ইতিহাস

যুগে যুগে যত মহামারী1 min read

এপ্রিল ৫, ২০২০ 5 min read

author:

যুগে যুগে যত মহামারী1 min read

Reading Time: 5 minutes

সারাবিশ্ব থমকে গেছে। সবার চোখেমুখে উৎকন্ঠা। বেঁচে থাকার তীব্র যুদ্ধে নেমেছে গোটা বিশ্ব। না, এবার যুদ্ধটা মানুষে মানুষে নয়। এ যুদ্ধে মানুষের সাথে ভাইরাসের। তাও যে সে ভাইরাস নয়। কোভিড-১৯ নামের এক ভয়াল ঘাতক হিসেবে চিহ্নিত এ ভাইরাসটি চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বে। বর্তমানে ২০৫টি দেশ হয়েছে কোভিড-১৯ আক্রমণের শিকার। নতুন এ ভাইরাসকে বিশ্বব্যাপী মহামারি হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে এমন মহামারী রোগের সংক্রমণ এবারই প্রথম নয়। পৃথিবীতে সংক্রামক রোগের ইতিহাস বেশ দীর্ঘ। আদিমযুগ থেকে এখন পর্যন্ত পৃথিবীতে মহামারী রোগের কারণে যুগে যুগে মারা গেছে কোটি কোটি মানুষ।

মানুষ সমাজবদ্ধ হয়ে থাকার ক্রান্তিলগ্ন থেকেই সংক্রামক রোগ মহামারিতে রূপ নিতে শুরু করে। ম্যালেরিয়া, যক্ষ্মা, কুষ্ঠ, ইনফ্লুয়েঞ্জা, গুটিবসন্ত প্রভৃতি বিভিন্ন রোগ নানা সময়ে মহামারির আকার নিয়েছে। মানব সভ্যতা যত উন্নত হয়েছে, মহামারির ধরণে এসেছে পরিবর্তন। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে বেড়েছে নগরায়ন, বায়ু দূষণ। এ ছাড়া বেড়েছে বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগ ও বাণিজ্য। ফলে রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় ঝুঁকিও তৈরি হয়েছে।

উল্লেখযোগ্য কিছু মহামারির চালচিত্র আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।

১. খ্রিষ্টপূর্ব ৪৩০ অব্দ: এথেন্স

পেলোপনেসিয়ান যুদ্ধের সময় খ্রিষ্টপূর্ব ৪৩০ অব্দে একটি রোগ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছিল। পরবর্তীতে লিবিয়া, ইথিওপিয়া ও মিসর ঘুরে তা গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে ছড়িয়ে পড়েছিল। এ রোগে ওই অঞ্চলের মোট জনসংখ্যার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের মৃত্যু হয়।

রোগের মূল লক্ষণ ছিল জ্বর, প্রচণ্ড তৃষ্ণা , গলা ও জিহ্বা রক্তাক্ত হওয়া, ত্বক লালচে হয়ে যাওয়া ও ক্ষত সৃষ্টি। ধারণা করা হয়, এটি ছিল টাইফয়েড জ্বর। বলা হয়ে থাকে, এমন মহামারির কারণেই স্পার্টানদের কাছে যুদ্ধে হারতে হয়েছিল এথেনিয়ানদের।

২.অ্যান্টনি প্লেগ: ১৬৫ খ্রিস্টাব্দ

অ্যান্টনি প্লেগ সম্ভবত স্মলপক্সের প্রথম দিককার একটি উপসর্গ যার শুরুটা হয় মুরগি থেকে। মুরগি থেকে আসা এই রোগ প্রথমেই আক্রান্ত করে জার্মানদের। সেখান থেকে এই রোগ ছড়ায় রোমানদের মাঝে। আর এরপরই রোমান সৈন্যবাহিনীর মাধ্যমে সেটি ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়তে থাকে রোমান সম্রাজ্যের পুরোটা জুড়ে। এই রোগের লক্ষণ ছিল, জ্বর, গলা ব্যথা, ডায়রিয়া এবং যদি রোগের মেয়াদ রোগীর মাঝে বেশ অনেকদিন হয়ে যায় সেক্ষেত্রে পুঁজযুক্ত ক্ষত দেখা যেত। অ্যান্টনি প্লেগ ১৮০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বজায় ছিল। সম্রাট মার্কাস অরেলিয়াস এই প্লেগের শিকার হয়েই মারা যান।

৩.সাইপ্রিয়ান প্লেগ : ২৫০ খ্রিস্টাব্দ

এই প্লেগের নামকরণ করা হয় এতে আক্রান্ত প্রথম রোগীর নাম অনুসরণে যিনি পেশায় ছিলেন কার্থেজ অঞ্চলের এক চার্চের বিশপ। সাইপ্রিয়ান প্লেগে আক্রান্তদের মাঝে ডায়রিয়া, বমি হওয়া, গলায় ঘা, জ্বর এবং হাত পায়ের তালুতে পচনের মত লক্ষণ দেখা গিয়েছিল।

শহরের লোকজন এই রোগের প্রকোপে শহর ছেড়ে পালাতে চাইলে রোগটি আরো বেশি ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এই রোগের উৎপত্তি খুব সম্ভবত ইথিওপিয়ার বুকে। সেখান থেকে উত্তর আফ্রিকা হয়ে রোম, সেখান থেকে মিশর এবং আরো উত্তরে ছড়িয়ে যায় সাইপ্রিয়ান প্লেগ।

অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, পরের ৩ শতক ধরে পৃথিবীতে বেঁচে ছিল এই প্লেগ। ৪৪৪ খ্রিস্টাব্দে গ্রেট ব্রিটেনে হানা দেয় সাইপ্রিয়ান প্লেগ। এর কারণে সেল্টিক অঞ্চলে ব্রিটেনের প্রতিরোধ ভেঙে পড়ে এবং তারা স্যাক্সনদের সাহায্য চাইতে বাধ্য হয়। পরবর্তীতে সেল্টিক অঞ্চলে স্যাক্সনরাই আধিপত্য বুঝে নেয়।

৪. ৫৪১ খ্রিষ্টাব্দ: জাস্টিনিয়ান প্লেগ

মিসরে প্রথম এই রোগ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে। সেখান থেকে ফিলিস্তিন ও বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে এই মহামারি। পরে পুরো ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে রোগটি বিস্তার লাভ করে।

সম্রাট জাস্টিনিয়ান ওই সময় রোমান সাম্রাজ্যের সঙ্গে বাইজেন্টাইনকে একীভূত করার পরিকল্পনা করছিলেন। মহামারিতে সব ভেস্তে যায়। শুরু হয় অর্থনৈতিক সংকট।

পরবর্তী আরও দুই শতাব্দী ধরে বিভিন্ন সময়ে মহামারি আকার নিয়েছিল এ রোগটি। মারা গিয়েছিল প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ। যা ছিল পৃথিবীর তখনকার মোট জনসংখ্যার ২৬ শতাংশ। এই প্লেগের মূল বাহক ছিল ইঁদুর। মূলত মানুষের চলাচলের মাধ্যমে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে।

৫. একাদশ শতাব্দী: কুষ্ঠ

কুষ্ঠরোগের অস্তিত্ব ছিল আগে থেকেই। কিন্তু মধ্যযুগে ইউরোপে এই রোগ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছিল। হাসপাতালে রোগী সামলাতে খেতে হয়েছিল হিমশিম।

কুষ্ঠ ব্যাকটেরিয়াজনিত একটি রোগ যা ধীরে ধীরে রোগীর শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কারের আগ পর্যন্ত কুষ্ঠ ছিল প্রাণঘাতী রোগ। সঠিক চিকিৎসা ছিলনা বলে, ধারণা করা হত এটা ঈশ্বর প্রদত্ত পাপের শাস্তি। এখনও বছরে লাখ লাখ লোক কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। কিন্তু অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার আর এই রোগে মানুষের প্রাণ কেড়ে নিতে পারে না।

৬. দ্য ব্ল্যাক ডেথ: ১৩৫০ সাল

এই মহামারিতে তৎকালীন সময়ে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশের মৃত্যু হয়েছিল। ধারণা করা হয় এটি বিশ্বের দ্বিতীয় ভয়ঙ্কর মহামারী রোগ।

একে বলা হয় এক ধরণের বুবোনিক প্লেগ। একটি নির্দিষ্ট ব্যাকটেরিয়া এ রোগের জন্য দায়ী। দ্য ব্ল্যাক ডেথ নামে খ্যাতি পাওয়া এই মহামারি প্রথমে এশিয়া অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছিল। পরে তা পশ্চিমে ছড়ায়। একপর্যায়ে পুরো ইউরোপ এই মহামারিতে আক্রান্ত হয়। ১৩৪৮ সালের শুরুতে যখন ইউরোপে ফের প্রাদুর্ভাব ঘটে এই রোগের তখন ইতালির বন্দরনগরী ভেনিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত নেন, বাইরে থেকে আসা কোনও জাহাজে প্লেগে আক্রান্ত কোনও রোগী রয়েছেন এমন সন্দেহ হওয়া মাত্রই সেই জাহাজের ভেনিসে ঢোকার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। সংশ্লিষ্ট জাহাজকে ভেনিসে ঢোকার আগে একটি দ্বীপে চল্লিশ দিন অপেক্ষা করতে হবে।

আক্রান্ত এলাকায় প্রাণহানির ঘটনা এতই বেড়ে যায় যে রাস্তাঘাটে পড়ে ছিল মানুষের লাশ। এসব লাশ পচে-গলে আরেক দুঃসহ সংকট সৃষ্টি করে। শুধু এই মহামারির কারণে ওই সময়ে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স যুদ্ধ থেমে যায়। এই প্লেগে জনমিতিগত ও অর্থনৈতিক ব্যাপক পরিবর্তন হওয়ায় ধসে পড়েছিল ব্রিটিশ সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থা।

৭. দ্যা কলম্বিয়ান এক্সচেঞ্জ:১৪৯২ সাল

ক্যারিবিয়ানে স্প্যানিশদের আগমনের পরপরই হঠাৎ প্রাদুর্ভাব হয় গুঁটি বসন্ত। কারো কারো মাঝে দেখা যায় হামের লক্ষণ। ধীরে ধীরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে। বুবোনিক প্লেগ আবার শুরু হয় নতুন করে। কোনরকম চিকিৎসা শুরু হওয়ার আগেই দক্ষিণ এবং উত্তরের ৯০ শতাংশ আক্রান্ত ব্যক্তি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

ক্রিস্টোফার কলোম্বাস যখন হিসপানিওলা দ্বীপপুঞ্জ ভ্রমণ করেছিলেন তখন জনসংখ্যা ছিল ৬০,০০০। ১৫৪৮ সালে সে সংখ্যা এসে দাঁড়ায় মাত্র ৫০০-তে! সেই একই চিত্র দেখা যায় আমেরিকাতেও। ২০১৯ এর এক গবেষণয় পরিলক্ষিত হয় যে ১৬শ এবং ১৭শ শতাব্দীতে ৫৬ মিলিয়ন আমেরিকান মারা গেছেন শুধুমাত্র মহামারী রোগের শিকার হয়।

৮. দ্য গ্রেট প্লেগ অব লন্ডন: ১৬৬৫ সাল

এটিও ছিল বুবোনিক প্লেগ। এতে লন্ডনের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশের মৃত্যু হয়। প্রাথমিকভাবে রোগের উৎস হিসেবে কুকুর-বিড়ালের কথা ভাবা হয়েছিল। রোগের আতঙ্কে তখন নির্বিচারে শহরের কুকুর-বিড়াল মেরে ফেলা হয়। লন্ডনের বন্দর এলাকায় এই প্লেগ ছড়িয়ে পড়ে।

৯. প্রথম কলেরা মহামারি: ১৮১৭ সাল

কলেরা রোগের প্রথম মহামারির শুরুটা হয়েছিল রাশিয়ায়। সেখানে এতে প্রায় ১০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। দূষিত পানির মাধ্যমে এই রোগ পরে ব্রিটিশ সেনাদের মধ্যে ছড়ায়। পরে তা ভারতে ছড়ায়, যাতে ১০ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। ব্রিটিশ উপনিবেশগুলোতেও কলেরা মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে। স্পেন, আফ্রিকা, ইন্দোনেশিয়া, চীন, জাপান, ইতালি, জার্মানি ও আমেরিকায়ও কলেরা ছড়িয়ে পড়ে মহামারি আকারে। এসব অঞ্চলে প্রায় দেড় লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। ফলে সব মিলিয়ে ২২–২৩ লাখ লোক মারা যায়। এখানেই শেষ নয়, পরবর্তী আরও দেড় শ বছর ধরে কলেরা বিভিন্ন সময়ে কয়েক দফায় মহামারি আকারে দেখা দিয়েছিল।

১০. তৃতীয় প্লেগ মহামারি: ১৮৫৫ সাল

চীন থেকে এর সূত্রপাত হয়েছিল। পরে তা ভারত ও হংকংয়ে ছড়িয়ে পড়েছিল। প্রায় দেড় কোটি মানুষ এই মহামারির শিকার হয়েছিল। ভারতে এই মহামারি সবচেয়ে প্রাণঘাতী রূপ নিয়েছিল। ইতিহাসবিদেরা বলে থাকেন, এই মহামারিকে উপলক্ষ হিসেবে নিয়ে ভারতে ব্রিটিশ শাসকেরা নিপীড়নমূলক পদক্ষেপ নেয় এবং সেসবের মাধ্যমে বিদ্রোহ দমন করে।

১১. রাশিয়ান ফ্লু: ১৮৮৯ সাল

ফ্লুর মাধ্যমে সৃষ্ট প্রথম মহামারি ছিল এটি। সাইবেরিয়া ও কাজাখস্তানে এর সূত্রপাত। পরে মস্কো হয়ে ফিনল্যান্ড ও পোল্যান্ডে তা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে ইউরোপেও দেখা দেয় মহামারি। সমুদ্র পেরিয়ে উত্তর আমেরিকা ও আফ্রিকা অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়েছিল এই ফ্লু। ১৮৯০ সালের শেষ নাগাদ এই রোগে প্রায় ৩ লাখ ৬০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।

১২. স্প্যানিশ ফ্লু: ১৯১৮ সাল

এই মহামারিতে বিশ্বব্যাপী প্রায় পাঁচ কোটি মানুষের মৃত্যু হয়। ধারণা করা হয়, স্প্যানিশ ফ্লুর উৎপত্তিস্থল ছিল চীনে। চীনা শ্রমিকদের মাধ্যমে তা কানাডা হয়ে ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে। ১৯১৮ সালের শুরুর দিকে এই ফ্লু উত্তর আমেরিকায় দেখা দেয় এবং পরে ইউরোপে ছড়ায়। স্পেনের মাদ্রিদে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার পর এর নাম হয় ‘স্প্যানিশ ফ্লু’। ১৯১৯ সালের গ্রীষ্মে এই রোগের প্রকোপ কমে আসে। সালফা ড্রাগস ও পেনিসিলিন তখনো আবিষ্কৃত না হওয়ায় স্প্যানিশ ফ্লু অত্যন্ত প্রাণঘাতী রূপে দেখা দিয়েছিল। স্পেনের মোট ৮০ লাখ মানুষ এই ফ্লুতে আক্রান্ত হয়। বিশ্বব্যাপী আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫০ কোটি।

১৩. এশিয়ান ফ্লু: ১৯৫৭ সাল

হংকং থেকে এই রোগ চীনে ছড়িয়ে পড়ে। পরে তা ছয় মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র হয়ে যুক্তরাজ্যে ব্যাপকভাবে ছড়ায়। এ কারণে প্রায় ১৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়ে। ১৯৫৮ সালের শুরুর দিকে এশিয়ান ফ্লু দ্বিতীয়বারের মতো মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময় এশিয়ান ফ্লুতে বিশ্বব্যাপী প্রায় ১১ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই মারা গিয়েছিল ১ লাখ ১৬ হাজার মানুষ। পরে ভ্যাকসিন দিয়ে ওই মহামারি প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছিল।

১৪. এইচআইভি/এইডস: ১৯৮১ সাল

১৯৮১ সালে এইডস প্রথমবারের মতো শনাক্ত করা সম্ভব হয়। এইচআইভি ভাইরাস মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ধ্বংস করে ফেলে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ১৯২০ সালের দিকে পশ্চিম আফ্রিকায় এই ভাইরাসের উদ্ভব ঘটে। রোগ শনাক্তের পর থেকে এ পর্যন্ত এইডসে বিশ্বব্যাপী সাড়ে তিন কোটি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

১৫.সার্স: ২০০৩ সাল

২০০৩ সালে চীন এবং জাপানে বাদুর এবং বিড়ালের শরীরে সর্বপ্রথম হদিস মিলে “সিভিয়ার অ্যাকুয়েট রেসপিরেটরি সিনড্রম” বা সার্স নামক ভাইরাসটির। পরবর্তীতে তা ছড়িয়ে পড়ে মানবজাতির মধ্যে। ২৬ দেশের ৮০৯৬ জন ব্যক্তি আক্রান্ত হয় এবং মারা যায় ৭৭৪ জন।

শুকনো কাশি, সারাশরীরে ঘামাচি সাথে তীব্র জ্বর মূলত এ রোগের মূল লক্ষণ। আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি, কাশি থেকেই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। কোয়ারেন্টিন তখন রোগ প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। জুলাইয়ের মধ্যে তা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

লেখক- ঐশ্বর্য মীম

One Comment
  1. tariq

    সোয়াইন ফ্লু এবং mars বাদ পড়েছে

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *