ছে প্রথাগত মাধ্যমদের।
ইউটিউবের মতো সবসময় ফ্রি সুবিধা না থাকলেও নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বিনা খরচায় দর্শক দেখতে পান কিছু সিনেমা ও সিরিজ। এরপর দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক ও বাৎসরিক নানান প্যাকেজে উপভোগ করা যায় এগুলোর কন্টেন্টগুলো। ফি-র বাহারও চটকদার- মাত্র ৫ থেকে হাজার দুয়েক।
বায়োস্কোপের গ্রাহক সংখ্যাই এখন বেশি দেশে, প্রায় ৩০ লাখ। একেবারে সর্বনিম্ন সাবস্ক্রিপশন নিলেও তাদের মাসিক আয় ১৫-২০ কোটির দুয়ারে। পাইরেটেড সাইটে অগুনতি ব্যবহারকারি থাকার পরেও নেটফ্লিক্সের দৌড় এদেশে নেহায়েত কম না। দুই লাখের উপর রেজিস্টার্ড গ্রাহক আছে তাদের। ফি যেহেতু কম করেও ৬০০, তাই আয়ের পাল্লাও বেশি। সর্বনিম্ন হিসেবেও ১২০ মিলিয়ন আয় করছে তারা। অ্যামাজন প্রাইমও ধীরে ধীরে অধিগ্রহণ করছে এই জায়গা। বাৎসরিক ৯ ডলারের হিসেব করলেও সাড়ে সাতশো গুনতে হয় গ্রাহককে।
প্যাকেজ টিভিও আকর্ষণ করতে অসমর্থ হচ্ছে গ্রাহকদের। নির্দিষ্ট অল্প কিছু চ্যানেলের জন্য স্বল্প অর্থ প্রদানে আপত্তি নেই বলেই আপিল বেড়েছিল এর। ২০১৬ সালে ১৩৮ দেশ থেকে এই সেক্টরে বিনিয়োগ হয় ২০২ বিলিয়ন ডলার। তবে অর্থনীতিবিদদের মতে তা ২০২৫ সাল নাগাদ কমে ১৫০ বিলিয়নের নিচে আসতে পারে।
অন্যদিকে ডিজিটাল টিভি রিসার্চের গবেষণা ফল বলছে, ২০১৯ সালে অনলাইন স্ট্রিমিং সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রিতে ৮৩ বিলিয়ন বিনিয়োগ থাকলেও ২০২৫ এ এটি গিয়ে দাঁড়াবে ২০০ বিলিয়নের কোঠায়।
বদলের গান
ভারতের জন্য অবশ্য এই অভিজ্ঞতা নতুন নয়। গত চার বছর ধরেই ধীরে ধীরে আগ্রাসী ভূমিকায় রূপ নিচ্ছিল অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো। সিনেমা হল আবেগের স্থান হলেও এখানেই পরিবেশক-প্রযোজকের আদায় কাঁচকলায় পরিস্থিতি তৈরি হতো। তৃতীয় সপ্তাহের পর প্রযোজকের ঘরে তেমন লভ্যাংশ আসতোই না।
পরিবর্তনের হাওয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন নন্দিত পরিচালক হানসাল মেহতা; নিজস্ব টুইটার একাউন্ট থেকে জানান, ‘ থিয়েটারের জায়গা ওটিটি নেবে না। তবে এটা ঠিক, দর্শকের পছন্দের স্বাধীনতা বাড়বে। ভবিষ্যৎ ছেড়ে দেবার সময় এখনও আসেনি। বর্তমানে টিকে থাকাটাই বড়। প্রযোজক-পরিচালক অবশ্যই নিরাপত্তা চাইবেন। নতুন প্ল্যাটফর্মে দীর্ঘদিন একটা ছবি থাকে। এতে পরিবেশকের হুমকির মুখে পড়ার কিছু নেই। জিততে হলে কিছু হারাতেই হয়।‘
এপ্লস এন্টারটেইনমেন্টের প্রধান নির্বাহী সামির নায়ারের কণ্ঠেও আশার আলো, ‘ওটিটি তে সবার জন্যই একটা স্থান আছে। ‘সুজিত সরকারের ‘গুলাবো সিতাবো’ নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে গত ১২ জুন। আকস্মিক পরিস্থিতিকে বিবেচনায় রেখে অনলাইনে ভরসা রাখার আবেদন তাঁরও।
মে মাসেই ইন্ডিয়ান প্রডিউসার গিল্ড দাপ্তরিক বাণীতে ধৈর্য আর পরিবর্তনের পক্ষে মত দিয়েছে। তবে যশরাজ ফিল্মস ও রিলায়েন্স এন্টারটেইনমেন্ট পৃথক বিবৃতিতে জানায়, ওটিটি মাধ্যমে তারা কোন প্রচার করবে না। এর কারণ হিসেবে তারা দর্শায়, কবির খানের ‘৮৩’ ও রোহিত শেঠির ‘সুরিয়াভানসি’ দুটোই বিগ বাজেট ফিল্ম। তাই অনলাইন সার্ভিসে মুক্তি পেলে ক্ষতির খাতাতেই লাল দাগ পড়বে।
বাংলাদেশ কতটা প্রস্তুত?
শুধু নতুন সিরিজ বা সিনেমাই নয়, পুরনো কন্টেন্টগুলোও ফের আলোচনায় আসছে। প্রেরণা যোগাচ্ছে সুনির্মাতাদের। সাবস্ক্রিপশন ফি ও অনির্দিষ্ট কাল ধরে প্ল্যাটফর্মগুলোয় থাকার ফলে সরেস বাজেট থাকছে নির্মাণে। প্রযোজকগণ দেদারসে কোটি টাকাও দিচ্ছেন, যেখানে সাধারণ নাটকের বাজেট থাকে মাত্র ৩-৪ লাখ!
গত বছরেই সিনেস্পটের ‘ইন্দুবালা’ দিয়ে ওয়েব জগতে প্রবেশ করেন চিত্রনায়িকা পপি। উদার নীতিতে বিশ্বাসী হয়ে এই মাধ্যমকে চর্চা করতে বলেন তিনি। এ বি এম সুমনও সুর মেলান তাঁর সাথে, ‘সময়ের অভাবে মানুষ বিনোদন মাধ্যম পালটাবেই। এটা ইতিবাচক।‘
সম্প্রতি তিন ওয়েব সিরিজ নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে বাংলাদেশের মিডিয়া অঙ্গনে। ওয়াহিদ তারেকের ‘বুমেরাং’, শিহাব শাহিনের ’১৪ আগস্ট’ এবং সুমন আনোয়ারের ‘সদরঘাটের টাইগার’ – তিনটিই আপত্তিকর সংলাপ ও অশ্লীলতার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছে। ফলশ্রুতিতে সরিয়ে নেয়া হয়েছে দুটিকে আর ’১৪ আগস্ট’ এর সংশোধিত পরিবেশনা প্রচারের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
দেশবরেণ্য অভিনেতা ও নির্দেশক মামুনুর রশিদ এ বিষয়ে বলেন, “এখন ওয়েব সিরিজে যা দেখানো হচ্ছে দেশ এটা দেখার জন্য প্রস্তুত না। শ্লীলতা বা অশ্লীলতাই একটা আপত্তির জায়গা। দুর্নীতি বা এ ধরনের অনাচার নিয়ে কিন্তু এসব সিরিজ হয়না, হয় সেক্স আর ভায়োলেন্স নিয়ে”।
দ্বিমতও আছে এই তর্কে; এই যেমন আশফাক নিপুণের দৃষ্টিতে, ‘ওয়েব সিরিজ টেলিভিশনের মতো কোনো মাধ্যম না। ওয়েব সিরিজ দেখার জন্য আপনাকে কয়েক ধাপ পেরিয়ে সেটি কিনতে হবে। এটি একটি সেন্সর প্রক্রিয়া। অর্থাৎ আপনি কোনটি দেখবেন সেটি আপনিই সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন। ধরুন কেউ যদি মনে করে যে আমি হরর মুভি দেখবোনা তাহলে তিনি সেই কনটেন্ট দেখবেন না। কিন্তু তাই বলে তিনি তো দাবি করতে পারেননা যে হরর মুভি সরিয়ে দিন”।
গিয়াসউদ্দিন সেলিম এই উন্মুক্ত মাধ্যমকে সাদরে গ্রহণ করার পক্ষে, ‘স্প্যানিশ ওয়েব সিরিজ দাপট চালাচ্ছে বিশ্বজুড়ে। তুমুল জনপ্রিয়তা আছে ইংরেজি ও হিন্দিরও। বিশ্বে এর বাজারটা এতো বড় যে বাংলারও অনেক সুযোগ আছে যা আমরা এখনো নিতে পারছিনা। নির্ধারিত কিছু নীতিমালার আলোকে আমরা কাজ করতে পারি। সেলিমের ‘প্রীতি সমাচার’এ দেখা গেছে হালের সেনসেশন পরিমনিকে।
১৪ আগস্টের পরিচালক শিহাব শাহিন বেশ বিরক্তই এই ব্যাপারে, ‘আমি সত্যি ঘটনা নিয়ে সিরিজটি বানিয়েছি। এখানে পুরো সত্যিটা বললে আরও অনেক কিছু আসতো। আমি শুধু গল্পের প্রয়োজনে যেটুকু এসেছে সেটুকুই ব্যবহার করেছি দৃশ্য হিসেবে। কিন্তু কেউ কেউ তার মধ্য থেকে ৩০ সেকেন্ডের একটি খণ্ডিত অংশ নিয়েই শোরগোল তুলছেন। আর সাইটে কিন্তু বয়সসীমা নির্ধারণ করাই থাকে। এ থেকে কেটে ছড়িয়ে দিলেই সমস্যা।‘
আবার দেশের ১১৮ জন সুপরিচিত নির্মাতা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমাদের দেশে ওয়েব প্লাটফর্মে পথচলাটা যেহেতু খুব নতুন সেখানে প্রথমেই কোন বিচ্যুতি বা ভুলভাবে ব্যাখ্যা হবার কারণে যদি শুরুতেই এর চলার পথটা থমকে যায়, অথবা এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কলাকুশলীরা সাইবার বুলিং-এর শিকার হয় বা বৈচিত্র্যময় কন্টেন্ট নির্মাণের পথ বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে তা বাংলাদেশের বিনোদন শিল্পের জন্য একটি বিরাট অন্তরায় হিসেবে দেখা দিবে টিভি বা ওয়েব সিরিজ যাই হোকনা কেন তার জন্য একটি স্বাধীন মতামত প্রকাশের সুযোগ বাস্তবায়ন ও সেই সাথে পাইরেসি প্রতিরোধ করে নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্মের কন্টেন্ট নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্মে পরিবেশনার ব্যাপারে একটি আধুনিক নীতিমালা করতে সরকার আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নিবেন এবং এই বৈশ্বিক ডিজিটাল অর্থনৈতিক বিপ্লবে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত করার সুযোগ তৈরি করবেন বলেই আমরা বিশ্বাস করি।‘
আবার উলটো পিঠে ৭৯ জন সিনিয়র অভিনেতা অভিনেত্রীরা ওয়েব সিরিজের সমালোচনাও করেছেন।
পাশের দেশ ভারতের প্রভাব অনেকখানিই পড়ছে বাঙাল মুলুকে। নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন প্রাইম, অল্ট বালাজি, হটস্টার, ভিউ, এম এক্স প্লেয়ার, জি ফাইভ, ভুট প্রভৃতির কন্টেন্ট নানাভাবে দেখছে এদেশের বিনোদনপ্রেমীরা। এই ধাক্কায় জি ফাইভের গ্রাহক বেড়েছে ৮০ শতাংশ।
মরার উপর খাড়ার ঘা- মহামারীর আগেই দেশের সিনেমা হলের মৃতবৎ হাল। কিন্তু বিনোদনের চাহিদা আরও বেড়েছে। কড়ায় গণ্ডায় সেই চাহিদার যোগান পোষাচ্ছে স্ট্রিমিং সাইটগুলো। কড়কড়ে কন্টেন্ট আর চোখ ধাঁধানো চমৎকারিত্বে শতেক বছরের প্রবীণের ঘাড়ে শ্বাস ফেলছে ওটিটি। সময়েই উত্তর মিলবে হয়তো।
লেখক- সারাহ তামান্না