আমেরিকায় বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য
প্রযুক্তি শিক্ষায় ১ মিলিয়ন ডলার শিক্ষাবৃত্তির ঘোষণা
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মবাজরে সবচে বেশি সুযোগ কোন খাতে? এই প্রশ্নের সহজ উত্তর অবস্যই প্রযুক্তি খাত। গুগল বলছে ঠিক এই মুহুত্বে আইটি জব অর্থাৎ ডাটাবেজ এ্যাডমিনেস্ট্রেশন, সফটওয়ার টেস্টিং, মোবাইল অটোমেশন, সেলেনিয়াম প্রভুতি কর্মবাজারে প্রায় ১ লক্ষ ৩৩ হাজার পদ খালি আছে। এই বিশাল সংখ্যক শূন্যপদ পূরন করতে প্রতিনিয়তই মানুষ চাকুরী পাচ্ছে, অাবার কর্মদক্ষতার অভাবে চাকুরী চলেও যাচ্ছে অনেকের। তবে, প্রতিটি মুহুত্বে নতুন চাকুরীর সম্ভবনা তৈরী করা এই প্রযুক্তিবাজারে বাংলাদেশীরা সবে মাত্র ঢুকতে শুরু করেছে। সেটাকে এগিয়ে নিতেই নতুন চ্যালেন্জ ঘোষনা করেছেন এক বাংলাদেশী প্রযুক্তিবিদ।
উত্তর আমেরিকায় বাংলাদেশী অভিবাসীদের জন্য, ১ মিলিয়ন ডলার শিক্ষাবৃত্তির ঘোষনা দিয়েছে, বাংলাদেশী মালিকানাধীন একটি প্রযুক্তি প্রশিক্ষন প্রতিষ্ঠান। পিপল এন্ড টেক নামের এই প্রতিষ্ঠানটি চলতি বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালের জন্য ২৫০ জন শিক্ষার্থীকে প্রযুক্তি প্রশিক্ষন বাবদ এই বৃত্তি প্রদান করবে। আগ্রহীদেরকে আগামি ২০ এপ্রিলের মধ্যে পিপল এন্ড টেক ( www.poeoplentech.com) এই ওয়েব সাইটে বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। এ উপলক্ষে, ১লা এপিল, প্রতিষ্ঠানটির নিউইয়র্ক কার্যালয়ে এক জনার্কীর্ন সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষা দেয়া হয়।
গত ১৪ বছরে প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি শ্রমবাজারে প্রাঁ ৫ হাজার শিক্ষার্থীর চাকুরীর ব্যবস্থা করেছে বলে দাবী করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। যার, অন্তত ৪ হাজার জনই বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত। প্রযুক্তি খাতে ভাল বেতনে চাকুরী পাওয়ার নিশ্চয়তা দিয়েই এই বৃক্তি ঘোষনা কালে, জানানো হয়, আগামী এক বছরের মধ্যে উপযুক্ত বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা এই সুবিধার আওতায় বিনা খরচে অথবা স্বল্প খরচে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণপূর্বক যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মূলধারার প্রযুক্তি কর্ম–বাজারে উচ্চ বেতনে কাজের সুযোগ গ্রহণ করতে পারবেন।
পিপল্ এন টেকের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী আবু বকর হানিপ রোববার নিউ ইয়র্কে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই ঘোষণা দেন। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র কর্মকর্তাগণও উপস্থিত ছিলেন।
বিস্তারিত জানতে ভিডিও তে দেখুন।পিপল এন্ড টেক এর সংবাদ সম্মেলন।
ঘোষিত এই শিক্ষাবৃত্তির আওতায়, পিপল এন্ড টেক প্রতিষ্ঠান থেকে ২৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে অথবা স্বল্পমুল্যে প্রযুক্তি প্রশিক্ষন প্রদান করা হবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সফটওয়ার টেস্টিং এ ৫০ জন, সেলেনিয়াম এ ৫০ জন, মোবাইল অটোমেশন এ ৫ জন, সাইবার সিকিউরিটিতে ৫০ এবং ডেটাবেজ এ্যাডমিনেস্ট্রেশন এ ৫০ জন শিক্ষার্থীকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি কর্মবাজারের জন্য উপযুক্ত করে গড়ে তোলা হবে। পিপল এন্ড টেক এর নিয়মিত কোর্স ফি ৪ হাজার ডলার, তবে বৃত্তিপ্রাপ্তদের ক্ষেত্রে এই ফি পুরোপুরি মওকুপ করা হবে বলে জানিয়েছেন আবুবকর হানিপ।
আবু বকর হানিপ জানান, বিগত কয়েক বছরে পিপল্ এন টেক প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি তরুন–তরুনীকে যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার প্রযুক্তি খাতে উচ্চ বেতনের কাজ জুটিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে, যাদের বেশির ভাগই বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত। ইতিমধ্যেই প্রতিষ্ঠানটি ঢাকায় একটি ক্যাম্পাস চালু করেছে এবং সেখান থেকেও বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কোম্পানিতে আকর্ষণীয় বেতনে কাজের সুযোগ পেয়েছে। তিনি জানান, পিপল এন টেক নিয়মিতভাবেই মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে স্কলারশিপ বা বৃত্তি দিয়ে থাকে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার আরও বেশি সংখ্যক বাংলাদেশী শিক্ষার্থীকে আমেরিকান ও কানাডাীয় প্রযুক্তি খাতের সুবিশাল কর্মবাজারে কাজের সুযোগ করে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানের এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় অংকের বৃত্তি ঘোষণা করল। যথানিয়মে মেধা যাচাই পরীক্ষার ভিত্তিতে বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে এই সুবিধা প্রদান করা হবে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কিংবা কানাডায় বসবাসকারী বাংলাদেশীরা তো বটেই, এমনকি বাংলাদেশে অবস্থানরত উপযুক্ত প্রার্থীরাও নির্ধারিত নিয়মে এই সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।
আগে থেকেই পিপল এন্ড টেক এর বৃত্তি সুবিধা প্রচালিত ছিল কিন্তু এটা একক ভাবে নিদৃষ্ট সময়ের জন্য সবচে বড় স্কলারশিপ এর আয়োজন।
‘আমাদের মুল উদ্দেশ্য–ই হলো বাংলাদেশী তরুন দের প্রযুক্তি শিক্ষা এবং দক্ষতায় উপযুক্ত করে গড়ে তোলা যেন, উত্তর আমেরিকার প্রযুক্তি বাজারে দখল নিতে পারে একদিন তারা’ –সংবাদ সম্মেলনে জানান প্রকৌশলী আবু বকর হানিপ।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আগ্রহীদেরকে
Address: 1604 Spring Hill Rd, Suite # 302 , Vienna, VA 22182
Phone: +1 703-291-1001 (Consulting & Recruiting)
–এই ঠিকানায় যোগাযোগের পরামর্শ দেয়া হয়।