বাংলাদেশ বিনোদন সাম্প্রতিক

এমন দমবন্ধ করা পহেলা বৈশাখ দেখিনি, কখনও দেখব বলেও আশা করিনি : শাওন1 min read

এপ্রিল ১৫, ২০২৫ 2 min read

এমন দমবন্ধ করা পহেলা বৈশাখ দেখিনি, কখনও দেখব বলেও আশা করিনি : শাওন1 min read

Reading Time: 2 minutes

রাষ্ট্র নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন আটক হয়েছিলেন গত ৬ ফেব্রুয়ারি। পরদিন ছাড়াও পেয়েছেন। এরপর এক মাস দেশের কোনো জরুরি ইস্যু নিয়ে সেভাবে লিখতে দেখা যায়নি অভিনেত্রীকে। তবে এবার পহেলা বৈশাখ নিয়ে লিখলেন শাওন।

যে লেখা প্রকাশ হয়েছে কলকাতার শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারে।

আনন্দবাজারে শাওনের দীর্ঘ একটি লেখা প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে উঠে এসেছে পহেলা বৈশাখ নিয়ে ক্ষোভ। শাওন লিখেছেন, ‘এমন দমবন্ধ করা, অবরুদ্ধ পহেলা বৈশাখ দেখিনি। কখনো দেখব বলেও আশা করিনি।

আসলে ছোটবেলার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে রমনা বটমূল, ছায়ানটের গান। ছোটবেলায় ছায়ানটের গান দিয়ে শুরু হতো দিন। সবাই মিলে রাস্তায় ঘুরে বেড়াতাম, রংবেরঙের মুখোশ কিনতাম। যে দিকে তাকাতাম, সেদিকেই লাল-সাদা।

মনে হতো গোটা বাংলাদেশটা ঝলমল করছে। ঝলমলে শহরে পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপনটা এমন হয়ে যাবে, সেটা ভাবিনি!’

বৈশাখের নাম পরিবর্তন প্রসঙ্গে শাওন বলেন, ‘চারপাশে বৈশাখের নাম পরিবর্তন নিয়ে নানা কথা শুনছি। তবে এর বীজটা মনে হয় আগে থেকেই রোপণ করা হয়েছিল। এখন নামের মধ্যেও ধর্ম খুঁজে বের করা হচ্ছে। ‘আনন্দ’ শব্দটার মধ্যেও চাইলে অনেক কিছু খুঁজতে পারেন।

আমার ধারণা, একটা বিশেষ শ্রেণিকে তুষ্ট করতেই এই নাম বদল। কারণ তারা ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামটা পছন্দ করে না। তারা অনেক দিন ধরেই চাইছিলেন, এই নামটা পরিবর্তন হোক। রাজনৈতিক পটভূমি পরিবর্তনে কিছু না কিছু রদবদল হয়ই। কিন্তু আমরা যা ভেবেছিলাম, তার থেকে অনেক বেশি পরিবর্তন হয়েছে।’

তবে বৈশাখ উদযাপন করবেন জানিয়ে অভিনেত্রী লেখেন, ‘এত কিছুর মধ্যে আমি নিজের পরিবার ও কিছু প্রিয় মানুষকে নিয়ে উৎসব উদ্‌যাপন করব। সবটাই বাড়িতে। যেকোনো উৎসবের সঙ্গে খাওয়াদাওয়া ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকে। তবে ইলিশ-পান্তা খাবার পক্ষপাতী নই সেভাবে। বরং অনেক ধরনের ভর্তা ও দেশীয় মাছ খেতে ভালোবাসি। আসলে এই দিনটাতে ঘরটাকেও সেভাবে সাজাব। নিজের ও ঘরের মধ্যে সেই দেশীয় সাজকেই অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি।’

দেশকে নিয়ে এখনো স্বপ্ন দেখেন জানিয়ে শাওন লেখেন, “মাঝেমধ্যে হতাশ লাগে। তবে তার পরেও দেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে ছাড়ি না। ভবিষ্যৎ নিয়ে স্বপ্ন দেখি। তবে একটা জিনিস বড্ড ভাবায়। বাংলাদেশে ‘মব সংস্কৃতির’ চল শুরু হয়েছে, যাকে বলা হয় ‘উত্তেজিত জনতা’। তবে এটাও ঠিক, জনতা নিজে নিজে উত্তেজিত হয় না। পেছনে কোনো না কোনো ইন্ধন থাকে। আমি চাই এই ‘মব সংস্কৃতি’ বন্ধ করতে আশু পদক্ষেপ গ্রহণ করুক এই সরকার।”

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *