এই বিষাক্ত খাবারগুলো আপনার খাদ্য তালিকায় নেই তো! 1 min read
Reading Time: 3 minutesআমাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় এমন কিছু খাবার আছে যা আপাতদৃষ্টিতে ক্ষতিকারক মনে না হলেও পরবর্তীতে তা আমাদের জন্য ডেকে আনতে পারে বিপদ। আপনার আমার পরিচিত এমন কিছু খাদ্যের ক্ষতিকারক দিকগুলো আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।
অপাস্তুরিত মধু
আপনি যদি দোকান থেকে ভালো ব্র্যান্ডের মধু কিনে খান তবে কোন সমস্যা নেই কারণ এটি পাস্তুরিত। তবে অপাস্তুরিত মধু হতে পারে আমাদের ক্ষতির কারণ। অপাস্তুরিত মধুতে গ্রায়ানোটক্সিন থাকে যা মাথা ঘোরা, দুর্বলতা এবং বমিভাবের মতো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। শিশুদের জন্য এটি মারাত্মক হতে পারে!
টমেটো

আপনি হয়তো দেখতে পাবেন বাজার থেকে টমেটো কিনে নিয়ে আসার পর টমেটোর সাথে এক ধরনের সবুজ পাতা থাকে। এই পাতাগুলোতে গ্লাইকোয়ালকালয়েড রয়েছে। এটি এমন একটি বিষ যা শরীরে মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। সুতরাং, টমেটোর সেই সবুজ অংশ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
শামুক

আপনার যদি শামুকে অ্যালার্জি থাকে তবে সামুদ্রিক খাবার থেকে সাবধান থাকুন। শামুক আপাতদৃষ্টিতে সাধারণ মনে হলেও অ্যালার্জির সমস্যা অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়।
কাঁচা বা আধা সিদ্ধ মাংস ও কাঁচা ডিম
সালমনেলা কোন রসিকতা নয়। আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যদি দুর্বল হয় তবে অবশ্যই আধা সিদ্ধ মাংসর পরিবর্তে রান্না করা মাংস খাবেন ও ডিম অবশ্যই সিদ্ধ করে খাবেন।
আলু

আলু আমাদের শরীরের জন্য উপকারী হলেও আলুর কান্ড ও পাতা মোটেও উপকারী নয় কারণ এই অংশে এক ধরনের বিষাক্ত উপাদান থাকে৷ সবুজ আলু ও আলু পাতার চা পানের কারণে অনেকের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটেছে।
আপেলের বীজ

আপেল স্বাস্থ্যকর হলেও আপেলের বীজে অ্যামিগডালিন থাকে। ফলে, সায়ানাইড এবং চিনির যৌগ বিপাকীয়করণের সময় হাইড্রোজেন সায়ানাইডে পরিণত হয়। বীজে থাকা স্বল্প পরিমাণে সায়ানাইড শরীরের জন্য ক্ষতিকারক না হলেও প্রচুর পরিমাণে আপেল বীজ খাওয়া সমস্যার কারণ হতে পারে।
মাশরুম

বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে যে সকল মাশরুম চাষ করা হয় সেগুলো খাওয়ার উপযোগী কিন্তু যে সকল মাশরুম বন্য জঙ্গলে জন্মায় সেগুলো না খাওয়ায় ভালো কারণ কিছু মাশরুম বিষাক্ত হয়ে থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, সান ফ্রান্সিসকোতে ডেথ ক্যাপ মাশরুম খেয়ে ১৪ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলো, ১৮ মাসের শিশু সহ তিনজনের লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্টের প্রয়োজন হয়ে ছিল।
শিম
শিমে উচ্চ মাত্রায় ফাইটো হেম্যাগগ্লুটিনিন থাকে যার ফলে বমিভাব এবং ডায়রিয়া হতে পারে। তবে রান্না করা শিম সম্পূর্ণ নিরাপদ। তাই, শিম কমপক্ষে ৩০ মিনিট সিদ্ধ করা উচিত।
জায়ফল
প্রতি বছর অতিরিক্ত জায়ফল খাওয়ার কারণে মরিস্টিকিন বিষের প্রতিক্রিয়ায় মৃত্যুর মতো ঘটনা ঘটে। এই বিষের প্রতিক্রিয়া কয়েকটি লক্ষণের মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন। যেমন, বমি বমি ভাব, হ্যালুসিনেশন, উদ্বেগ এবং অযৌক্তিক আচরণ। তরকারি রান্নাতে পরিমিত পরিমাণে জায়ফল ব্যবহার করুন কিন্তু এটি কাঁচা খাবেন না।
লেখক- পূজা ধর