Site icon Bangla Info Tube

মাঠে সক্রিয় ইমিগ্রেশন পুলিশ-আইস

Reading Time: 2 minutes

৯৮ স্টোরে পুলিশের হানা, গ্রেফতার ২১

বিশেষ প্রতিনিধি

উত্তর আমেরিকা অফিস: কাজের বৈধ অনুমতিপত্র যাচাই বাছাই করে কর্মী নিয়োগ হচ্ছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখতে পুরো যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে এক যোগে ৮৯ টি স্টোরে হানা দিয়েছে ইমিগ্রেশন পুলিশ আইস এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দপ্তর। এই ৯৮টি স্টোরের সব গুলোই, সেভেন ইলেভেন নামের গ্রোসারী/পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন স্টোর।নিউইয়র্কের স্টেটন আইল্যান্ডের অন্তত ৩টি সেভেন ইলিভেন স্টোর সহ বেশ নিউইয়র্কের বেশ কয়েকটি জায়গায়ও অনুরুপ হানা দিয়েছে আইস দপ্তর এবং হোম্যলান্ড সিকিউরিটি পুলিশ। এক রাতেই ২১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নিউইয়র্কের স্টেটন আইল্যান্ডের ১৪৪০ ফরেস্ট এভিনিউ এর সেভেন ইলেভেন স্টোরের মালিক সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘ভোর সাড়ে ৫ টায় পুলিশ তল্লাসি চালায় আমার দোকানে। এখানে কর্মীদের হাজিরা খাতা, এবং অন্যন্য প্রমানাদি দেখার চেষ্টা করে। উপস্থিত ২ জন কর্মীকে জিঙ্গাসাবাদ করে। তবে আমাদের এখান থেকে কাউকে গ্রেফতার করেনি, কারণ আমরা আইন অনুযায়ী বৈধ কর্মী নিয়োগ করেই ব্যবসা করছি’।

অনুরুপ তল্লাশি চালানো হয়েছে স্টেটন আইল্যান্ডের ১২৫২ ফরেস্ট এভিনিউ এর একটি স্টোরে। সেখানে ম্যানেজার বা মালিকের ছেলে ছিল তখন কর্মরত। পুলিশ তাকে তার গ্রিনকার্ড দেখতে চেয়েছিল বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন ঐ ম্যানেজার।
নিউইয়র্কের বাইরে ওয়াশিংটন ডিসি, ক্যালিফোর্নিয়া, কলোরাডো, ইলিনয়, ইন্ডিয়ানা, ম্যারিল্যান্ড, মিশিগান, মিসৌরী, নেভাডা, নিউজার্সি, নর্থ ক্যারোলাইনা, ওরেগান, পেনসিলভেনিয়া, টেক্সাস, এবং ওয়াশিটনের সিয়াটল শহরে এই অভিযান চালানো হয়েছে এক যোগে। একমাত্র টেক্সাস ছাড়া বাকীগুলি অভিবাসী বান্ধব এবং ডেমোক্রাট প্রাধ্যন্যের রাজ্য হিসেবে পরিচিত।
এই অভিযান পরিচালনা প্রসঙ্গে ইমিগ্রেশন পুলিশ আইস এর একজন ডেপুটি ডিরেক্টর থমাস ডি হমান জানিয়েছেন, ‘ যেসকল প্রতিষ্ঠান অবৈধ অভিবাসীদের কাজের সুযোগ করে দেয়, মূলত তারাও, এই দেশে অবৈধ অভিবাসীদের কে টেনে আনছে।আমরা খুব কঠোর পরিশ্রম করছি, এই চুম্বক রুপী কাজের জায়গাগুলিকে আইনের আওতায় আনতে। আইস, ভবিষ্যতে এই ধরনে আরো তল্লাসি চালাবে যেন, কাজের বাজারে আমেরিকান শ্রমিকরাই প্রাধান্য পায়। সেই সাথে যারা অবৈধদের শ্রমের সুযোগ করে দিচ্ছে, তাদের রাষ্ট্রীয় সুবিধাদি বাতিল করা সহ অন্য শাস্তির বিধান প্রয়োগ করা হবে।’

সাম্প্রতিক সময়, অবৈধ অভিবাসী অথবা, কাজের অনুমতিহীন অভিবাসীদের খেয়ে পরে বাচার ক্ষেত্র ক্রমশই সংকুচিত হচ্চে। নিউইয়র্কের এস্টোরিয়া, জ্যাকসান হাইটস বেশ কয়েকটি বাংলাদেশী মালিকানাধীন রেস্টুরেন্ট-এ আইস হটাৎ তল্লাসি চালিয়েছে। এসব কারণে, জ্যাকসান হাইটস এ কাগজপত্রহীনদের আনা গোনাও কমে গেছে। আর এমন দেশব্যাপী রেইড দেয়ার ঘটনা এটাই প্রথমবার ঘটলো।

এই ঘটনায় উদ্বেগ বেড়েছে অভিবাসীদের অভয়ারান্য খ্যাত নিউইয়র্কে। সেই সাথে, যাদের বৈধ কাগজপত্র নেই তাদের জীবন জীবিকা হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কেননা, সেভেন ইলিভেন সহ বিভিন্ন ফুড এবং গ্রোসারী স্টোর গুলিতেই কাগজপত্রহীন অথবা বৈধ ওয়ার্ক পারমিট ছাড়াই, নগদ টাকা চুক্তিতে (ক্যাশে) কাজ করতে পারতেন নতুন আগতরা। এখন প্রতিটি জায়গায় যারা কর্মী নিয়োগ দেন, তারা তটস্থ হয়ে গেলে, কাজের সুযোগ বন্চিত হবেন কাগজপত্র এবং ওয়ার্কপারমিট ছাড়া অভিবাসীরা। এরই মধ্যে, সেভেন ইলিভেন এর কয়েকটি স্টোরের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ শুরু করেছে পুলিশ।

Exit mobile version