নোবেল শান্তি পুরস্কারের তালিকায় ইমরান খান!1 min read
Reading Time: 2 minutesBIT_QuickUpdate: ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার ক্রমাগত বর্ধনশীল উত্তেজনায় জল ঢেলে দিয়ে পাকিস্তান ও বিশ্বব্যাপী ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন ইমরান খান। পাকিস্তানিরা যখন ইমরান খানের শান্তিতে নোবেল পাওয়া নিয়ে সরব, ঠিক সেই সময়ই যুক্তরাষ্ট্রের একটি সংবাদমাধ্যম “দ্য ক্রিস্টিয়ান সায়েন্স মনিটর ” নোবেল শান্তি পুরস্কারের প্রাথমিক তালিকায় ইমরান খানকে জায়গা দিয়ে সেই আলোচনায় পালে নতুন করে হাওয়া দিয়েছে।
বাংলা ইনফোটিউবের নতুন সংযোজন কুইক আপডেটে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নোবেল পুরুষ্কার পাওয়ার সম্ভাবনা এবং এ নিয়ে বিশ্বে আলোচনা ও সম্ভাবনার যে দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে তার একটি পর্যালোচনা বিশেষ তুলে ধরা হয়েছে এই পর্বটিতে ।
যুক্তরাষ্টের গণমাধ্যম ” “দ্য ক্রিস্টিয়ান সায়েন্স মনিটর ” এ যে সমস্ত প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গের নাম মনোনীত করা হয়েছে তার সবার উপরে আছেন ইমরান খান। প্রত্রিকাটি তার বিবৃতিতে জানিয়েছে যে ভারত ও পাকিস্তান এর মতো দুই শক্তিধর ও জনবহুল দেশের মধ্যে পরমাণু যুদ্ধাবস্থা বাস্তবরূপ নিলে যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণনাশ হতো তাকে রশি টেনে ধরার জন্য ইমরান খান যে উদার রাজনৈতিক ভূমিকা রেখেছেন তা অন্যরকম প্রশংসার দাবিদার এবং এতে তিনি শান্তির জন্য নোবেল মনোনয়ন যোগ্য।
মনোনয়ন তালিকায় আরো যে তিনজন নেতার নাম প্রস্তাব করা হয়েছে তার সারসংক্ষেপ :
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন যে-ইন: উত্তর কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার শান্তি আলোচনা এবং উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যকার শান্তি আলোচনার সূত্রপাত ঘটানোর জন্য প্রেসিডেন্ট মুন যে-ইনের যে অবদান তার স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি মনোনয়ন প্রস্তাবনায় রয়েছেন।
ইথিওপিয়ার প্রেসিডেন্ট গিরমা বলদে-গিওর্গিস: তিনি ইউটোরিয়ার সাথে যে শান্তিচুক্তি করেছেন এবং রাজনৈতিক বন্দিদের কে মুক্তি দিয়েছেন তার প্রেক্ষিতে তার নাম এসেছে তালিকায়।
ভেনিজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেতা ও স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট হু হ্যান হু আই দু: তিনি দেশের শান্তি ও শৃঙ্খলার জন্য কাজ করছেন। দেশের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে বিধংসী ক্রিয়াকলাপ ছাড়াই দেশের গণতন্ত্র রক্ষায় যে শান্তিপুর্নভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর এর চ্যালেঞ্জ করেছেন; সেই সূত্র ধরে তারও নাম এসেছে এই প্রস্তাবনায়।
মনোনয়ন তালিকায় সবার প্রথমে থাকা ইমরান খানের নোবেল প্রাপ্তির আলোচনা যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে আসে তা হলো ১৪ ই ফেব্রুয়ারিতে পুলওয়ামার আত্মঘাতী বোমা হামলায় ভারতের ৪০ জন সেনা নিহত হওয়ার ভিত্তিতে তিনি তার জাতীয় পরিষদের ভাষণে, পুলওয়ামা হামলার তদন্তে সংলাপ ও সহযোগিতার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নিকট তার প্রস্তাব ব্যক্ত করেন।
একটি টেলিভিশনের ঠিকানায়, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তদন্তের জন্য প্রতিটি সম্ভাব্য সাহায্যের প্রস্তাব দেন, কিন্ত ভারত প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করে এবং হামলা চালায়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদী আকাশ সীমায় আক্রমণ করলে ইমরান খান ২৪ টি ফাইটার জেট পাঠান কাশ্মীর ও ভারতীয় সীমান্তে যেখানে দুটি বিমান ভূপাতিত হয়। এতে ভারতের একজন বায়ু সেনা আটকা পরে পাকিস্তানিদের হাতে। কিন্ত কয়েকদিন পরে সংসদে একটি চিঠিতে ইমরান ঘোষণা করেন যে ইসলামাবাদ আইএএফ উইং কমান্ডার অভিনন্দন ভার্থানকে মুক্তি দেবে। আইএএফ পাইলটকে ভারতে হস্তান্তর করার পরপরই প্রধানমন্ত্রী ইমরানকে নোবেল শান্তি পুরস্কার মনোনয়ন দেওয়ার ধারণা উঠে আসে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সারা বিশ্ব জুড়ে এমনি কি খোদ ভারতেও ইমরান খানের পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে অভিনন্দন জানানোর রীতিমতো বন্যা শুরু হয়। মোদীকে নক আউট করে পররাষ্ট্রনীতিতে তার ছক্কা তোলপাড় ফেলে দেয় বিশ্ব মিডিয়া, ইউরোপীয় ইউরোপীয় গণমাধম ও খোদ ভারত ও ভারতের জনগণের জুড়ে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক প্রকাশনা সম্পাদকীয় বোর্ডের দ্বারা নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে একজন হিসেবে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। শান্তি পুরস্কারের প্রথম দিকের তালিকায়, খ্রিস্টান বিজ্ঞান মনিটরের নাম “শান্তিপূর্ণ নেতৃত্বের সবচেয়ে বড় অবাক – এবং বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ” হিসাবে বর্ণনা করা সম্ভাব্য মনোনীতদের মধ্যে একজন হিসাবে প্রধানমন্ত্রী ইমরানকে নাম দেন।
কিন্ত পাকপ্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে তিনি নিজেকে যোগ্য মনে করেন না এই পুরুষ্কারের। তিনি বলেন:
“এই নোবেল প্রাইজের যোগ্য ব্যক্তি সেই যে কাশ্মীরি জনগণের ইচ্ছার ভিত্তিতে কাশ্মীরে বিতর্কের সমাধান করে এবং উপমহাদেশে শান্তি ও মানব উন্নয়নের পথকে বাঁচায়,” তিনি মাইক্রো-ব্লগিং ওয়েবসাইট লিখেছিলেন।